• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে পড়েন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৮ জানুয়ারি ২০২১

হিন্দুসভার নেতারা থানায় এজাহার দায়ের করায় বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করার জন্য দারোগা সাহেব তাদের বাড়ি গেলেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর পিতাকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেখালেন। বঙ্গবন্ধুর পিতা বললেন, নিয়ে যান। দারোগা বাবু বললেন, ও খেয়েদেয়ে আসুক। আমি একজন সিপাহি রেখে যাচ্ছি, যেন ১১টার মধ্যে থানায় পৌঁছে যায়। কারণ দেরি হলে জামিন পেতে অসুবিধা হবে। বঙ্গবন্ধুর পিতা জিজ্ঞাসা করলেন, মারামারি করেছ? তিনি চুপ করে থাকলেন। যার অর্থ করেছি।

বঙ্গবন্ধু খাওয়াদাওয়া করে থানায় চলে গেলেন। সেখানে দেখলেন, তার মামা মানিক, সৈয়দসহ আরো ৭/৮ জনকে গ্রেপ্তার করে আনা হয়েছে। এরপর তাদের কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। কোর্ট দারোগা হিন্দু ছিল। কোর্টে পৌঁছানোর সাথে সাথে সবাইকে কোর্টের হাজতের ছোট কামরায় বন্ধ করে রাখা হলো। এ সময় দারোগা বললেন, মজিবুর খুব ভায়নক ছেলে। ছোরা মেরেছিল রমাপদকে। কিছুতেই জামিন দেওয়া যেতে পারে না। বঙ্গবন্ধু বললেন, বাজে কথা বলবেন না। ভালো হবে না। এ সময় যারা দারোগার সামনে বসে ছিল তাদের দারোগা বললেন, দেখ ছেলের সাহস। অন্য সকলে তখন বঙ্গবন্ধুকে কথা বলতে নিষেধ করলেন। পরে বঙ্গবন্ধু শুনেছেন তার নামে এজাহার দিয়েছে এই বলে যে, তিনি ছোরা দিয়ে রমাপদকে হত্যার জন্য আঘাত করেছিলেন নাকি। রমাপদের অবস্থা ভয়ানক খারাপ, হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো, রমাপদের সাথে বঙ্গবন্ধুর মারামারি হয় লাঠি দিয়ে। রমাপদ লাঠি দিয়ে আঘাত করলে বঙ্গবন্ধু প্রত্যাঘাত করার সময় রমাপদের মাথা ফেটে যায়।

বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মীবনী থেকে সংগৃহীত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads