• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯
প্রাথমিকের ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরতের রিট খারিজ

ফাইল ছবি

জাতীয়

প্রাথমিকের ৪৮ হাজার শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরতের রিট খারিজ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

সারা দেশে জাতীয়করণ করা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল কেটে নিতে অর্থ মন্ত্রণালয় ও হিসাব মহানিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের সিদ্ধান্ত (পরিপত্র) বাতিল প্রশ্নে রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।

রিটকারীদের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে জাতীয়করণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৮ হাজার ৭২০ শিক্ষকের টাইম স্কেল ফেরত দিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র নিয়ে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পরিপত্রের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে রিটকারীদের আবেদন করতে বলেছেন আদালত।

তিনি বলেন, হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন শিক্ষকগণ।

ব্যারিস্টার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ গত ১৩ জানুয়ারি তিন সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষকের টাইম স্কেল সংক্রান্ত রুল নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ অনুযায়ী শুনানি শেষে আজ রায়ের দিন ধার্য ছিল।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় এক লাখ চার হাজার ৭৭২ জন শিক্ষকের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিগ্রহণ করা এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকরির শর্ত ঠিক করে একটি বিধিমালা জারি করে। এর আলোকে শিক্ষকরা টাইম স্কেল পেয়ে আসছেন। কিন্তু গত বছর ১২ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় ৪৮ হাজার ৭২০ জন শিক্ষকের টাইম স্কেল বাতিল করে একটি আদেশ জারি করে। এতে এরই মধ্যে টাইম স্কেল বাবদ নেওয়া অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়। এ আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ৩১ আগস্ট হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক কল্যাণ সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহীর গাঙ্গোপাড়া বাগমারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন শিক্ষক। ওই দিন হাইকোর্ট ছয় মাসের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আদেশ স্থগিত করে দেন।

হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি ৮ সেপ্টেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত ১৩ সেপ্টেম্বর এক আদেশে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। চেম্বার বিচারপতির আদালতের আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিট আবেদনকারীরা।

ওই আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ রিট আবেদনটি নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দেন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads