• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

এবার বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙচুর

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৮ ডিসেম্বর ২০২০

কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাচুরের রেশ না কাটতেই এবার আঘাত করা হলো বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী বাঘা যতীনের ভাস্কর্যে। কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নে বাঘা যতিন মহাবিদ্যালয়ের সামনে স্থাপিত ভাস্কর্যটির মুখমন্ডলে আঘাত করেছে দুষ্কৃতকারীরা। এতে নাক ও ডান পাশের গালের দিক ভেঙ্গে গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনো কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) এই ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যেই দোষীদের খুঁজে বের করতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

এর আগে, গত ৪ ডিসেম্বর (শুক্রবার) রাতের আঁধারে কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা। এসময় ভাস্কর্যের মুখ ও হাতের অংশ ভেঙে ফেলা হয়। পরে সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চার জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেদিনই ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনায় কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দিন মামলা করেন।

ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন সক্রিয় কর্মী। তিনি ঝিনাইদহ জেলার অধিবাসী ছিলেন। কোন অস্ত্রের সাহায্য ছাড়াই খালি হাতে বাঘ হত্যা করার পর তাকে বাঘা যতীন নামে অভিহিত করা হয়। তিনি ছিলেন বাংলার প্রধান বিপ্লবী সংগঠন 'যুগান্তর দলে'র প্রধান নেতা।

ব্রিটিশ ভারতে বাঙালিসহ ভারতবর্ষের সব জাতিসত্তার স্বাধীনতার সংগ্রাম ছিল এক সূত্রে গাঁথা। প্রধান লক্ষ্য ছিল ইংরেজদের বিতাড়ন করা। আর ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে যারা স্বাধীনতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম করেছেন, যাদের আত্মদান ইংরেজ শাসকদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছে, তাদের অন্যতম বিপ্লবী যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে ১৯১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর ইংরেজ বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে নিহত হন বিপ্লবী বাঘা যতীন। দেশমাতৃকার প্রতি গভীর ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতা, অপরিসীম সাহস ও শৌর্যবীর্য তাকে অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের প্রথম সারিতে স্থান দিয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads