জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চতুর্থ ও শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আজ বাদ জোহর রংপুরের কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। জানাজায় দলীয় নেতাকর্মীদের বাইরেও হাজারো মানুষ অংশ নেন। এসময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাকে রংপুরে দাফনের দাবি জানান।
এর আগে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় রোববার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে। দ্বিতীয় জানাজা হয় সোমবার সকালে জাতীয় সংসদের টানেলে। সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা টানেলের ভেতরে করা হয়। জানাজায় রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তার মরদেহ নেওয়া হয় কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তিন ঘণ্টা রাখা হয়। এরপর বাদ আছর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তৃতীয় জানাজা হয়। রাতে আবার তার মরদেহ সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়।
আজ মঙ্গলবার সকালে তার মরদেহ হেলিকপ্টারে করে রংপুরে নেয়া হয়। রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর চতুর্থ জানাজা হয়। সেখানে জানাজা শেষে ঢাকায় এনে সামরিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আগামীকাল বুধবার বাদ আছর তার কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য, রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সকাল পৌনে আটটার দিকে তিনি মারা যান। গত ২৬ জুন থেকে তিনি রাজধানীর ক্যান্টনমেন্টের সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। গত প্রায় আট মাস ধরে টানা অসুস্থ ছিলেন এরশাদ।