• মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জৈষ্ঠ ১৪২৮

জাতীয়

শতবর্ষ পেরিয়ে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ জুলাই ২০২১

১৯২১ থেকে ২০২১। শতবর্ষের যাত্রাপথ পেরিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যার প্রথম ৫ দশকের ইতিহাস মাতৃভাষা ও মাতৃভূমি রক্ষার সাহসী সৈনিক জন্ম দেয়ার। আর শিক্ষা-গবেষণার সুষ্ঠু পরিবেশের অভাব, গবেষণা অপর্যাপ্ত বাজেট এবং দলীয় রাজনীতির চাঁদরে জড়ানোর কারণে পরের দশকগুলোতে নিজেকে ঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। যার প্রভাব পড়েছে শিক্ষার গুণগত মানসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির সার্বিক মানদণ্ডে।

১৯২০ সালে ভারতীয় বিধানসভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করে। এ অঞ্চলের মানুষকে আলোর পথ দেখাতে ১৯২১ সালের পয়লা জুলাই শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম। দীর্ঘ ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের শেকলে বন্দি শিক্ষা, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সংস্কৃতিকে মুক্ত করার স্বপ্ন দেখাও শুরুহয় সেদিন থেকেই।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়টির উৎপত্তি হয়েছিল কতগুলো রাজনৈতিক-সামাজিক ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয় যথার্থভাবেই তার দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের যা কিছু মহৎ অর্জন তার পেছনে অনবদ্য ভূমিকা এককভাবে যদি কোন একটি প্রতিষ্ঠানের থাকে সেটি হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯২১ থেকে ১৯৭১। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরেই জন্ম হয় স্বাধীন বাংলাদেশের। এরপরের ইতিহাস শুধুই এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু লাল সবুজ পতাকার রূপকারদের আতুরঘর এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতার ৫০ বছরে তার শিক্ষার মান কতটুকু বিশ্বমানের করতে পেরেছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, 'বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরে শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, পুরো শিক্ষাব্যবস্থাই একটা বিপর্যয়ের মধ্য পরে গেছে। বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে আমরা যে পিছিয়ে আছি এটা তো অস্বীকার করা যাবেনা। কিন্তু বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে যারা ১-১০ এর মধ্যে আছে তাদের যে বার্ষিক বরাদ্ধ আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বরাদ্ধ এটি যদি আমরা তুলনায় নিয়ে আসি তাহলে অন্তত কিছুটা বোঝা যাবে যে কত ধরনের সীমাবদ্ধতার মাঝে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।'

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত কয়েক বছরের বাজেট বিশ্লেষণে দেখা যায়, গবেষণায় বরাদ্দের পরিমাণ দিন দিন কমছে। আর যা কিছু গবেষণা হয় তার মান নিয়েও রয়েছে নানা অভিযোগ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, 'এখানকার যে বাজেট বরাদ্ধ, তা দিয়ে আন্তর্জাতিক কোন নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে প্রতিযোগিতা করা খুব কঠিন। সকল চাহিদা পূরণ করার পরেই আমরা খুঁজে বের করতে পারব যে আমাদের প্রতিবন্ধকতা কোথায়?'

উচ্চ শিক্ষায় কুলীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তাল মেলাতে নিরবচ্ছিন্ন শিক্ষা ও পর্যাপ্ত গবেষণার প্রয়োজনীয় পরিবেশ নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়ার কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads