গত দুই বছরে রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের খরচ হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বড় অংশটি ২০১৭ সালে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর তাদের সেবা ও ক্যাম্পের অবকাঠামো স্থাপনে সরকার এ ব্যয় করেছে। এ ছাড়া তাদের থাকার জন্য ৬ হাজার ৫০০ একর বনজমি বরাদ্দ করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র সচিব এম শহীদুল হক গত বুধবার জেনেভায় প্রথম বৈশ্বিক উদ্বাস্তু ফোরামের প্লেনারি সেশনে একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সহায়তা দেওয়াসহ এ সমস্যার সমাধানে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। সমস্যা কার্যকরভাবে সমাধানের জন্য আমরা যৌথভাবে একটি জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান তৈরি করেছি। এর মাধ্যমে বিভিন্ন এজেন্সির পরিকল্পনা, তহবিল সংগ্রহ ও বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।
রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থনের জন্য বিশ্বনেতাদের ধন্যবাদ জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হচ্ছে সম্মান ও নিরাপদের সঙ্গে স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন।
তিনি বলেন, রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে মিয়ানমারের। আমরা প্রায়ই দেখতে পাই, মিয়ানমার তার দায়িত্ব পালনের বদলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ভুল পথে পরিচালনা করার চেষ্টা করে থাকে। সম্প্রতি রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমার মামলার শুনানিতে এটি আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে।