• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
জমে উঠেছে নতুন নোটের বাজার

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

জমে উঠেছে নতুন নোটের বাজার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০২১

ঈদুল ফিতর দুয়ারে কড়া নাড়ছে। ঈদ উদ্যাপনের অন্যতম অনুষঙ্গ সালামি। আর সালামিতে নতুন নোটের জুড়ি নেই। ছোট-বড় সবারই পছন্দ নতুন টাকার নোট। পাশাপাশি বখশিশ, ফিতরা বা দান-খয়রাতেও অনেকে নতুন নোট বিতরণ করে থাকেন। তাই অনেকেই ঈদ উপলক্ষে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন।

রমজানের প্রায় শেষ আর ব্যাংক বন্ধ থাকায় নতুন নোটের জন্য অনেকেই যাচ্ছেন রাজধানীর গুলিস্তান এবং বাংলাদেশ ব্যাংক সংলগ্ন এলাকায়। ওই এলাকায় নতুন টাকার অস্থায়ী বাজার বেশ জমে উঠেছে।

গত কয়েকদিনের চেয়ে গতকাল সোমবার বেচাকেনা বেশি হয় বলে জানান বিক্রেতারা। তারাসহ ক্রেতারা জানান বেড়েছে দামও। প্রতি বান্ডিলে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয় বলে অভিযোগ সাধারণ ক্রেতাদের।

গুলিস্তান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ভ্রাম্যমাণ টাকা বিক্রেতারা ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ২০০ টাকার নতুন নোট বিক্রি করেন। প্রতি বান্ডিল টাকা কিনতে হলে ক্রেতাকে অতিরিক্ত ১২০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি গুনতে হয়। ৫ টাকার একটি বান্ডিলের জন্য ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, ১০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা, ২০ টাকার এক বান্ডিলে ১৮০ টাকা, ৫০ টাকার এক বান্ডিলে ২০০ টাকা, ১০০ টাকার এক বান্ডিলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা এবং ২০০ টাকার এক বান্ডিলের জন্য অতিরিক্ত ২০০ টাকা দিতে হয়।

নতুন টাকার দাম নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, বছরব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারী থাকায় কোনো বিক্রি হয়নি তাই শেষ সময়ে একটু বেশি রাখা হচ্ছে। এতে সবাই ভালোভাবে ঈদ উদ্যাপন করতে পারবে। অন্যদিকে ক্রেতারা বলেন, বছরের অন্য সময়ে এক বান্ডিল নতুন টাকা ৫০ থেকে ৮০ টাকার মতো বেশিতে পাওয়া গেলেও এখন তা কিনতে ২০০ টাকা দিতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক এলাকার নতুন নোট বিক্রেতা আমেনা খাতুন বলেন, ‘বছরের পুরো সময়ে করোনাভাইরাসের কারণে কোনো বিক্রি ছিল না। সংসার চলেনি, ভালোমতো খেতে পারিনি। এখন আপনারা ঈদ করতে গ্রামে যাচ্ছেন আমাদেরও কিছু দেন। এতে সবাই আনন্দে থাকি।’

গুলিস্তানে নতুন টাকা কিনতে আসা সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘এবার বেশি দাম রাখছেন বিক্রেতারা। অন্য সময়ে যে টাকা ৫০-৬০ টাকায় পাওয়া যেত, সেটা এখন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা রাখা হচ্ছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, নতুন নোট বাজারে ছাড়লেও করোনার বিধিনিষেধের কারণে আগের মতো জনসাধারণকে নোট দেবে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর গ্রাহকরা লেনদেনের সময় নতুন টাকা নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ছাড়া অনেক এটিএম বুথেও নতুন নোট দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, চাহিদা-সরবরাহ নীতি অনুসরণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক সারা বছর বাজারে নোট সরবরাহ করে। তবে ঈদের আগে নোটের চাহিদা বেশি থাকে। সেই বিবেচনায় ঈদ উপলক্ষে ১৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৪ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়েছে। এখনো ১০ থেকে ১১ হাজার কোটি টাকার নোট আছে। ব্যাংকগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বাজারে নোট ছাড়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads