• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টানাপোড়েন

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ভিসা নিয়ে বাংলাদেশ-পাকিস্তান টানাপোড়েন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ মে ২০১৯

ভিসা ইস্যুতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। দুই দেশই একে-অপরের কূটনীতিকদের ভিসা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনের একজন কর্মকর্তার ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোয় দুই দেশের মধ্যে এমন টানাপোড়েনের সৃষ্টি।

বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পর থেকেই পাকিস্তান এ বিচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বারবার নাক গলিয়ে আসছিল। তখন থেকেই ঢাকা-ইসলামাবাদের কূটনীতিতে টানাপোড়েন শুরু হয়। এছাড়াও বিভিন্ন সময় দুই দেশের মধ্যে নানা ইস্যুতে টানাপোড়েন চলে।

পাকিস্তানের ইসলামাবাদ মিশনে কনস্যুলার (প্রেস) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য গত জানুয়ারি মাসে আবেদন করেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। তবে তার ভিসার মেয়াদ আর বাড়ানো হয়নি। ফলে ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাইকমিশন গত ১৩ মে থেকে পাকিস্তানের ভিসা ইস্যু বন্ধ করে রাখে। এতে সমালোচনামুখর হয় পাকিস্তান। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়, পাকিস্তানের ভিসা বন্ধ করা হয়নি।

গত বছর ঢাকায় পাকিস্তানের হাইকমিশনার হিসেবে মনোনীত করে সাকলাইন সাইয়েদারের নাম পাঠায় দেশটি। তবে বাংলাদেশ তাকে হাইকমিশনার হিসেবে মনোনীত করার প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি। তখন থেকেই ভিসা ইস্যুতে দুই দেশের কূটনীতিকদের মধ্যে টানাপোড়েন চলে আসছিল।

কূটনৈতিক সূত্র জানায়, ইসলামাবাদ মিশনে বাংলাদেশের কর্মকর্তার সংখ্যা কম। তার ওপর পাকিস্তান বাংলাদেশের হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোয় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। পাকিস্তান বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের ভিসার মেয়াদ না বাড়ানোর ফলে সেখানের ভিসা কাউন্টারেই যথাযথ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সে কারণে গত ১৩ মে থেকে ইসলামাবাদের হাইকমিশনে প্রায় এক সপ্তাহ পাকিস্তানের ভিসা দেওয়া সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়।

ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের দাবি, তাদের দেশের কূটনীতিকদেরও ভিসার মেয়াদ বাড়াচ্ছে না বাংলাদেশ। এ বিষয়ে ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের কনস্যুলার (প্রেস) মুহম্মদ আওরঙ্গজেব হারাল বলেন, ঢাকার পাকিস্তান হাইকমিশনের কূটনীতিকরা অনেক দিন ধরেই ভিসা সমস্যা মোকাবেলা করছে। বাংলাদেশে আসতে পাকিস্তানের কোনো কোনো কূটনীতিকের ভিসা ৬-৮ মাস পেতে দেরি হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।

সামগ্রিক বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ইসলামাবাদ মিশনে বাংলাদেশের কিছু অফিসারের ভিসার মেয়াদ বাড়ায়নি পাকিস্তান। আমাদের কনস্যুলার শাখার অফিসারের ভিসা দেয়নি। আবার এখান থেকে যিনি যাবেন, তারও ভিসা দেয়নি। তারাই (পাকিস্তান) আমাদের জোর করে ঝামেলায় ফেলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads