• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
শেখ কামালের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকী

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

শেখ কামালের আজ ৭০তম জন্মবার্ষিকী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ আগস্ট ২০১৯

আজ ৫ আগস্ট সোমবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ ছেলে, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এই দিনে তিনি তখনকার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্ম নেন। তিনি ছিলেন তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক ও বহুমাত্রিক অনন্য সৃষ্টিশীল প্রতিভার অধিকারী। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে মাত্র ২৬ বছর বয়সে জাতির পিতার হত্যাকারী ও মানবতার ঘৃণ্য শত্রুদের নির্মম ও নিষ্ঠুর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞের শিকার হন তিনি।

প্রতিবারের মতো এবারো তার জন্মদিন যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করতে আজ ব্যাপক কর্মসূচির আয়োজন করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দলটির সহযোগী এবং অঙ্গ সংগঠনগুলো।

শেখ কামাল ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী ও আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনীর দ্বারা সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর ঢাকার ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবন আক্রান্ত হওয়ার পূর্বমুহূর্তে বাড়ি থেকে বের হয়ে শেখ কামাল সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়ার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন। তিনি শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ (সম্মান) পাস করেন। তিনি দেশের শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের অন্যতম উৎসমুখ ‘ছায়ানটের’ সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পুনর্গঠন ও পুনর্বাসন কর্মসূচির পাশাপাশি সমাজের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে সমাজ চেতনায় উদ্বুদ্ধকরণে মঞ্চ নাটক আন্দোলনের ক্ষেত্রে তিনি প্রথম সারির সংগঠক ছিলেন। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’।

শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনয়শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন তিনি। শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি ও বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় খুব উৎসাহ ছিল তার। তিনি উপমহাদেশের অন্যতম সেরা ক্রীড়া সংগঠন ও দেশে আধুনিক ফুটবলের প্রবর্তক আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন।

শেখ কামাল দেশে নান্দনিক ফুটবল ও ক্রিকেটসহ অন্যান্য দেশীয় খেলার মানোন্নয়নে অক্লান্ত শ্রম দিয়ে অপরিসীম অবদান রেখেছেন। নতুন নতুন খেলোয়াড় সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ শিবির গড়ে তুলতেন এবং তাদের সঙ্গে নিয়মিত অনুশীলন করতেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ব্লু’ খ্যাতিপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণের সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

কর্মসূচি

শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকী যথাযথভাবে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ আজ সকাল ৮টায় ধানমন্ডির আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে তার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত শেখ কামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করছে।

গতকাল আওয়ামী লীগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সর্বস্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads