• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮
রাজধানীর বাইরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

রাজধানীর বাইরে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ আগস্ট ২০১৯

রাজধানীর বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। বিভিন্ন   জেলায় বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। বগুড়ায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৯১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত শেবাচিমে ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন, চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৩৯ জন। ভোলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২৬ জন। সিলেটে ডেঙ্গু রোগীদের খোঁজখবর নিতে আওয়ামী লীগ নেতারা ওসমানী হাসপাতালে। জামালপুরে সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত। খাগড়াছড়িতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মাদারীপুরে ডেঙ্গু জ্বরে এবার গৃহবধূর মৃত্যু, এ নিয়ে মারা গেলেন ৩ জন। মাগুরা সদর হাসপাতালে ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ রোগী। সদর হাসপাতালে পরীক্ষার কিট সংকট। রাজবাড়ীতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ৪১ জন, হাসপাতালে ভর্তি ১৫। শরীয়তপুরে ডেঙ্গুতে ৩৪ জন আক্রান্ত। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি ৪৯ জন। আমাদের ব্যুরো, অফিস ও প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

বগুড়া : গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিকে ২১ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে মেডিকেল কলেজ, মোহাম্মাদ আলী ও টিএমএসএস হাসপাতালসহ বিভিন্ন ক্লিনিক ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৯১ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। শুধু শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই রয়েছেন ৭২ জন। আক্রান্তরা ঢাকা থেকে জীবাণু বহণ করে আনলেও বগুড়াতেই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৫ জন। যারা গত কয়েক মাসেও ঢাকায় যায়নি। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বগুড়ার সিভিল সার্জন গওসুল আজীম চৌধুরী জানান, বগুড়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তরা ঢাকা থেকে জীবাণু বহন করে এনেছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশীদের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বরিশাল : দক্ষিণাঞ্চলে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। ফলে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও (শেবাচিম) ডেঙ্গু আক্রান্তু রোগীর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। গতকাল হাসপাতালটিতে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত শুক্রবার এ সংখ্যা ছিল ১১৪ জন। হাসপাতালের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ২০ জন, নারী ১৪ জন ও শিশু ১ জন রয়েছে। আর ২৪ ঘণ্টায় বাড়ি চলে গেছেন ৩ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা। অন্যদিকে চিকিৎসাধীন ১৩৯ জনের মধ্যে পুরুষ ৯২, মহিলা ৩৯ ও শিশু ৮ জন রয়েছে। গত ১৬ জুলাই থেকে গতকাল পর্যন্ত বরিশাল মেডিকেলে মোট ২১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। মারা গেছেন দুইজন।

ভোলা : ভোলায় ক্রমেই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত দুই সপ্তাহে ডেঙ্গু আক্রান্তের ায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গ্রামগঞ্জে প্রচারণা, শিক্ষার্থীদের নিয়ে সচেতনতামূলক সভা ও বিভিন্ন ব্যানার-পোস্টার লাগানো হয়েছে। ভোলার  সিভিল সার্জন ডা. রথীন্দ্রনাথ মজুমদার জানায় গতকাল জানান, ইতোমধ্যে ভোলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জেলায় ১০২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্যাম্পেইন করা হয়েছে। যেখানে ২ লাখ ৩২ হাজার ৯৮৬ জন শিক্ষাথীকে স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আরো এক হাজার ৪টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সরকারিভাবে ১২০টি ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিটস পাওয়া গেছে। জেলা সর্বশেষ ২৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। ৭টি উপজেলায় ডেঙ্গু সেল গঠন করা হয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সেবা দেওয়া হচ্ছে। যারা ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়েছে সবাই ঢাকাতে থেকে এসেছে বলে তিনি জানান।

সিলেট : সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের দেখতে গেলেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের নেতৃত্বে গতকাল দুপুরে রোগীদের দেখতে যান সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা ওসমানী হাসপাতালে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের ডেঙ্গু কর্নারে ভর্তি থাকা রোগীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন।

জামালপুর : জামালপুরে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সাবেক সিভিল সার্জনসহ ৪৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে গ্রামের বাড়ি এসে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলেও এখন আক্রান্ত হচ্ছে জামালপুরের বসবাসকারীরাও। গত ১০ দিনে ৪৫ জন লোক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২ জন রোগী। ২৮ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন এখনো। গুরুতর অবস্থায় ১ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ৪ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জামালপুরে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন শহরের মিয়াপাড়া বানাকুড়া এলাকার বাসিন্দা সাবেক সিভিল সার্জন ডা. আবদুল হাকিম, ইসলামপুর পৌর এলাকার গাঁওকুড়া গ্রামের ঝুটন বণিক। শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মোহাম্মদ শফিকুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

খাগড়াছড়ি : খাগড়াছড়িতে দিন দিন বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। এত দিন রাজধানী ঢাকা থেকে এই রোগের বিস্তৃতি দাবি করা হলেও গত ৩১ জুলাই খাগড়াছড়িতে এক শিশু আক্রান্ত হওয়ার পর জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ঢাকা থেকে ফেরা রোগীদের পাশাপাশি স্থানীয়রা আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। নতুন নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে জেলা শহরের পানখাইয়াপাড়া, মধুপুর, শালবনসহ আশপাশের বাসিন্দারা। এতে করে স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। মশকনিধনে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের অবহেলাকে দুষছেন কেউ কেউ। ডেঙ্গু মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ সিভিল সার্জনের।

মাদারীপুর : মাদারীপুরে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এবার নাদিরা আক্তার নামে (৪০) এক গৃহবধূ মারা গেছে। এ নিয়ে জেলায় ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল সকালে কালকিনি থেকে মাদারীপুর নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। সে কালকিনি উপজেলার উত্তর কৃষ্ণনগর গ্রামের আলমগীর মোড়লের স্ত্রী। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. ইমরানুর রহমান সনেট বলেন, জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যাদের অবস্থা গুরুতর তাদের প্রত্যেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের তরলজাত খাবারের পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে।

মাগুরা : মাগুরায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গতকাল পর্যন্ত মাগুরায় আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৭ জন ডেঙ্গু রোগী। ডেঙ্গু রোগী রবিউল ইসলাম (২০), আমীর (২১), বায়োজিত (৩২), রাজিনসহ (৪৩) আরো অনেকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন গত কয়েক দিন। মাগুরা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার মসিউর রহমান জানান, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য সদর হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড ও ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত ২০ জন ডেঙ্গু রোগী রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। তাদের জরুরি বিভাগের পাশের ২টি কক্ষে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  জ্বর অবস্থায় কোন রোগী এলে আমরা তাদের পরীক্ষা শেষে কনসালটেন্ট ডাক্তার দ্বারা নিরীক্ষা করি। তারপর ডেঙ্গু পজিটিভ হলে আমরা তাকে ভর্তি করছি। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকলেও মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার ভালো কোনো ব্যবস্থা নেই।

নাটোর : নাটোরে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত জেলায় অর্ধশতাধিক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে আসা রোগী ছাড়াও স্থানীয়রাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। নাটোর সদর হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ১০ জন রোগী। সকাল থেকে গতকাল দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪ জনকে ভর্তি করা হয়েছে। নাটোর সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত চিকিৎসা নিয়েছেন ১৬ জন রোগী। এদিকে শহরের বেসরকারি সততা ক্লিনিকে গতকাল শনাক্ত হয়েছে ২ জন। এ পর্যন্ত ওই ক্লিনিকে শনাক্তের সংখ্যা ২৩ জন। এ ছাড়া নাটোর সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষার কিট সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ঢাকা থেকে সদর হাসপাতালে মোট ১২০টি কিট বরাদ্দ দেওয়া হলেও তা প্রায় শেষদিকে। নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজবাড়ী : রাজবাড়ীতে এ পর্যন্ত ৪১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৫ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জেলায় পুরো ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য মাত্র ১২০টি কিট দেওয়া হয়েছে। যা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে ১১ জন, বালিয়াকান্দিতে ২ জন, গোয়ালন্দ উপজেলায় ১ জন ও পাংশা উপজেলায় ১ জন চিকিৎসাধীন আছে। রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন মাহফুজুর রহমান জানান, রাজবাড়ীতে যে পরিমাণ কিট দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই কম। আরো কিট প্রয়োজন।

শরীয়তপুর : শরীয়তপুর গত ১০ দিনে ডেঙ্গুজ্বরে ৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে একজন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আক্রান্তরা হলেন জাজিরা উপজেলার মৌসুমী নাজমূল আাালম, শাহিনুর, সজিব, শারমিন, মানিক, শফিক ও মজিবর। সদর উপজেলার আল আমিন, সাথী, শহিদুল ইসলাম, টুম্পা, নিলয়, কৃসাহা। গোসাইরহাট উপজেলার আসাদ উল্লাহ, বাইজিদ, সাব্বির, মাসুদ, তাসলিমা। ডামুড্যা উপজেলার মিজানুর রহমান, আমেনা বেগম। নড়িয়া উপজেলার সারা আকতার, জসিম আকন, মো. রাকিবসহ ৩৪ জন। এরা জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য চলে গেছেন। গত মঙ্গলবার রাতে বর্ষা আক্তার নামে জাজিরা উপজেলার এক স্কুল শিক্ষিকা ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে প্রতিদিনই নতুন নতুন  রোগীর আসছে।

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। এ ছাড়া এর বাইরেও অর্ধশতাধিক রোগীকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হাসপাতাগুলোতে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ২৪ জন, মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালের ২৩ জন এবং সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছে। এসব রোগীকে বিশেষ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. শরীফ হোসেন খান জানান, টাঙ্গাইলে এখন পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ৪৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন। আমরা শঙ্কায় আছি। ঢাকার খুব কাছাকাছি জেলা হওয়ায়, ঢাকার মতোই রূপ ধারণ না করে। সবাইকে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন তিনি। জ্বর হলে রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রকার ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads