• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

কাঁদলেন বাবা, দুই ভাই ও স্বজনরা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৫ অক্টোবর ২০১৯

ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় ১৬ আসামির সবাইকে মৃত্যুদণ্ডের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা ও বড়ভাই নোমান। রায় শুনে এজলাস কক্ষেই কেঁদে ফেলেন তারা। পরে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দুজনেই সকংবাদমাধ্যমের কাছে সন্তুষ্ট হওয়ার কথা জানান।

তিনি বলেন, সাড়ে ছয় মাস ধরে আমরা পরিবারের সদস্যরা কাঁদছি। নির্ঘুম দিন কেটেছে আমাদের। তবে ওই কান্না আর আজকের কান্নার মধ্যে তফাত আছে। এই কয়টা মাস এদিনটার জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যার ব্যথা বয়ে বেড়াচ্ছি। আজ সব আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছে। এ রায়ে নুসরাতের আত্মা আজ শান্তি পাবে।

এ সময় মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) বিশেষ ধন্যবাদ জানান নুসরাতের বাবা এ কে এম মুসা।

তবে রায়ের পর নিরাপত্তহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে নুসরাতের বাবা বলেন, সব আাাসামির ফাঁসির রায় হওয়ায় তাদের অনুসারীরা এখন আরো ক্ষিপ্ত হয়ে যে কোনো ধরনের

দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এদিকে ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী ও নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, বিলম্বে হলেও সুবিচার পেয়েছি, এতে সন্তুষ্ট। তবে রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তি পাচ্ছি না।

মাহমুদুল হাসান নোমান ও তার ছোটভাই রাশেদুল হাসান রায়হান কাঙ্ক্ষিত রায় পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

গতকাল সকাল ১১টা ১০ মিনিটে বিচারক যখন রায় পড়া শুরু করেন, তারও বেশ কিছু সময় পর পিতাপুত্র (এ কে এম মুসা ও মাহমুদুল হাসান নোমান) এজলাসে প্রবেশ করেন। পরে বিচারকের রায় শুনে দুজনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসার সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। টানা পাঁচদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads