• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর দেনা ৩৯ হাজার কোটি টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জানুয়ারি ২০২১

২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সংস্থার মোট দেনার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ৩৪২ কোটি ৭৯ লাখ টাকা।

দেনার দিক থেকে শীর্ষে আছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও দেশীয় বাজারে তা কমানো হয়নি। ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও সংস্থাটির দেনা বেড়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারির তুলনায় ২০২০ সালের একই সময়ে দেনার পরিমাণ কমলেও এখনো দেনার শীর্ষে আছে বিপিডিবি। গত বছর বিপিডিবির ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল ১১ হাজার ৪২০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। এক বছরে এটি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৬৯১ কোটি ৬২ লাখ টাকা।

দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) ব্যাংকঋণ এক বছরের ব্যবধানে আরো বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি শেষে সংস্থাটির ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল ৬ হাজার ৫২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৯১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ বিমানের ঋণ বেড়েছে ১১ গুণেরও বেশি। ২০১৯ সালের জানুয়ারি শেষে সংস্থাটির ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৮৫ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৫৮৮ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

বর্তমানে লাভজনক প্রতিষ্ঠান হলেও দেনায় চতুর্থ স্থানে আছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। এক বছরে সংস্থাটির ব্যাংক ঋণ বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি শেষে বিপিসির ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৪৫৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। ২০২০ সালের জানুয়ারি শেষে এটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩৪৫ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।

২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ব্যাংকঋণ কমলেও প্রতিষ্ঠান দুটির দেনার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য। বিসিআইসির দেনার পরিমাণ ৪ হাজার ১০৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৫ হাজার ১২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা)। বিএডিসির দেনার পরিমাণ ৩ হাজার ১৩৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৩ হাজার ৫৭৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা)। দেনায় সপ্তম অবস্থানে থাকা পেট্রোবাংলার ব্যাংক ঋণ গত এক বছরে বেড়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি শেষে সংস্থাটির ব্যাংকঋণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৯৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। গত বছরের জানুয়ারি শেষে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

এছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল সংস্থার (বিএসইসি) দেনার পরিমাণ ১ হাজার ৪১১ কোটি ৭ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ২ হাজার ৮২৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) দেনার পরিমাণ ১ হাজার ১৪৭ কোটি ১৪ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ১ হাজার ১৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা), বাংলাদেশ জুট মিলস করপোরেশনের (বিজেএমসি) দেনার পরিমাণ ৯৩৫ কোটি ৭ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৮৮৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা), বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিডব্লিউডিবি) দেনার পরিমাণ ৬৯৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৫৭২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা) এবং ঢাকা ওয়াসার দেনার পরিমাণ ১৯৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ২৪৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা)।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) দেনার পরিমাণ ১১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৩৪১ কোটি ৪১ লাখ টাকা), বাংলাদেশ টি বোর্ডের (বিটিবি) দেনার পরিমাণ ১০৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) দেনার পরিমাণ ৯৫ কোটি ৯৩ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৪৬৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা), ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দেনার পরিমাণ ৫৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ৪২ কোটি ১৫ লাখ টাকা), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) দেনার পরিমাণ ২০ কোটি ৬২ লাখ টাকা (২০১৯ সালে ছিল ২১ কোটি ৯০ লাখ টাকা) এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) ৩১ লাখ টাকা বকেয়া ব্যাংক ঋণ রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads