• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল নির্মাণ

বিদেশে প্রশিক্ষণে জনপ্রতি খরচ ৪৩ লাখ টাকা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রাজধানীতে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপনে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই বিদেশ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হবে। মূল প্রকল্পে ১৪০ জনের বৈদেশিক প্রশিক্ষণে খরচ ধরা হয়েছিল ৬৬ কোটি ৬ লাখ টাকা। প্রকল্পের প্রথম সংশোধনীতে ১৫৫ জনের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৬৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে মাথাপিছু বরাদ্দ দাঁড়িয়েছে ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮০ টাকা। প্রকল্পটির ব্যয়ের সঙ্গে মেয়াদ বৃদ্ধিরও আবেদন করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা। পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ইতোমধ্যে প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ শেষ হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) পুনর্গঠন করা হয়েছে। এটি এখন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী সভায় উপস্থাপনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে কোরিয়ার ঋণ ছিল ১ হাজার ৪৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা, বিএসএমএমইউর নিজস্ব তহবিল থেকে ১৭৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা এবং সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ১৪৫ কোটি ৬ লাখ টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বাড়িয়ে মোট ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬১ কোটি ১৮ লাখ টাকা। এ ক্ষেত্রে ব্যয় বাড়ছে ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। বর্ধিত ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিলের বাড়ছে ১৯৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা এবং বিএসএমইউর ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।

প্রকল্পটির মেয়াদ ছিল ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরবর্তী সময়ে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত এক বছর। প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে বিরাজ করছে ধীর গতি। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় ক্রমপুঞ্জিত ব্যয় হয়েছে মোট ৬০৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। সে অনুযায়ী প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৪৪ দশমিক ৬২ শতাংশ। এছাড়া ভৌত কাজের বাস্তব অগ্রগতি ৪৫ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডা. জুলফিকার বলেন, বিদেশে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের ডাক্তার, নার্স ও যারা হাসপাতাল পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত তাদের পাঠানো হচ্ছে বৈদেশিক প্রশিক্ষণে। তা ছাড়া এ খাতে ব্যয় বাড়ছে না। প্রকল্পটির ঋণ চুক্তি, অনুমোদন, দরপত্র প্রক্রিয়াকরণ এবং পরামর্শক নিয়োগ ও ডিজাইন করতেই অনেকটা সময় চলে গেছে। মূল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুন। এরপর কোভিডের কারণে ১১ মাস প্রকল্পের কার্যক্রম প্রায় বন্ধ ছিল। ফলে এর মেয়াদ বাড়াতে হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিএসএমইউতে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল ভবন নির্মাণের মাধ্যমে সেখানে ইমার্জেন্সি মেডিকেল কেয়ার সেন্টার, গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজি ও হেপাটোবিলিয়ারি সেন্টার, চাইল্ড অ্যান্ড মাদার হেলথ কেয়ার সেন্টার, কার্ডিও অ্যান্ড সেরেব্রো ভাসকুলার সেন্টার, কিডনি ডিজিজেস সেন্টার, আইসিইউ এবং কেন্দ্রীয় ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজি বিভাগ স্থাপনের জন্য ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৬ সালের জুন হতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদিত হয়। পরবর্তীতে প্রকল্পটির ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো করা হয়। এখন প্রথম সংশোধনীর প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, অনাবাসিক ভবন নির্মাণ, পরামর্শ সেবা, চিকিৎসা সরঞ্জাম পরামর্শ, নির্মাণ তদারকি পরামর্শ, মেডিকেল এবং সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি, আসবাবপত্র সংগ্রহ, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, কম্পিউটার সফটওয়্যার ও যানবাহন ক্রয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads