• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেল গ্লোব

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ জানুয়ারি ২০২১

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য করোনার টিকা উৎপাদনের অনুমতি পেয়েছে বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক লিমিটেড। এই টিকার নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গভ্যাক্স। গতকাল বুধবার দুপুরে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের গবেষণা ও উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ডা. আসিফ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। করোনার টিকা প্রাপ্তি নিয়ে তুমুল আলোচনার মধ্যে গ্লোব এ কথা জানাল। 

তিনি বলেন, যেকোনো ওষুধ উৎপাদনের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমতি প্রয়োজন হয়। গ্লোব বায়োটেককে টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে অধিদপ্তর। ২৮ ডিসেম্বর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য প্রয়োজনীয় টিকার ডোজ উৎপাদনের অনুমোদন পেয়েছে তারা। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) প্রটোকল জমা দেব সামনের সপ্তাহে। এরপর ট্রায়াল শুরু করা হবে। চলতি জানুয়ারি মাসের মধ্যেই গ্লোবের টিকা বঙ্গভ্যাক্সের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।

করোনা মহামারীর মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শতাধিক কোম্পানি টিকা তৈরির চেষ্টায় আছে। সেই দৌড়ে থাকা একমাত্র বাংলাদেশি কোম্পানি গ্লোব বায়োটেক। শুরুতে তাদের ওই টিকার নাম ব্যানকোভিড থাকলেও ডিসেম্বরে তা পরিবর্তন করে বঙ্গভ্যাক্স রাখা হয়। বিশ্বে যেসব টিকা তৈরির কাজ হচ্ছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পর্যায়ে আছে এমন ৪২টি টিকার একটি তালিকা এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগের অবস্থায় (প্রি-ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল) থাকা ১৫৬টি টিকার আরেকটি তালিকা রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। ওই তালিকায় গ্লোব বায়োটেকের টিকার নাম উঠেছে।

গত বছরের জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্লোব বায়োটেকের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির চেষ্টার ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিন তারা জানিয়েছিলেন, গত ৮ মার্চ তারা টিকা আবিষ্কারের কাজ শুরু করেন এবং সব পর্যায়ের কাজ শেষ করতে পারলে আগামী ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যে এই টিকা বাজারজাত করা যাবে।

পরে ১০ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলন করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ইঁদুরের ওপর প্রয়োগ করে তাদের ওই সম্ভাব্য টিকা কার্যকর ও সম্পূর্ণ নিরাপদ প্রমাণিত হয়েছে। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআর’বির সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) করলেও পরে তা বাতিল করে গ্লোব বায়োটেক। গত ১ ডিসেম্বর গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়ে বলেন, আইসিডিডিআর’বির অনাগ্রহ দেখে তারা ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকা কিনতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বেক্সিমকো ফার্মা ও সেরাম ইনস্টিটিউটের মধ্যে চুক্তি হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads