• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

দাবি মেনে নেওয়ার পরও আন্দোলন কেন -প্রধানমন্ত্রী

  • বাসস
  • প্রকাশিত ১৩ অক্টোবর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ১০ দফা দাবির সবগুলোই ভিসি মেনে নিয়েছেন। কিন্তু তারপরও নাকি তারা আন্দোলন করবে। কেন করবে জানি না। এরপর আন্দোলনের কী যৌক্তিকতা থাকতে পারে? গতকাল শনিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে মহিলা শ্রমিক লীগের জাতীয় সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কথা একেবার স্পষ্ট, আমরা কোনো অন্যায়-অবিচার সহ্য করব না। আগেও করি নাই, ভবিষ্যতেও করব না। যারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ঘটায়, তাদেরকে যখন পুরস্কৃত বা রক্ষা করা হয়, তখন সেই সমাজ থেকে এগুলো দূর করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়।  তারপরও আমরা কিন্তু পিছিয়ে থাকিনি। কোন দল করে-সেটা বিবেচ্য বিষয় না, খুনিকে খুনি, অন্যায়কারীকে অন্যায়কারী এবং অত্যাচারীকে অত্যাচারী হিসেবেই আমরা দেখি। খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি কারো আন্দোলনের বা নির্দেশের অপেক্ষা না করে পুলিশকে বলেছি, এদেরকে গ্রেপ্তার এবং ভিডিও ফুটেজ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করার। তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পুলিশ পড়ল বিপদে। কেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করার সময় বাধা দিয়েছিল আমি জানি না।

ঘটনার পর পুলিশের আইজিপি ছুটে এসে বলল, কী করব? আমি বললাম, তারা কী চায়? বললেন, তারা কপি চায়। আমি বললাম, কপি করে তাদের দিয়ে দাও। তোমরা তাড়াতাড়ি ফুটেজটা নাও। ফুটেজটা নিলেই তো আমরা আসামি চিহ্নিত করতে পারব, ধরতে পারব। কে গেছে, না গেছে, দেখতে পারব, ধরতে পারব। ৩-৪ ঘণ্টা সময় যদি নষ্ট না করত, তাহলে আরো ধরা পড়তে পারত। আসামিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হলো কি না বুঝতে পারছি না। আন্দোলন যারা করেছে তারাই এর কারণ বলতে পারবে। আমি কিন্তু এক মিনিটও দেরি করি নাই। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি। এ ধরনের অন্যায় কখনো মেনে নেওয়া যায় না।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া থেকে শুরু করে এরশাদের আমলে-সব সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছিল অস্ত্রের ঝনঝনানি। মেধাবী ছাত্রদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। আমি শুধু জিজ্ঞেস করতে চাই, এত ছাত্র হত্যা হয়েছে, কয়টার বিচার কে করেছে? যখনই আমরা ক্ষমতায় এসেছি তখনই আমরা এসব হত্যার বিচার করেছি। এর বাইরে কেউ আজ পর্যন্ত বলতে পারবে? কোনো বিচার হয়েছে? বুয়েট ছাত্রী সাবিকুন নাহার সনি হত্যার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তখন কে প্রতিবাদ করল? তখন তো বুয়েটের অ্যালাইমনাই অ্যাসোসিয়েশনকে নামতে দেখিনি। প্রতিবাদতো দূরের কথা, তখন তারা এ নিয়ে কথা পর্যন্ত বলেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে সবার কথা বলার অধিকার আছে। বলতে পারে, অন্তত এ সুযোগটা আছে।                   

জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকাকালে জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করল। যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দিল। সাত খুনের আসামিকে যারা নেতা বানাল, তখন তো কাউকে প্রতিবাদ করতে দেখিনি। তখন কোথায় ছিল মানবাধিকারের চিন্তা, ন্যায়নীতি বোধ, তা আমি জানতে চাই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads