• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
আবারো উপস্থিতি জানান দিচ্ছে হিযবুত তাহরীর

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

আবারো উপস্থিতি জানান দিচ্ছে হিযবুত তাহরীর

  • আজাদ হোসেন সুমন
  • প্রকাশিত ২৭ মে ২০১৯

জেএমবি, নব্য জেএমবি বা হরকাতুল জিহাদ নয়, বাংলাদেশে এখন আতঙ্কের নাম নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহ্রীর। তারা র্যাব পুলিশকে থোরাই কেয়ার করে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে নানাভাবে। এরা যে কোনো সময় বড় ধরনের নাশকতামূলক তৎপরতায় লিপ্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। বিশ্বের ১৪৫টি দেশে হিযবুত তাহ্রীরের কার্যক্রম বিস্তৃত এবং বর্তমানে এদের সদস্যসংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি। সম্প্রতি তারা বাংলাদেশকে আবারো টার্গেট করেছে। সংগঠনের সদস্যরা রাজধানীকে ঘিরে আশপাশ এলাকায় ঘাপটি মেরে আছে। সুযোগ পেলেই প্রকাশ্যে ঝটিকা মিছিল বের করে সংগঠনের সদস্যরা।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে যেখানে হরকাতুল জিহাদ বা জেএমবির মতো নিষিদ্ধঘোষিত অন্যান্য জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের কার্যক্রম শহরাঞ্চলের বাইরে অনেক বিস্তৃত, সেখানে হিযবুত তাহ্রীরের সদস্যদের অধিকাংশই বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং পেশাজীবী। বুয়েট, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবী ছাত্ররাও জড়িয়ে পড়ছে নিষিদ্ধঘোষিত এই জঙ্গি সংগঠনটিতে।

এ ব্যাপারে পুলিশের এন্টি-টেরোরিজম ইউনিটপ্রধান অতিরিক্ত আইজিপি আবুল কাসেম বাংলাদেশের খবরকে বলেন, হিযবুত তাহ্রীর সক্রিয় আছে। তবে তারা ঝটিকা মিছিল আর সরকারবিরোধী লিফলেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ। আমরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। ইতোমধ্যে গত ১ মাসে আমরা ৫ জনকে গ্রেফতার করেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে আমরা কিছু তথ্য পেয়েছি, প্রাপ্ত তথ্যের সূত্র ধরে এগোচ্ছি। তবে বাংলাদেশে হিযবুত তাহ্রীরের বড় ধরনের হামলা করার সক্ষমতা নেই।

সম্প্রতি তানভীর কবির রাজীব (২৭) ও মনিরুজ্জামান পলাশ (৩৫) নামে হিযবুত তাহ্রীরের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করে পল্লবী থানা পুলিশ।

পুলিশ বলছে, গত শুক্রবার জুমার নামাজের পর পল্লবীর বাইতুন নুর মসজিদের উত্তর পাশ ১০ থেকে ১১ জন ব্যক্তি হিযবুত তাহ্রীরের ব্যানার নিয়ে মিছিল বের করেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এ সময় মিছিলকারীরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকে সংগঠনের দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যায়, তারা হিযবুত তাহ্রীরের সদস্য। আরেক পলাতক আসামি রুবেলসহ অজ্ঞাতনামা সাত থেকে আটজন সহযোগীকে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ২০০১ সালে হিযবুত তাহ্রীর আত্মপ্রকাশ করে। এর নেতৃত্বদানকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাওলানা মুহিউদ্দিন ইতোমধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহ্রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেই থেকে আত্মগোপন করে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সংগঠনের সদস্যরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads