• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

হত্যার ৪ দিনেই গ্রেপ্তার

সিসি ক্যামেরা চিনিয়ে দিল খুনিদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সিসিটিভি ফুটেজে আরো একবার সুফল পেল গোয়েন্দারা। রাজধানীর কদমতলীতে চাঞ্চল্যকর এক হত্যার ঘটনায় সিসিটিভির ফুটেজে খুনিদের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রাতে কদমতলী থানার পূর্ব জুরাইন কলেজ রোডের নবারুন গলির মাথায় একদল দুর্বৃত্ত জাকির হোসেনকে ছুরি দিয়ে বুকে, পেটে নৃশংসভাবে আঘাত করে ও পায়ের রগ কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে এবং অপর ভিকটিম মো. মজিবর রহমান ওরফে মোহনকে গুরুতর আহত করে ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়। পরবর্তীসময়ে ভিকটিমদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জাকির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

মামলার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগের ওয়ারী জোনাল টিম তদন্ত শুরু করে। পরে সেখানকার এক সিসিটিভির ফুটেজে খুনিদের শনাক্ত করে গোয়েন্দা টিম। একপর্যায়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-মো. শুক্কুর, মো. নুরুল ইসলাম স্বপন, মো. রতন ওরফে সোলাইমান ওরফে রেম্বো, মো. শফিকুর রহমান ওরফে দিপু, ফাহিম হাসান তানভীর ওরফে লাদেন, মো. তরিকুল ইসলাম তারেক ও মো. মাসুদ পারভেজ।

ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম বলেন, মূলত আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। রাজধানী ও এর পাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে গত রোববার এদের গ্রেপ্তার করা হয়। 

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার জানান, গ্রেপ্তাররা একটি সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী ও অপরাধ জগতের সক্রিয় সদস্য। ঘটনার দিন এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভিকটিমদের ওপর হামলা চালায় তারা। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

তিনি বলেন, ঘটনার পর আমরা ছায়া তদন্ত শুরু করি। আমাদের তদন্তকারী দল সেখানে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। এরপর আমরা খুনিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হই। শনাক্তের পর শুরু হয় গ্রেপ্তার অভিযান। আমরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ঘটনায় আরো কয়েকজন জড়িত রয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজে প্রথমে আমরা একজনকে শনাক্ত করি। পরে তার দেওয়া তথ্যে বাকিদেরও আটক করা হয়। বাকিরাও সিসিটিভি ফুটেজের আওতায় ছিল।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিভিন্ন ঘটনায় যেখানে সিসিটিভির আওতায় ছিল সেগুলো থেকে আমরা ভালো রেজাল্ট পেয়েছি। বিশেষ করে সিসিটিভির আওতায় কোনো ঘটনা ঘটলে অপরাধীকে শনাক্ত করতে সময় লাগে না। এজন্য বড় শপিংমল, বাসাবাড়িতে নিজ উদ্যোগে সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ আমরা দিয়েছি। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে যেসব এলাকায় লাগানো প্রয়োজন সেসব এলাকায় লাগানো হচ্ছে। আরো সিসিটিভি লাগানোর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads