• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

পুলিশ এখন আরো আধুনিক

প্রযুক্তিতে অনন্য, বাহিনীতে ইউনিট ১৭৭টি, সংখ্যা প্রায় সোয়া দুই লাখ

  • ইমরান আলী
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২১

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশ পুলিশের আধুনিকায়ন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। একসময়ের মেট্রোপুলিশ সাইকেল নিয়ে যে ডিউটির প্রচলন সেটি এখন আধুনিক গাড়ি ছাড়াও আসছে হেলিকপ্টারও। অ্যানালগ পদ্ধতিতে আসামি ধরা চেঞ্জ হয়ে এখন ডিজিটাইলজড পদ্ধতিতে প্রচলন হয়েছে। আঙুলের ছাপে অপরাধীর সমস্ত বিবরণ বের হওয়া। এক কথায় পরিবর্তনের হাওয়ায় বাংলাদেশের পুলিশ এখন আধুনিক পুলিশ। বিশ্বের উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশ পুলিশও সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অন্যন্য এক উচ্চতায় পৌঁছেছে। ধারণা করা হচ্ছে পুলিশের আধুনিকায়নের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন হলে এটি আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে। 

সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনসহ দেশের অভ্যন্তরীণ সার্বিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ছাড়াও নানামুখী দায়িত্ব পালন করতে হয় পুলিশকে। গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, মামলা নেওয়া, তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা, বিচার প্রক্রিয়ায় সহায়তা, ভিআইপি নিরাপত্তা ও প্রটোকল দিতে হয় এই বাহিনীকে। দিন যত যাচ্ছে এই বাহিনীর কাজের পরিধিও তত বাড়ছে। দেশের মানুষের জন্য পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতে বাহিনীতে গড়ে উঠেছে নতুন নতুন ইউনিট।

সংশ্লিষ্টরা জানান, একসময় পুলিশ সদর দপ্তর, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), শারদা পুলিশ একাডেমিসহ কয়েকটি ট্রেনিং সেন্টার, বিভাগ, মহানগর, জেলা ও থানা ইউনিট ছাড়া আর কোনো ইউনিট ছিল না।

বর্তমানে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট ও ট্রাফিকসহ অনেকগুলো বড় ইউনিট রয়েছে পুলিশ বাহিনীতে। নতুন করে যোগ হচ্ছে মেডিকেল, শিক্ষা ইউনিট, এয়ার উইংসহ আরো একাধিক ইউনিট। সব মিলিয়ে এই সময়ে পুলিশ বাহিনীতে ইউনিট রয়েছে ১৭৭টি। রয়েছে হাইওয়ে, রেলওয়ে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল, নৌ, ট্যুরিস্ট, পুলিশ, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও স্পেশাল পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এসপিবিএন)।

জানা যায়, বর্তমানে এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় সোয়া দুই লাখ। বাহিনীর আধুনিকায়নও এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সাইবার অপরাধ দমনে পুলিশের সারা দেশের ইউনিটগুলোতে রয়েছে সাইবার সেকশন। আলাদাভাবে সাইবার থানা করারও চিন্তাভাবনা রয়েছে সরকারের। বিমানবন্দরকেন্দ্রিক গঠন করা হয় পুলিশের আলাদা ইউনিট।

প্রশিক্ষণের কোনো বিকল্প নেই। যে কারণে পুলিশের কনস্টেবল থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সবাইকে নিয়মিত প্রশিক্ষণে অংশ নিতে হচ্ছে। সারা দেশেই অনেকগুলো ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। দেশের বাইরে গিয়েও প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। একইসঙ্গে জঙ্গিবাদ দমনের সফলতা জানাতে ইউরোপসহ বিশ্বের অনেক দেশের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ পুলিশের কর্মকর্তাদের নিয়মিত সেসব দেশে যেতে হচ্ছে। মানুষকে তাৎক্ষনিক সেবা দিতে করা হয়েছে ‘৯৯৯’ নামের ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি সার্ভিস। পুলিশ সদর দপ্তরসহ প্রত্যেকটি ইউনিটে ফেসবুক পেজ খুলে সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষের কাছ থেকে অভিযোগ গ্রহণ করে দ্রুত সেবা নিশ্চিত করছে পুলিশ। অসংখ্য ভুক্তভোগী পুলিশের এ দুটি মাধ্যমের সহযোগিতা নিয়ে আশানুরূপ সেবা নিচ্ছেন। রয়েছে বিডি পুলিশ হেল্প লাইন নামের অ্যাপস। জঙ্গি দমনের জন্য দ্রুত অ্যাকশনে যেতে রয়েছে সোয়াত নামের পুলিশের আলাদা কমান্ডো ইউনিট।

আন্তর্জাতিক পুলিশি সংস্থা ইন্টারপোল-এর সদস্য বাংলাদেশ পুলিশ। পুলিশ সদর দপ্তরে ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো নামে ইন্টারপোল সংক্রান্ত কাজ করে এই ইউনিট। বিভিন্ন দেশে পালিয়ে থাকা দেশের দাগী সন্ত্রাসীদের ধরতে এই শাখা নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশে এখন অত্যাধুনিক ফরেনসিক বিভাগ, মানি লন্ডারিং, মানবপাচার, কল ডায়ালিং রেকর্ড (সিডিআর) সেকশন রয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে একেবারেই ক্লু লেস অনেক চাঞ্চল্যকর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তরে নবীন পুলিশ কর্মকর্তাদের এক অনুষ্ঠানে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শর্ত আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল থাকা। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার মাধ্যমে দেশে শান্তি বজায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। দেশে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশ এখন বিশ্বে ‘রোল মডেল’। জঙ্গিবাদ দমনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতা থাকায় আমরা সফল হয়েছি। তিনি আরো বলেন, জনগণের সঙ্গে অসদাচরণ করা থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। পেশিশক্তি নয় ব্যবহার করতে হবে আইনি সক্ষমতা। জনগণের কল্যাণে কাজ করার অপার সুযোগ রয়েছে পুলিশের। পুলিশ হতে পারে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ও সোশ্যাল লিডার। তিনি বলেন, পুলিশের কাছে জনগণের প্রত্যাশা বেশি। সমাজের চাহিদা বেশি। জনগণ, সমাজ, মিডিয়া প্রতিনিয়ত পুলিশকে ওয়াচ করে। জনগণের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

ট্যাকটিক্যাল বেল্টে পুলিশ : ঢাকা ও চট্টগ্রামে ১০ হাজার পুলিশ এখন ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ পরে ডিউটি করেন। গত ১৬ ডিসেম্বর থেকে উন্নত দেশের পুলিশ যেমন ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পরে ডিউটি করেন ঠিক একই নিয়মে প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা ও চট্রগ্রামে ১০ হাজার পুলিশ একইভাবে ডিউটি করছেন।

ট্যাকটিক্যাল বেল্ট সংযোজন পুলিশের ইতিহাসে এক অন্যন্য ঘটনা। বছরের পর বছর ধরে পুলিশের মাঠ পর্যায়ের সদস্যদের এভাবে দায়িত্ব পালন করতে দেখে সবাই অভ্যস্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাইফেল বয়ে বেড়ানোর অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট সংযোজনের ফলে।

পুলিশ সদর দপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ট্যাকটিক্যাল বেল্টের মূল স্লোগান হলো ‘হ্যান্ডস ফ্রি পুলিশিং’ মানে হাত খালি রাখা। এতে বড় অস্ত্র বহনের ঝক্কিঝামেলা আর থাকবে না। এতে পুলিশের কাজে গতি আসবে, মনোবলও বাড়বে। একই সঙ্গে পুলিশকে দেখতেও আরো আধুনিক ও যুগোপযোগী লাগবে।

আসছে হেলিকাপ্টারও : এদিকে জননিরাপত্তা বিধানে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরো বাড়াতে বাংলাদেশ পুলিশে যুক্ত হচ্ছে দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার।

হেলিকপ্টার দুটি গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জি টু জি) পদ্ধতিতে রাশিয়া থেকে কেনার জন্য ১০ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বাংলাদেশ পুলিশ এবং হেলিকপ্টার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টারর্সের মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ এবং জেএসসি রাশিয়ান হেলিকপ্টারর্সের মহাপরিচালক আন্দ্রে আই. ভোগেনিস্কি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে সই করেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। অনুষ্ঠানে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এবং বাংলাদেশস্থ রাশিয়ান দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

যোগ হচ্ছে আরো তিনটি নতুন ইউনিট : যুগের চাহিদায় নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে পুলিশ বাহিনী। দিনবদলের সঙ্গে বাড়ছে কাজের পরিধি। জননিরাপত্তায় ও সেবা বাড়াতে আধুনিক ও জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলছে সরকার। যুগের চাহিদায় পুলিশে যোগ হচ্ছে আরো তিনটি নতুন ইউনিট।

তিন পার্বত্য জেলার জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তায় নতুন করে যোগ হচ্ছে মাউন্টেন ব্যাটালিয়ন। একইভাবে পুলিশ বাহিনীতে মেডিকেল শিক্ষা ও এয়ার উইং নামে আরো দুটি ইউনিটও গঠন করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এসব ব্যাটালিয়ন গঠনের নির্দেশনা পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তর কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়।

পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা জানান, দেশের মানুষের জন্য পুলিশি সেবা আরো বাড়াতে ও পুরো দেশকে নিরাপত্তার জালে আনতে বাহিনীতে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ইউনিট। এর সঙ্গে নতুন যোগ হবে মাউন্টেন ইউনিট, মেডিকেল শিক্ষা ইউনিট ও এয়ার উইং ইউনিট। এজন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফাইল (ডিপিপি) ও অর্গানোগ্রাম তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। এসব তৈরির পর পুলিশ সদর দপ্তর থেকে পাঠানো হবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

একই সূত্র জানায়, পুলিশ বাহিনীতে নতুন ইউনিটগুলো গঠনে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা আরো বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের অবদান : বিশ্বে শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে। ১৯৮৯ সাল থেকে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ এ অবদান রেখে চলেছে। বহির্বিশ্বে সেবা ও শান্তিরক্ষায় এ অবদান কেবল বাংলাদেশ পুলিশের ভাবমূর্তি নয় দেশের সুনাম বৃদ্ধির অন্যতম অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখছে।

বর্তমানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিভিন্ন দেশের শান্তি মিশনে তারা সুনামের সাথে কাজ করছেন। এ শান্তি মিশনে অংশগ্রহণকারীরা নীল হেলমেট পরিহিত থাকেন। বর্তমানে বিশ্বের পাঁচটি দেশে বাংলাদেশ পুলিশ শান্তিরক্ষায় অবদান রাখছে। পুলিশের ১,১১০ সদস্য পাঁচটি দেশে সাতটি ফর্মড ইউনিটের (এফপিইউ) মাধ্যমে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত। পুলিশের সদস্য ইউএন পুলিশের সুদান, হাইতি, দারফুর, সোমালিয়া, লাইবেরিয়াতে কাজ করছে। এ ছাড়া পুলিশ সদস্যরা সেকন্ডম্যান হিসেবে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ও বিভিন্ন ফিল্ড মিশনে কর্মরত।

লাইবেরিয়া মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের সুনামকে অক্ষুণ্ন রেখেছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সদস্যরা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা এ মিশনে রয়েছেন। সেখানে বাংলাদেশের পুলিশ কেবল শান্তিরক্ষা বাহিনী নয় বরং বন্ধু-অভিভাবক হিসেবে উপনীত হয়েছে। ফলে সুশৃঙ্খল, উদ্যোগী ও সদ্ব্যবহারের জন্য লাইবেরিয়ানদের কাছে বাংলাদেশ পুলিশ অত্যন্ত প্রিয় এবং আস্থাভাজন হিসেবে স্বীকৃত।

কেবল তা-ই নয়, মিশনে কর্মরত বিশ্বের সমগ্র অঞ্চলের নাগরিকদের কাছেও আমাদের পুলিশ আচরণ ও বন্ধুসুলভ ব্যবহার প্রশংসিত। লাইবেরিয়া একটি উন্মুক্ত ও খোলামেলা সমাজ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশের পুলিশ সদস্যদের সুশৃঙ্খলা, সংযম ও সদাচরণের জন্য কোনো ধরনের প্রলোভন তাদের আকৃষ্ট করেনি। ফলে তারা নিজেদের, পুলিশ বাহিনীর ও বাংলাদেশের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

পুলিশ সদর দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগের এআইজি সোহেল রানা বলেন, সময়ের প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিশেষায়িত সেবা দিতে বিভিন্ন সময় পুলিশে ভিন্ন ভিন্ন ইউনিট যুক্ত হয়েছে। এসব ইউনিটের প্রত্যেকটি নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ, জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণসহ দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলাকে স্বাভাবিক ও বিনিয়োগবান্ধব রেখেছে। যার ফলে অর্থনৈতিকভাবে অন্যতম উদীয়মান দেশ হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পথ বাংলাদেশের জন্য সহজ হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দু-একটি ব্যতিক্রম ছাড়া পুলিশের সফলতাই বেশি। যেসব ক্ষেত্রে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয়সহ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads