করোনার টিকা একই সঙ্গে দুই ডোজ দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে। এতদিন প্রথম ডোজ দেওয়ার দুই মাস পর অর্থাৎ তৃতীয় মাসে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও এখন একসঙ্গে দুই ডোজের চিন্তা চলছে। এ বিষয়ে গত বুধবার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) আহমদ কায়কাউসের সভাপতিত্বে এক সভায় রোগতত্ত্ব ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা হয়। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক দায়িত্বশীল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ভারত সরকারের উপহারের ২০ লাখ ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মাধ্যমে আনা কয়েক লাখ টিকার মেয়াদ আগামী ১৬ এপ্রিল শেষ হবে। টিকা যেন অব্যবহূত থেকে নষ্ট না হয় সেজন্য এক ডোজের পরিবর্তে দুই ডোজ দেওয়ার ব্যাপারে আলোচনা হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর, এনসিডিসি ও মিডিয়া সেলের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ রোবেদ আমিনের কাছে দুই ডোজ একসঙ্গে দেওয়ার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান। এ ব্যাপারে বেশি কিছু বলতেও অস্বীকৃতি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জানুয়ারি রাজধানীর কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন। পরের দিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে (ঢাকা মেডিকেল, কুর্মিটোলা জেনারেল, কুয়েত মৈত্রী, মুগদা এবং বিএসএমএমইউ) ৫৪১ জনকে টিকা দেওয়া হয়।
ইতোমধ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যাদের টিকা দেওয়া হবে তাদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৮০ বছরের বেশি বয়সি ১৩ লাখ ১২ হাজার ৯৭৩ জন এবং ৭৭ থেকে ৭৯ বছর বছর বয়সি ১১ লাখ তিন হাজার ৩৫৩ জনকে টিকা দেওয়া হবে। দ্বিতীয় মাসে ৭৪ থেকে ৭৬ বছর বয়সি ৯ লাখ ৫৩ হাজার ১৫৩ জন এবং ৭০ থেকে ৭৩ বছরের ২০ লাখ ছয় হাজার ৮৭৯ জনকে টিকা প্রদান করা হবে।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়। গত বুধবার বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত সর্বমোট ৮৬ হাজারের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। আবেদনকারীদের মধ্যে গ্রামের চেয়ে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহর এলাকার আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি।