• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে অনুমতি না দেয়ায় বিএনপি ‘হতাশ ও ক্ষুব্ধ’

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০২১

খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা করাতে পরিবারের আবেদন সরকার নাকচ করায় বিএনপি হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ক্ষমা করে বিদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে অথচ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য তাদের কোনো মানবতা–শিষ্টাচার কাজ করে না।

তিনি বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে আমরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ। যে যুক্তিতে এই সিদ্ধান্ত, তা যৌক্তিক বলে মনে করেন না বিএনপি মহাসচিব।

খালেদা জিয়ার ভাই শামীম এস্কান্দারের করা আবেদনটি রবিবার নাকচ করে দিয়েছে সরকার। ফলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না খালেদা জিয়া।

বিকেলে এই সিদ্ধান্ত জানানোর পর রাত আটটার দিকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে দেখে এসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাসংলগ্ন ৩০০ ফুট সড়কের মাথায় সংবাদ সম্মেলন করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে পারবেন। ফুসফুস থেকে তরল বের হওয়ায় একটি নল মুখ দিয়ে ভেতরে নেওয়া হয়েছে। সেখানে দায়িত্বরত একজন চিকিৎসক জানিয়েছেন, করোনা–পরবর্তী জটিলতায় তার ফুসফুস থেকে তরল বের করা হচ্ছে।

খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার অনুমতি না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো রাজনীতি থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে সরিয়ে রাখা।

তিনি বলেন, যখন নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়, তখন করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছিল। এ অবস্থায় চিকিৎসার সুযোগ ছিল না। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে সরকার খুব বেশি উপকার করেনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা বলেছেন খালেদা জিয়ার আরও ভালো চিকিৎসা দরকার। তিনি এখনো ঝুঁকির মধ্যে আছেন। এই চিকিৎসা যথেষ্ট নয়।

তিনি বলেন, ওয়ান–ইলেভেনের ধারাবাহিকতায় সরকার খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়, এ জন্যই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্যই এ সিদ্ধান্ত।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আইনের মধ্যেই যথেষ্ট পরিমাণ দণ্ড মওকুফের সুযোগ রয়েছে। খালেদা জিয়ার জন্য তাদের মানবতা কাজ করেনি, শিষ্টাচার কাজ করেনি। রাজনীতির শিকার হয়েছেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করবেন কি না জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, দল কোনো আবেদন করেনি। এটা তার পরিবার সিদ্ধান্ত নেবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads