• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

উন্নয়নের মহাসড়কে দেশ

  • মোহসিন কবির
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২১

মহামারী করোনাভাইরাসে গোটাবিশ্ব থমকে গেলেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা নতুন বছরজুড়েও থাকবে এমনই প্রত্যাশা সকলের। সব বাধা পেছনে ফেলে এগিয়ে গেছে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেল ও রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সব মেগাপ্রকল্পের কাজ। এবার নতুন বছরে নতুন লক্ষ্য ভিশন ২০২১-৪১।

গত বছর করোনা গোটাবিশ্বের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনীতিকে ওলটপালট করে দেয়। বিশ্ব অর্থনীতিতেও ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাংলাদেশও রক্ষা পায়নি এই দুর্যোগের হাত থেকে। করোনায় ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা, যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সবকিছু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে পড়েন লাখ লাখ মানুষ। আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় সরকারের আয়ের অন্যতম উৎস রাজস্ব আদায়ও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখা সরকারের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেয়। কিন্তু সব হিসেব পাল্টে দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার বেশ দক্ষতার সাথেই কোভিড-১৯ মোকাবিলা করে দেশের অর্থনীতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে সক্ষম হয়। কোভিড-১৯ মোকাবিলা ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে মোট ১,২১,৩৫৩ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।

সরকারের দেওয়া প্রণোদনা সুবিধার পাশাপাশি ধীরে ধীরে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ায় প্রাণ ফিরে পেতে শুরু করে দেশের অর্থনীতি। ২০১৯ সালের তুলনায় ১৬ দশমিক ৯৩ শতাংশ কম রপ্তানি কম হলেও শেষ পর্যন্ত গত অর্থবছরে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। প্রবাসী আয় বৃদ্ধি ও আমদানি কমে যাওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও নতুন নতুন উচ্চতা ছুঁয়ে গেছে। করোনার মধ্যে রিজার্ভ ৩ হাজার ৪০০ কোটি ডলার থেকে ৪ হাজার ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। মহামারীর মাঝেই মাথাপিছু আয় প্রথমবারের মতো দুই হাজার ডলার ছাড়িয়ে ২০১৯-২০ অর্থবছর শেষে দাঁড়িয়েছে ২০৭৪ ডলার, যা গত এক দশকের তুলনায় আড়াই গুণ বেশি।

তবে এসবকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বড় আশার খবর,  গত ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু পুরোপুরি দৃশ্যমান হওয়া। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই এই সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেতুটি খুলে দিলে বদলে যাবে দেশের অর্থনীতির চিত্র। একই সঙ্গে নতুন বছরেই শেষ হচ্ছে লেবুখালি ব্রিজসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরো বেশকিছু প্রকল্পের কাজ। পাশাপাশি সরকারের অন্য মেগা প্রকল্পগুলোর কাজও এগিয়ে চলেছে বেশ জোরেশোরে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এসব প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে আরোহণ করবে। সরকারের ভিশন-২০২১ এবং ভিশন-২০৪১ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে সহজেই।

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প

গত বছরের শুরুর দিকে প্রকল্পটিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার শ্রমিক কাজ করলেও করোনা মহামারীর শুরুতে চীনাসহ বিদেশি শ্রমিকদের অনেকেই চলে যায়। ফলে মার্চের দিকে মাত্র দেড় হাজার শ্রমিক নিয়ে সীমিত পরিসরে কাজ  চলে। বছরের শেষে এসে পুরোদমে কাজ শুরু হয়। সব ঠিক থাকলে ২০২২ সালের প্রথমভাগেই এ সেতু চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে বলে সরকার আশা করছে। ডিসেম্বর ২০২১ নাগাদ মূল সেতুর প্রায় ৯১ শতাংশ এবং সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে সাড়ে ৮২ শতাংশ। পদ্মা সেতুকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের মাওয়া পর্যন্ত দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে চীনের ‘সিনো হাইড্রো করপোরেশন’। ১০ হাজার ১৬২ কোটি টাকায় ২০০৭ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু প্রকল্প শুরু হতেই সময় লেগে যায় ২০১৪ সাল। চারবার প্রকল্প সংশোধন করে এখন ব্যয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।

পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প

দক্ষিণাঞ্চলকে ঘিরে বৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির লক্ষ্যকে সামনে রেখে পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্প যুক্ত করে সরকার। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ৩৯ হাজার ২৫৮ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ বসানোর কাজ চলছে। করোনার কারণে কাজের গতি কিছুট কমে গেছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ৩১ শতাংশ এবং মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত রেল লিংকের প্রায় ৬০ শতাংশ কাজ শেষে হয়েছে। ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাকি ৪০ শতাংশ কাজ শেষ করা যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১৬ সালে প্রকল্পের ডিপিপি অনুমোদনের সময় এর ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা, মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর। কিন্তু ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের ব্যয় আরো চার হাজার ২৬৯ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

রাশিয়ার সহযোগিতায় দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৩১ শতাংশেরও বেশি ভৌতকাজ শেষ হয়েছে। মহামারীর কারণে অন্য প্রকল্পগুলোর মতো এই প্রকল্পের কাজ ততটা বাধাগ্রস্ত হয়নি। এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পটির এ পর্যন্ত ২৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের প্রথম রিঅ্যাক্টর, প্রেসার ভেসেল ইতোমধ্যে পৌঁছে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ  করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দেশের প্রথম এই পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালের অক্টোবরে উৎপাদনে যাওয়ার কথা রয়েছে।

দোহাজারী-রামু-কক্সবাজার-ঘুমধুম রেললাইন

কোভিড-১৯ এর প্রভাবে বলতে গেলে প্রায় বন্ধ হয়ে ছিল প্রকল্পের কাজ। গত নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের ৪৫ শতাংশ কাজের অগ্রগতির কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১১ সালে গৃহীত প্রকল্পটি শুরুতে অর্থের সংস্থান ও পরে জমি অধিগ্রহণ জটিলতায় অনেক দেরি হয়ে যায়। ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ১৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্য থাকলেও দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত অংশের দ্রুত চলতি বছরের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পটি  তিনি স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে উদ্বোধন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

মেট্রোরেল

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশের প্রথম মেট্রোরেল চালুর নতুন লক্ষ্য নিয়ে দ্রুতগতিতে কাজ চলছে মেট্রেরেল প্রকল্পের। চলতি বছর অর্থাৎ ২০২১ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের কাজ শেষ করতে ২৪ ঘণ্টা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এমআরটি-৬ নামের এ প্রকল্পের উত্তরা থেকে আগারগাঁও ১১ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অংশ পর্যন্ত ২০২১ সাল এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য ছিল।

গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক গড় অগ্রগতি ৫৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা আগের বছর ২০১৯ সালের নভেম্বরের তুলনায় প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি। গত বছরের জানুয়ারিতে ৪০ দশমিক ৩৬ শতাংশ কাজ এগিয়েছিল। জাপান সরকারের সহযোগী সংস্থা জাইকার ৭৫ শতাংশ অর্থায়নে ২২ হাজার কোটি টাকায় মেট্রোরেল-৬ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু টানেল

চট্টগ্রাম শহরের সাথে আনোয়ারাকে যুক্ত করতে ‘ওয়ান সিটি-টু টাউন’ মডেলে কর্ণফুলী নদীর তলদশে তৈরি হচ্ছে সাড়ে তিন কিলোমিটারের  বঙ্গবন্ধু টানেল। চীনা অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি)। মহামারীর শুরুতে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত ৫১ শতাংশ এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত অগ্রগতি ৬১ শতাংশ বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।  নদীর তলদেশের নিচে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেল, দুই মুখে সড়ক আর ওভারপাস বা সেতুসড়ক নির্মিত হচ্ছে। ২০১৫ সালে অনুমোদন পাওয়া অর্থের অভাবে সময়মতো প্রকল্পের কাজ শুরু করা যায়নি। নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটির কাজ ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দর

দেশের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্নপূরণের পথে ধাপে ধাপে এগিয়ে চলেছে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর। গত বছরের ডিসেম্বরে পানামার পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি ভেনাস ট্রায়াম্প’ প্রথম ভেড়ে অনায়াসেই। মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণসামগ্রী ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে জাহাজটি। ভেনাস ট্রায়াম্প ভেড়ার মধ্যদিয়ে মাতারবাড়ী বাংলাদেশের শুধুই নয়; দক্ষিণ এশিয়ায় এবং পোর্ট-শিপিং মানচিত্রে ও ইতিহাসের অংশ হিসেবে তার প্রাথমিক পথচলা শুরু করল, যা এ প্রকল্পের একটি মাইলফলক অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। বহুমুখী সুবিধাসম্পন্ন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের নির্মাণকাজ এগিয়ে চলেছে দ্রুতগতিতে।

জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকার আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় নির্মাণকাজ চলছে। কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজও করছে জাপানি সংস্থা। মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাইকার ঋণ সহায়তা ১২ হাজার ৮৯২ কোটি ৭৬ লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দিচ্ছে ২ হাজার ২১৩ কোটি টাকা। এছাড়া বাংলাদেশ সরকার ও জাপানের অর্থায়নে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কক্সবাজারের মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালে। প্রকল্পের মোট অর্থায়নের ২৮ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা প্রকল্প সাহায্য হিসাবে জাইকা দেবে এবং অবশিষ্ট ৭ হাজার ৪৫ কোটি টাকা সরকার ও সিপিজিসিবিএল দেবে। ভূমি অধিগ্রহণ ও অন্যান্য কাজ শেষে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয় ২০১৭ সালে। ২০২৪ সালে এ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিষ্ঠান সিপিজিসিবিএল এ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তত্ত্বাবধান করছে।

দেশজুড়ে নেওয়া কয়েক লাখ কোটি টাকার এসব প্রকল্পের সবই ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে। তবে সরকারের লক্ষ্য ২০২৪ সালের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে  বেরিয়ে আসা এবং ২০৪১ সাল নাগাদ দেশের অর্থনীতিকে উচ্চ মধ্যম আয়ে উন্নীত করা। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের পাশাপাশি দেশ থেকে দুর্নীতি সমূলে উৎপাটনের পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিত করা না গেলে লক্ষ্য বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads