• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
এবার এলপিজির দাম নির্ধারণ হচ্ছে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

এবার এলপিজির দাম নির্ধারণ হচ্ছে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ জানুয়ারি ২০২১

অবশেষে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণে গণশুনানি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আগামী ১৪ জানুয়ারি বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে শুরু হতে যাচ্ছে এই শুনানি। এক দিনে যদি আলোচনা শেষ করা না যায় তাহলে আরো দুই দিন, অর্থাৎ ১৭ এবং ১৮ জানুয়ারিও রাখা হয়েছে শুনানির তারিখ।

কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা অনেক আগে থেকেই চেষ্টা করছিলাম এলপিজির দাম নির্ধারণ নিয়ে কাজ করতে। কিছু কিছু কাজও করা হচ্ছিল। এলপিজির মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে আমরা সভাও করেছিলাম। কিন্তু নানা জটিলতায় এগোতে পারছিলাম না। সবশেষে হাইকোর্ট আমাদের যে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা এখন সে অনুযায়ী কাজ করছি। আগামী ১৪ জানুয়ারির শুনানির পর সবার মতামত এবং আমাদের গঠন করা কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা সারা দেশের গ্রাহকদের জন্য এলপিজির একটি নির্দিষ্ট দাম নির্ধারণ করতে পারব বলে আশা করছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই কমিশনের কাছে অভিযোগ আসছিল, নানা এলাকায় এলপিজির নানা দাম নেওয়া, বেশি দাম রাখা, একেক কোম্পানির একেক দাম রাখা হচ্ছে। আশা করছি এর মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান হবে। আমরা চেষ্টা করব সবার ন্যায্যতার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করতে।’

গত ২৯ নভেম্বর গণশুনানির মাধ্যমে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে প্রতিবেদন দাখিল না করায় কমিশনের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ১৫ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়। সেই শুনানিতে কমিশনকে ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত। ১১ জানুয়ারি আবার শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। এর পরপরই আদালত অবমাননার রুল থেকে বাঁচতে এলপিজির দাম নির্ধারণের উদ্যোগ নেয় কমিশন। আগামী ১৪, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি গণশুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর আগের কাজের জন্য একটি শিডিউলও তৈরি করে। গণশুনানির বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বিইআরসি।

কমিশনের নির্দেশে সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলো গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তাদের দামের প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেয়। এতে সরকারি কোম্পানি বিপিসির অধীন এলপি গ্যাস লিমিটেড সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৭০০ টাকা করা এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পক্ষে এলপিজি অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (লোয়াব) কমিশনের কাছে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৬৯ টাকা করার প্রস্তাব দেয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, ‘বিইআরসি আইন ২০০৩  অকেজো হয়ে গিয়েছিল। এর মধ্য দিয়ে আইনটি আবার প্রতিষ্ঠিত হলো। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কমিশনকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জ্বালানি বিভাগ এলপিজি লাইসেন্সিং নীতিমালা ২০১৭ করে, যা বিইআরসি আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই সমস্যা যখন তৈরি হয়, তখন আমরা রিট করি। এতে হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছেন। এটি কেবল শুরু। আমরা আরো কাজ করতে চাই। শুধু দাম নির্ধারণ নয়, লাইসেন্সও কমিশনকে দিতে হবে। সেখানে এখনো দুর্নীতি হচ্ছে।’

কমিশন জানায়, ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে এই শুনানি। শুনানির পর আগামী ২৪ জানুয়ারি লাইসেন্সিং ও স্বার্থসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে শুনানি পরবর্তীতে লিখিত মতামত প্রদান করা যাবে বলে তারা জানিয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads