• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
সবজিতে সবুজ পদ্মার চরাঞ্চল

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

সবজিতে সবুজ পদ্মার চরাঞ্চল

  • প্রকাশিত ১৫ নভেম্বর ২০২১

বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি

বাঘা উপজেলার দক্ষিণ প্রান্ত দিয়ে বয়ে চলেছে পদ্মা। তার পাশ ঘেঁষে জেগে উঠেছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। এই চরাঞ্চলে এখন সারা বছর ধরে উৎপাদন করা হচ্ছে নানা প্রকার সবজিসহ নানা জাতের ফসল। বন্যা পরবর্তীসময় চরে পলিবেষ্টিত বেলে-দোআঁশ মাটিতে চাষিরা এসব ফসল ফলাচ্ছেন। স্থানীয় চাহিদা পূরণের পর এসব ফসল রপ্তানি করা হচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

কৃষকরা জানান, এক সময় চরাঞ্চলের জমিতে শুধু ধান, গম আর আখ চাষ করা হতো। কিন্তু এখন সেই জমিতে গড়ে তোলা হচ্ছে, আম বাগান, পেয়ারা বাগান, বরই বাগান, কলা বাগানসহ হরেক রকম সবজি চাষ। বিশেষ করে প্রতি শীত মৌসুমে নদীবিধৌত চরাঞ্চলজুড়ে লক্ষ করা যায় হরেক রকম সবজি। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি এবারো। এ অঞ্চলের কৃষকরা বর্তমানে বাণিজ্যিক ভাবে নানা প্রকার সবজি চাষাবাদ করে স্থানীয় চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আমদানি করছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার নদী-তীরবর্তী চকরাজাপুর ইউনিয়নের পলাশি ফতেপুর, দাদপুর, কালিদাসখালী, কলিগ্রাম, টিকটিকি পাড়া, করারি নওসারা, সরের হাট, চাঁদপুর এসব চরে এবার চাষ হচ্ছে আলু, বেগুন, টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাও, মিষ্টি কুমড়া, শিম, করলা, পুঁই ও লালশাকসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালীন সবজি। পাশাপাশি চরাঞ্চলে চাষ হচ্ছে গম, ছোলা, ভুট্টা, মসুর , সরিষা ও চিনা বাদাম।

পলাশি ফতেপুরের কৃষক আনোয়ার শিকদার জানান, তিনি ১০ বিঘা জমিতে শীতকালীন শাকসবজি হিসাবে কফি ও বেগুন চাষ করছেন। এগুলো আবাদের আগে জমিতে লাঙলের পরিবর্তে বর্তমানে আধুনিক পদ্ধতিতে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করা হয়েছে। এর ফলে চাষাবাদের খরচ কমেছে। তবে সেচের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে শ্যালো মেশিন। কিন্তু এবার ডিজেলের দাম বেশি হওয়ায় সেচ খরচ বেশি পড়ছে।

চকরাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, চরাঞ্চলকে দেখলে এখন আর চর মনে হবে না। চারদিকে ফসলের চাষ হচ্ছে। গড়ে উঠেছে বিপুল পরিমাণ আম বাগান। ফলে চরে সবুজের বিপ্লব ঘটছে। বিশেষ করে প্রতি শীত মৌসুমে নানা প্রকার সবজি উৎপাদনে রেকর্ড ভঙ্গ করছে এই ইউনিয়ন। বর্তমানে শীত শুরু হওয়ার পর থেকে সবজির কমতি নেই চরাঞ্চলে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিউল্লা সুলতান বলেন, চরের জমি খুবই উর্বর। এখানে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে যে কোনো ফসল বেশি পরিমাণ চাষাবাদ হচ্ছে। এ কারণে কৃষকদের মাঝে ফসল ফলানোর আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads