• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
প্রতিদিন গড়ে ধর্ষণের শিকার পাঁচ নারী

ফাইল ছবি

জাতীয়

মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান

প্রতিদিন গড়ে ধর্ষণের শিকার পাঁচ নারী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০২০

দেশে প্রতিদিন গড়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন ৫ জন নারী ও কন্যা শিশু। তবে প্রকৃত হিসাব আরো বেশি বলে সংশ্লিষ্টরা বলছেন। অনেকেই নির্যাতন কিংবা ধর্ষণের শিকার হয়েও সম্মান যাবে শঙ্কায় গোপন করছেন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের হিসাবমতে, গত এক বছরে উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৭০৩ জন নারী ও কন্যা শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে এই হিসাব পাওয়া গেছে। 

সংস্থাটির লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এ পরিসংখ্যান করেছে। ২০১৯ সালের নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের ঘটনাসহ মোট ৪ হাজার ৬২২ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের ঘটনার তথ্য পেয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘটনা এসেছে ধর্ষণের। 

সংস্থাটি বলছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছে মোট এক ৭০৩ জন। এর মধ্যে একক ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক হাজার ৩৭০ জন। রয়েছে বড় সংখ্যক গণধর্ষণের ঘটনা। গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২৩৭ জন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৭৭ জনকে, ধর্ষণের কারণে  আত্মহত্যা করেছে ১৯ জন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ২৪৫ জনকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে ৯১ জন।

মহিলা পরিষদ বলছে, যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৮৫ জন। এসিডদগ্ধের শিকার হয়েছে ২৪ জন। অগ্নিদগ্ধের শিকার হয়েছে  ৫১ জন, তন্মধ্যে অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪৭ জন। অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে ১১ জন। নারী ও শিশু পাচার করা হয়েছে ১৭ জন। তন্মধ্যে পতিতালয়ে বিক্রি করা হয় ৭ জনকে। বিভিন্ন কারণে ৬৩২ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে।

যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ৭০ জনকে। যৌতুকের কারণে নির্যাতন করা হয়েছে ৮৪ জন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৩৪ জন। উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ১০৪ জন, তন্মধ্যে উত্ত্যক্তের কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৭ জন। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২৬৪ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে, তন্মেধ্যে আত্মহত্যায় প্ররোচনার শিকার ৫৬ জন ও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে ১২ জন এবং ২৮৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ফতোয়ার শিকার হয়েছে ২৪ জন। বাল্যবিবাহ হয়েছে ৯৭ জন ও বাল্যবিবাহের চেষ্টা করা হয়েছে ১৬৯ জন। এছাড়া অন্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫১ জন নারী ও শিশু।

সর্বশেষ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন গত রোববার রাতে। এ ঘটনায় ঢাকাসহ দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এখনো ধর্ষককে শনাক্ত করতে পারেনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads