• শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪২৯
বিশ্বে শান্তি চায় দুই দেশ : মোদি

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

বিশ্বে শান্তি চায় দুই দেশ : মোদি

  • কূটনৈতিক প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০২১

বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের উন্নয়ন ও প্রগতির চেয়ে গোটা বিশ্বের উন্নয়ন দেখতে চায়। বিশ্বে অস্থিরতা, আতঙ্ক, সন্ত্রাস ও অশান্তির পরিবর্তে শান্তি ও স্থিতিশীলতা দেখতে চায় দুই দেশ। গতকাল শনিবার গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে মতুয়া প্রতিনিধিদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে দুপুরে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি। সেখানে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়িতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা-অর্চনা করেন। পরে মতুয়া প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন তিনি। এ সময় মোদি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সামনে যেসব অভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে, দুই দেশ একজোট হয়ে প্রত্যেকটি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা উচিত। এটা দুই দেশের কোটি কোটি মানুষের কল্যাণের পথ। তিনি বলেন, এখানে আসার আগে আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে গিয়েছি। সেখানে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব, উনার ভিশন ও মানুষের প্রতি তার বিশ্বাস উদাহরণস্বরূপ।

মোদি আরো বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সরকার দুই দেশের স্বাভাবিক সম্পর্ককে যেভাবে শক্তিশালী করছে, সাংস্কৃতিকভাবে এই কাজই ঠাকুরবাড়ি ও শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের বার্তা বহু বছর ধরে করে আসছে। বলতে গেলে, এই স্থানটি ভারত ও বাংলোদেশের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থক্ষেত্র। আমাদের সম্পর্ক মানুষের সঙ্গে মানুষের, মনের সঙ্গে মনের।

ওড়াকান্দিতে যাওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদি। বেলা সাড়ে ১১টার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মোদিকে টুঙ্গিপাড়ায় অভ্যর্থনা জানান বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শন, পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৃক্ষরোপণ ও দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এর আগে সকালেই হেলিকপ্টারযোগে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন ও পূজা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে সাড়ে ৪০০ বছরের পুরোনো যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী পূজা দেন তিনি। সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যশোরেশ্বরী মন্দিরে ১০টার দিকে পৌঁছান। মোদি হেঁটে মন্দিরে প্রবেশ করলে উলুধ্বনি ও শংখ ধ্বনিতে তাকে বরণ করে নেন পূজারীরা। মন্দিরে প্রবেশের পর রীতি অনুযায়ী দেবীকে মুকুট পরিয়ে দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর দেবীকে বস্ত্রদান করেন তিনি। দেবীকে মাল্যদানের পর যোগাসনে বসে পাঠ করেন পূজার মন্ত্র। পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর তিনি দেবীকে প্রদক্ষিণ করেন। পূজা শেষে পুরোহিত তাকে উত্তরীয় পরিয়ে দেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী যশোরেশ্বরী মন্দির প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় পূজারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় ও ছবি তোলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads