• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
বেতন কাঠামোর আওতায় আসছে ৪ হাজার মাদরাসা

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বেতন কাঠামোর আওতায় আসছে ৪ হাজার মাদরাসা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ জুন ২০১৯

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের চার হাজার ৩১২টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা বেতন কাঠামোর আওতায় আসছে। সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের এ-সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সূত্র জানায়, এই তালিকা থেকে নিবন্ধিত ও সরকারি অনুদান পাওয়া এক হাজার ৫১৯টি প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিতদের শিগগিরই বেতন-ভাতা দেওয়া হবে।

এর আগে ৯ মে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এমপিওভুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারাংশ পাঠান কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর (বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিব)। ওই সারাংশ গত ১২ জুন অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এ প্রসঙ্গে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) একেএম জাকির হোসেন ভুঞা বলেন, এ-সংক্রান্ত প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের কাগজ হাতে পেলে তা অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে প্রথমে এক হাজার ৫১৯টি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে। পর্যায়ক্রমে অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও এমপিওভুক্ত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো প্রস্তাবে বলা হয়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্তির জন্য আলাদা কোনো নীতিমালা নেই। তবে প্রতিষ্ঠানগুলো অনুদানভুক্ত করার জন্য নীতিগত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করার কথা বলা হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই সূত্র জানায়, নীতিমালা অনুযায়ী কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী, এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথমে এর আওতায় আসবে এক হাজার ৫২৯টি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আগের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পর্যায়ক্রমে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাকে বেতন কাঠামোর আওতায় নিতে হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র আরো জানায়, ১৯৮৪ সালে মোট ১৮ হাজার ১৮৯টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার নিবন্ধন দেয় সরকার। এর মধ্যে ১৯৯৪ সালে এক হাজার ৫১৯টি মাদরাসার শিক্ষকদের ৫০০ টাকা করে অনুদান দেওয়া শুরু হয়। একই সময় সমান অনুদান পাওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরকারি করা হয়েছে। তবে মাত্র এক হাজার ৫১৯টি মাদরাসাকে এখনো সামান্য অনুদান দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, নীতিমালা অনুযায়ী ইবতেদায়ি মাদরাসায় প্রধান শিক্ষকসহ চারজন শিক্ষক থাকবেন। তাদের মধ্যে একজন ইতবেদায়ি প্রধান, দুজন ইবতেদায়ি সহকারী শিক্ষক এবং একজন ইবতেদায়ি ক্বারি শিক্ষক। ইবতেদায়ি প্রধান ১১তম গ্রেডে বেতন পাবেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) বেতনের গ্রেড ১১তম। তবে নীতিমালা অনুযায়ী, ইবতেদায়ি সহকারী এবং ক্বারি শিক্ষক বেতন পাবেন ১৬তম গ্রেডে। বর্তমানে নিবন্ধিত ইবতেদায়ি প্রধান শিক্ষকরা দুই হাজার ৫০০ টাকা এবং সহকারী শিক্ষকরা দুই হাজার ৩০০ টাকা সরকারি অনুদান পাচ্ছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads