• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
চামড়া নগরীর ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

চামড়া নগরীর ৭৩ শতাংশ কাজ সম্পন্ন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৯

সাভারে অবস্থিত চামড়াশিল্প নগরীর কাজ এখন পর্যন্ত ৭৩ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছর জুনের মধ্যে এ কর্মযজ্ঞ পুরোপুরি সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিম। গতকাল বুধবার শিল্পনগরী প্রকল্প কার্যালয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

শিল্পসচিব বলেন, চামড়া নগরীর ৭৩ শতাংশ কাজ হয়েছে। তাতে ৭৯২ কোটি টাকার খরচ হয়েছে। ২০২০ সালের জুনের মধ্যে বাকি কাজ সম্পন্ন হবে। তখন এটি বিশ্বের অত্যাধুনিক চামড়া নগরী হিসেবে গড়ে উঠবে। এ খাতে থাকবে ২০৫টি প্লট। এই প্রকল্পের অধীনে একটি ট্রেনিং ইনস্টিটিউট স্থাপন করা হবে।

যদিও ২০০৩ সালে ২০০ একর জায়গার ওপর চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য-সংশ্লিষ্ট লিঙ্কেজ ইন্ডাস্ট্রি স্থাপনের জন্য এ প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু হয়। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে এ পর্যন্ত বহুবার সময় বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ২০০৩ সালে এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৭৫ কোটি টাকা। তবে বর্তমানে এর মোট প্রাক্কলিত ব্যয় এসে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা।

সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পসচিব বলেন, লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের মানদণ্ডে ১ হাজার ৬০০ প্যারামিটার রয়েছে। এর মধ্যে ১০০টি প্যারামিটার কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্ল্যান্ট-সংক্রান্ত। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়াতে অবশিষ্ট ১ হাজার ৫০০ প্যারামিটার অনুযায়ী চামড়াশিল্প নগরীতে স্থাপিত ট্যানারিসমূহের উৎপাদন প্রক্রিয়ার মান উন্নয়নের চেষ্টা অব্যাহত আছে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার প্ল্যান্টে ক্রোম সেপারেশন ও সেডিমেন্টেশনের মান ক্রমশ উন্নত হচ্ছে।

চামড়াশিল্প নগরীর কঠিন বর্জ্য তিনটি স্থানে ডাম্পিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শিল্পসচিব বলেন, চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণের সময় উৎপাদিত সব বর্জ্যই ক্ষতিকর নয়। ক্রোমিয়াম ব্যবহারের পূর্ব পর্যন্ত উৎপাদিত বর্জ্য নিরাপদ এবং এসব বর্জ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য উৎপাদনে ব্যবহার করা যায়। এসব ব্যবহারযোগ্য ট্যানারি বর্জ্যকে কীভাবে উৎপাদনশীল খাতে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প করপোরেশন (বিসিক) আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বুয়েটের বিআরটিসির টিম লিডার প্রফেসর ড. দেলোয়ার হোসেন, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাহিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত উল্লাহ, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি দিলজাহান ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আবু ইউসুফ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সেলিম প্রমুখ।

অন্যদিকে মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, আসন্ন কোরবানির ঈদের চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে যে পরিমাণ লবণ প্রয়োজন হবে তা মজুদ আছে। লবণের দাম বৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা নেই। বছরে লবণের প্রয়োজন হয় ১৮ লাখ টন। এর মধ্যে শুধু কোরবানি চামড়া প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজন হয় প্রায় ৮২ হাজার টন। বর্তমানে লবণ মজুদ আছে ৯ লাখ টন। আর দেশে লবণের উৎপাদন ভালো হওয়ায় চামড়া প্রক্রিয়াকরণের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads