মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে রাজাকারের তালিকা প্রকাশের আগে সঠিকভাবে যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বাংলাদেশ কৃষক লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,‘মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় তালিকা প্রকাশের আগে যাচাই-বাছাই করেনি...যাচাই-বাছাই করা উচিত ছিল।’
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
আসাদুজ্জামান খান জানান,মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রাজাকারদের একটি তালিকা সরবরাহ করে।
‘রাজাকারের তালিকা তৈরি করা কঠিন কাজ। আমরা প্রাথমিকভাবে দালাল আইনে মামলা থাকা ব্যক্তিদের তালিকা পাঠিয়েছি,’ বলেন তিনি।
কিন্তু পরে এসব মামলা থেকে অধিকাংশের নাম প্রত্যাহার হয়েছিল জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেখানে আমাদের মন্তব্য ছিল, কিন্তু তা তালিকায় হুবহু আসেনি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের রাজাকারের তালিকা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা উচিত।’
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত রোববার ১০ হাজার ৭৮৯ রাজাকারের একটি তালিকা প্রকাশ করে, যারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন। কিন্তু এ তালিকায় অনেক মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকায় তা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।