• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ভারতীয় উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা-মা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ফেলানী হত্যা দিবস পালন

  • রাশিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০২০

কুড়িগ্রাম সীমান্তে আলোচিত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড কিশোরী ফেলানী হত্যার ৯ বছর পূর্ণ হলো গতকাল মঙ্গলবার। সীমান্তে ফেলানী হত্যা দিবস উপলক্ষে ফেলানীর আত্মার মাগফেরাত কামনা করে গতকাল দুপুরে নিজ বাড়িতে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ নানা আয়োজনে দিনটি পালন করে তার পরিবার।

দেশ-বিদেশে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের বিচার ভারতের উচ্চ আদালতে গড়ালেও এখনো ন্যায়বিচার পায়নি তার পরিবার। ন্যায়বিচারের আশায় ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে দুটি রিট পিটিশন দাখিল করে যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে খুন হয় কিশোরী ফেলানী। ভারতের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারেই ঝুলে থাকে দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা। ফেলানীর ঝুলে থাকা লাশের ছবি

ভারতীয় উচ্চ আদালতে ন্যায়বিচারের দেশ-বিদেশের গণমাধ্যম ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোতে সমালোচনার ঝড় তোলে। সে সময় বিজিবির দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচারকাজ শুরু হয়। ওই বছর ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। রায় পুনর্বিবেচনার বিজিবির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারে আবারো অমিয় ঘোষকে খালাস দেন বিশেষ আদালত।

বিএসএফের বিশেষ আদালতে কন্যা হত্যার ন্যায়বিচার না পেয়ে ২০১৫ সালে ভারতের আইনজীবী অপর্নাভাট ও মানবাধিকার সংগঠন মাসুম’র সহায়তায় ভারতের উচ্চ আদালতে রিট করেন নুরুল ইসলাম। এখন ন্যায়বিচারের আশায় তাকিয়ে আছেন আদালতের দিকে।

ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম জানান, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় নির্মমভাবে বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ আমার মেয়েকে গুলি করে হত্যা করেছে। ভারত সরকার এ হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করলেও এখন ন্যায়বিচার পাননি তিনি। তবে ন্যায়বিচার পাওয়ার অপেক্ষায় এখনো দিন পার করছেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads