• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
একটি আইসিইউ‘র জন্য কুমিল্লার ৬০ লাখ মানুষের আকুতি

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

ফাইল ছবি

জাতীয়

একটি আইসিইউ‘র জন্য কুমিল্লার ৬০ লাখ মানুষের আকুতি

  • খায়রুল আহসান মানিক, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৯ এপ্রিল ২০২০

একটি সিটি করপোরেশন ও ১৭টি উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা। এখানে ৬০ লাখ মানুষের বাস। স্বাধীনতার প্রায় ৫০বছরেও এখানে একটি আইসিইউ (ইনসেনটিভ কেয়ার ইউনিট) চালু করা যায়নি। কুমিল্লার কোনো সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ নেই। করোনার এই দুঃসময়ে আইসিইউ ইউনিট জরুরি বলে মনে করছেন কুমিল্লার চিকিৎসক ও সচেতনরা। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে আইসিইউ‘র ১০টি বেড আছে। ১০ লাখ টাকা দামের একটি ব্লাড গ্যাস এনালাইজার মেশিনের জন্য তা চালু করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার সম্প্রতি ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেছিলেন। কুমেক হাসপাতালে আইসিইউ চালু নিয়ে চিকিৎসকরা আকুতি জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে সোমবার দুপুর পর্যন্ত কুমিল্লার সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসা অবহেলায় মারা গেছেন বলে তাদের স্বজনরা অভিযোগ করেন।

হাসপাতালের সূত্র জানায়, ১৯৯২ সালে এ হাসপাতালটি ২৫০ শয্যার হাসপাতাল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে তা ৫০০ শয্যা। এখানে কুমিল্লার সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চাঁদপুর, ফেনী, লক্ষীপুর ও নোয়াখালী অঞ্চলের স্বল্প আয়ের রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন। এছাড়া রয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ঘটনায় সংকটাপন্ন রোগী। এদিকে কুমিল্লার চারটি বেসরকারি হাসপাতালে স্বল্প পরিসরে আইসিইউ চালু থাকলেও তা ব্যয়বহুল।

সচেতন নাগরিক কমিটি কুমিল্লার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, হাসপাতাল প্রশাসন আগের থেকে সেবা প্রদানে আন্তরিক। তবে বিভিন্ন যন্ত্রপাতির সংকট রয়েছে। এটা এই অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল। এখান থেকে রোগীকে রেফার করা দুঃখজনক। পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসার জন্য এখানে আইসিইউ চালু করা প্রয়োজন।

হাসপাতালের পরিচালক ডা.মুজিবুর রহমান বলেন, কিছু যন্ত্রপাতি সংকটে আই সি ইউ চালু করতে পারছি না। যন্ত্রপাতির চাহিদা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি দ্রুত পেয়ে যাবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads