• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

সুপ্রভাত বাংলাদেশ

  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০২১

মূলত একজন উদ্যোক্তাকে ব্যবসা শুরু করতে গিয়ে পড়তে হয় নানারকম কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতায়। নতুন একটি ব্যবসা শুরু করতে হলে উদ্যোক্তাকে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ছুটতে হয়। এতে সময়ক্ষেপণ, হয়রানিসহ নানা জটিলতায় পড়তে হয় তাকে। এর ফলে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্য। এমনকি বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের অর্থনীতি। আবার হয়রানি ও জটিলতার কারণে অনেকে অবৈধ পন্থা গ্রহণে বাধ্য হন। এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ সূচকে উন্নতিসহ কর ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় অনলাইনভিত্তিক কর ব্যবস্থার প্রবর্তনে এনবিআর বেশকিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ‘অটোমেশন’।

বর্তমানে অটোমেশন কার্যক্রমের আওতায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বন্ড ম্যানেজমেন্ট অটোমেশন প্রজেক্ট (বিএমএপি), ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) প্রজেক্ট এবং ভ্যাট অনলাইন প্রজেক্ট (ভিওপি) বাস্তবায়ন করছে। এ ছাড়া ভ্যাট আদায়ে স্বচ্ছতা ও সহজীকরণের পাশাপাশি আওতা বাড়িয়ে পরিমাণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইলেকট্রনিকস ফিসক্যাল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ইএফডিএমএস) প্রবর্তন করেছে এনবিআর। এসব প্রকল্প পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ঘরে বসেই কর দেওয়া, ভ্যাট নিবন্ধনের আবেদন ও নিবন্ধন গ্রহণ, আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে বিল অব এন্ট্রি সাবমিটসহ নানারকম সুবিধা পাবেন সাধারণ করদাতা ও ব্যবসায়ীরা।

এটি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে করদাতা, আমদানি-রপ্তানিকারকদের কমপ্লায়েন্স কষ্টও কমে আসবে। আগামীতে শতভাগ রিটার্ন অনলাইনে প্রদানের জন্য চেষ্টা চলছে। অটোমেশন কার্যক্রম পুরোপুরি কার্যকর হলে এসব ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য ধরা দেবে সহজেই। বর্তমানে অনলাইন নিবন্ধন, কর সনদ ও রিটার্ন দাখিলসহ কয়েকটি ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির প্রয়োগ হচ্ছে। আর ইলেকট্রনিকস ফিসক্যাল ডিভাইস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বা ইএফডিএমএস প্রবর্তনের মাধ্যমে সামগ্রিক ভ্যাট ব্যবস্থাপনাকে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ নীতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এক ধাপ এগিয়ে গেল। এর ফলে বিক্রয় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য এনবিআর লাইভ মনিটরিং করতে পারবে। আবার ভোক্তারাও তাদের পরিশোধিত ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হলো কি না সেটি কিউআর কোডের মাধ্যমে সঙ্গে সঙ্গেই নিশ্চিত হতে পারবেন।

লেখক: ড. আব্দুল মান্নান শিকদার

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads