• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা স্বাধীন দেশ

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা স্বাধীন দেশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০১৯

শোকাবহ আগস্টের আজ চতুর্থ দিন। মাসটি বাঙালি জাতি পালন করছে শোকের কর্মসূচির মাধ্যমে। আগস্ট শুধুই বঙ্গবন্ধুর জন্য শোকগাথা। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ও স্বাধীন পতাকা। পলাশীর আম্রকাননে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হওয়ার দীর্ঘ ২১৪ বছর পর ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলার স্বাধীনতার নতুন সূর্য উদিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ও নির্দেশে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

কিন্তু স্বাধীন বাংলাদেশে মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় হত্যা করা হয় জাতির পিতাকে। ঘাতকরা চেয়েছিল ইতিহাসের চাকাকে পেছনে ঘোরাতে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভূলুণ্ঠিত করে দেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় ফিরিয়ে নেওয়ার ধারাবাহিক অপচেষ্টা শুরু হয়। স্বাধীনতাবিরোধীরা উঠেপড়ে লাগে উদার-গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল তথা অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে পরিণত করতে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, উদার-সংস্কৃতিমনাদের মতপ্রকাশের সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল হয়ে পড়ে কোণঠাসা। দেশে ফিরে আসতে থাকে স্বাধীনতাবিরোধীরা। রাষ্ট্র ও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হয় পাকিস্তানের দোসরদের।

বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ইনডেমনিটি বিল পাস করা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা ইতিহাসের পাতা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে পারেনি। বরং তারাই নিক্ষিপ্ত হয়েছে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনিরা আস্ফাালন করে বলেছিল, পৃথিবীতে তাদের বিচার করার কারো সাধ্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশ হেরে যায়নি। দুই দশকের বেশি সময় পর রাষ্ট্রক্ষমতায় ফেরে বঙ্গবন্ধুর দল আওয়ামী লীগ। নিয়তির নির্মম পরিহাস, ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের ঘাতকদের বাংলার মাটিতে বিচারে ফাঁসি হয়েছে। অধিকাংশ খুনিকে ঝুলতে হয়েছে ফাঁসির দড়িতে।

বছর ঘুরে বাঙালির সামনে আবার এসেছে শোকাবহ আগস্ট। শোকের নানা অনুষ্ঠানে কৃতজ্ঞ জাতি শ্রদ্ধাবনত চিত্তে স্মরণ করছেন সেই বাংলাদেশ নামক দেশের স্বাপ্নিক স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। পুরো শোকের মাস বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করে, কালো পতাকা উত্তোলন এবং নানা অনুষ্ঠানে তীব্র ঘৃণা ও ধিক্কার জানাচ্ছে বঙ্গবন্ধুর খুনি নরপিশাচ একাত্তরের পরাজিত শত্রুদের। দিন যতই এগোচ্ছে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মদতদাতাদেরও বিচারের দাবি ততই তীব্র হচ্ছে। ঢাকাসহ সারা দেশে সাঁটানো পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুনেও শোভা পাচ্ছে এই একই দাবি। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে শহর-নগর-বন্দরে কালো ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে, নানা অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে জাতির পিতাকে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে কালরাতে ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে এক প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা  ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল, শিশুপুত্র শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি কামাল। পৃথিবীর এই ঘৃণ্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর সহোদর শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে যুবনেতা ও সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মণি, তার সহধর্মিণী আরজু মণি ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ জন সদস্য ও আত্মীয়স্বজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads