• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২১ মার্চ ২০২১

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগামী ২৪ মে থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। এসব গুজব থেকে পরীক্ষার্থীদের সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এম মনসুরুল আলম। শনিবার (২০ মার্চ) গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন তিনি।

শুক্রবার বিকেল থেকে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আগামী ২৪ মে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে বলে একটি গ্রুপ প্রচার শুরু করেছে। এসব প্রচারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে উদ্ধৃতি করা হচ্ছে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে বলা হচ্ছে চার ধাপে আগামী ২৪ ও ৩১ মে এবং ১৪ ও ২১ জুন সকাল ১০টায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার কোনো সিদ্ধান্ত আসলে হয়েছে কি না, জানতে চাইলে ডিপিই মহাপরিচালক বলেন, আমরা আগেই বলেছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না। তারপরও যদি কোনো সিদ্ধান্ত হয় অবশ্যই তা গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। পরীক্ষার্থীদের এসব গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান মহাপরিচালক।

ডিপিই সূত্র জানায়, করোনার মধ্যে বিসিএস পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় একটি মহল একে পুঁজি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন তথ্য ছড়াচ্ছে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, বিসিএসে পদের সংখ্যা ২ হাজার, আর প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। পরীক্ষার তারিখের বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে এখনও এমন কোনো নির্দেশনা নেই। এ বিষয়টি একদম প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তবে নিয়োগ পরীক্ষার গুজবের বিষয়টি আমাদের নজরে আছে।

তিনি আরো বলেন, প্রতারক চক্রের অভাব নেই। সারাদেশে বেশকিছু প্রতারক চক্র এভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে আসছে। তবে এ ধরনের তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার না করতে আবেদনকারীদের অনুরোধ করেন তিনি।

এবার প্রাথমিক শিক্ষক হিসেবে ৩২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেবে সরকার। যার মধ্যে প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ে নিয়োগ পাবেন ২৫ হাজার ৬৩০ জন। এই নিয়োগে ১৩ লাখ পাঁচ হাজারের বেশি আবেদন জমা হয়। অনলাইনে আবেদন করতে গিয়ে প্রার্থীদের বিভিন্ন ধরনের ভুল সংশোধন করার সুযোগ দেয় ডিপিই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads