• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

গুরুত্বপূর্ণ আইন অকার্যকর!

  • এম এ বাবর
  • প্রকাশিত ২৩ জানুয়ারি ২০২২

রাষ্ট্র ও বৃহত্তর কল্যাণে মানুষের আচার-আচরণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে প্রণীত বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন অকার্যকর হয়ে পড়ে আছে। প্রয়োগ না থাকায় আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অনেক গুরুত্বপূর্ণ আইনের অস্তিত্ব ভুলে গেছেন। ফলে দেশে নাগরিক অধিকারবঞ্চিত হয়ে অনেকে নানামুখী ভোগান্তিতে পড়েন।

একটি দেশের আইন মানবসমাজের দর্পণস্বরূপ। সমাজে একসাথে বসবাস করার জন্য নিয়মশৃঙ্খলা মেনে চলা অপরিহার্য। কিন্তু রাষ্ট্র বা সমাজে সীমাহীন স্বাধীনতা প্রদান করা রাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই মানুষের শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল জীবনযাপন নিশ্চিত করার জন্য রাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের আইন প্রণয়ন করে থাকে। যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র তার অস্তিত্বের প্রমাণ করে। জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সব নাগরিকের জন্য রাষ্ট্র বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি করে থাকে। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা এবং এসব প্রতিষ্ঠান থেকে জনগণকে সেবা প্রদান নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক আইন প্রণয়ন করা হয়। আইনের মানের ওপর নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত। এসব সুযোগ-সুবিধা সমতার ভিত্তিতে বণ্টন হলো কিনা তা কেবল আইনের মাধ্যমেই নিশ্চিত করা সম্ভব। ফলে আইন, স্বাধীনতা ও সাম্যের মতো বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ হলেও দেশে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ আইন শুধু কাগজ-কলমেই পড়ে আছে।  

কদাচিৎ প্রয়োগ না করা আইনগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলা ভাষা প্রবর্তন আইন, ১৯৮৭। বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন ১৯৯১। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫। বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা এবং বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন ২০১০। ভ্রাম্যমাণ ব্যক্তি এবং আশ্রয়হীন ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন ২০১১। দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২। পিতামাতার যত্ন আইন ২০১৩। বাংলাদেশ হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট আইন ২০১৪। মানসিক স্বাস্থ্য আইন ২০১৮ এবং জনসাধারণের উপদ্রব এবং অশ্লীলতার ওপর দণ্ডবিধির শর্তাবলি।

বাংলাদেশের আপামর জনগণকে তাদের নিজেদের ভাষায় সকল রাষ্ট্রীয় কাজে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা দিয়ে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন-১৯৮৭ প্রণয়ন হয়। সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ১৯৮৭ সালের ৮ মার্চ  আইনটি করা হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টে আইনটি বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে সমালোচনা রয়েছে। 

২০১১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিচার কাজে ১৯৮৭ সালের বাংলা ভাষা প্রচলন আইনের প্রয়োগ বিষয়ে একটি সুপারিশ পেশ করে বাংলাদেশের আইন কমিশন। একুশে ফেব্রুয়ারি আগেই দুইটি ঘোষণাপত্র জারি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আইন কমিশন সুপারিশে উল্লেখ করে। মহান একুশে পালনের একটি প্রকৃষ্ট উপায় হবে বলেও সুপারিশে উল্লেখ করা হয়। আইন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, একটি ক্ষুদ্র মহল উচ্চ আদালতে গোষ্ঠী আধিপত্য বজায় রাখতে বাংলাকে বর্জন করে ইংরেজি আঁকড়ে আছেন বলে প্রতীয়মান হয়।

২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হাইকোর্টে আইনজীবী ড. ইউনুস আলী আকন্দের একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বাংলা ভাষা প্রচলন আইন ১৯৮৭ অনুযায়ী অফিস-আদালত, গণমাধ্যমসহ সর্বত্র বাংলা ভাষা ব্যবহারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পাশাপাশি দূতাবাস ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের সব সাইনবোর্ড, নামফলক ও গাড়ির নম্বর প্লেট, বিলবোর্ড এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বিজ্ঞাপন বাংলায় লেখা ও প্রচলনের নির্দেশ দেন। সবপ্রকার নামফলকে বাংলা ব্যবহার করতে বলেন।

আদালতের আদেশের তিন মাস পর ২০১৪ সালের ১৪ মে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডগুলোকে আদেশটি কার্যকর করতে বলে। কিন্তু সে আদেশের বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এক চিঠির মাধ্যমে সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড, ব্যানার, গাড়ির নম্বর প্লেটে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করার অনুরোধ জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সমস্ত জেলা আদালতে, কথ্য এবং অভিযোগ দাখিল ও রায় উভয়রই জন্য বাংলা হলো যোগাযোগের মাধ্যম, তবে উচ্চ আদালতে, রায়গুলো এখনো ইংরেজিতে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক তার কর্মকাণ্ডে প্রধানত বাংলা ব্যবহার করলেও, বাণিজ্যিক বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে বাংলার উপস্থিতি নেই বললেই চলে। বেসরকারি ব্যাংকগুলোর আর্থিক নথিপত্রগুলো মূলত ইংরেজি ভাষায় লেখা হয়। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক সব ব্যাংককে বাংলা ভাষার প্রচলন আইন, ১৯৮৭-এর লক্ষ্য বাস্তবায়নে এবং গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষার জন্য, ঋণ অনুমোদনের চিঠিতে বাংলা ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়। বাস্তবে আর্থিক খাতের কোনো প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র এখনো বাংলায় লেখা হয় না। 

তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার জনস্বাস্থ্য অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিপুল জনসংখ্যা, দারিদ্র্য শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবের কারণে বিশ্বের সর্বোচ্চ তামাকজাত পণ্য ব্যবহারকারী দশটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। গ্লোবাল এডাল্ট টোবাকো সার্ভে ২০১৭ অনুসারে এদেশে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৩৫ দশমকি ৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তামাকজাত দ্রব্য (ধূমপান ও ধোঁয়াবিহীন) ব্যবহার করে যার মধ্যে ৪৬ শতাংশ পুরুষ এবং ২৫ দশমিক ২ শতাংশ মহিলা। বিভিন্ন পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান না করেও পরোক্ষভাবে ধূমপানের শিকার হচ্ছে বহু মানুষ এই হার কর্মক্ষেত্রে ৪২ দশমকি ৭ শতাংশ, রেঁস্তোরায় ৪৯ দশমিক ৭ শতাংশ, সরকারি কার্যালয়ে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ, হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ১২ দশমিক ৭ শতাংশ এবং পাবলিক পরিবহনে ৪৪ শতাংশ।

সারা বিশ্বে সমন্বিতভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০০৩ সালের মে মাসে জেনেভায় অনুষ্ঠিত ৫৬তম বিশ্ব স্বাস্থ্য সম্মেলনে ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোবাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) চুক্তি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ এই চুক্তির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ এবং ২০০৪ সালে এ চুক্তিকে অনুসমর্থন করে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকার এফসিটিসির আলোকে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ (সংশোধিত ২০১৩) এবং ২০১৫ সালে এ সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন করে। আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপান নিষিদ্ধ এবং সতর্কতামূলক নোটিশ প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। এছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের সব প্রকার বিজ্ঞাপন, প্রচার-প্রচারণা নিষিদ্ধ। তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট/মোড়ক/কার্টন/কৌটার ওপরের অংশে ৫০ শতাংশ স্থানজুড়ে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রদান বাধ্যতামূলক এবং ১৮ বছর বা এর নিচে অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুর কাছে বা শিশুদের দ্বারা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ।

তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় ও বিপণন নিয়ন্ত্রণের জন্য বাংলাদেশে কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা নেই। এমনকি তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ের সাথে সম্পৃক্তদের নির্ধারিত কোনো ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণের ব্যবস্থা নেই। এ কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রের আশপাশের এলাকা, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, খাবারের দোকান, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থানে অনিয়ন্ত্রিতভাবে তামাকজাত পণ্য বিক্রয় করা হচ্ছে। সহজলভ্যতা ও সহজপ্রাপ্যতার কারণে বাড়ছে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারকারীর সংখ্যা।

‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০০৫’ পাবলিক প্লেস এবং পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ধূমপান নিষিদ্ধ করেছে এবং তামাকজাত দ্রব্যের উৎপাদন, বিপণন এবং বিক্রয় এবং তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার সীমাবদ্ধ করেছে। ২০১৬ সালের ৩০-৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে  এ আইন প্রায় অকার্যকর।  কিন্তু বিশেষজ্ঞ এবং তামাকবিরোধী প্রচারণাকারীদের মতে, আইনের প্রয়োগ খুব কম। ফলে ধূমপায়ীরা সর্বত্র ব্যাপকভাবে ধূমপান করে। এছাড়া সর্বত্র তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি করা হয়।

ভাসমান মানুষ ও তাদের পুনর্বাসনে দেশে ‘ভবঘুরে ও নিরাশ্রয় ব্যক্তি (পুনর্বাসন) আইন, ২০১১’ প্রণয়ন করা হলেও তা বাস্তবায়ন নেই। আইনে আইনশৃঙ্খলারক্ষা বাহিনীকে ভাসমান লোকদের গ্রেপ্তার করতে এবং তাদের পুনর্বাসনের জন্য আদালতের মাধ্যমে সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানোর অনুমতি দিয়েছে। তবে দেশে গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি অতিথিদের আগমনের ঠিক আগে কখনো ভাসমান ব্যক্তিদের আটক ও জরিমানা করার জন্য মাঝে মাঝে কিছু স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। 

বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে এবং বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে ‘বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন-১৯৯১’-এ, যা উভয়পক্ষের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করেছে। বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে আইনগুলোর কোনো বাস্তবায়ন নেই। ঢাকাসহ সারা দেশে ভারাটিয়ারা নানাভাবে বাড়িওয়ালাদের কাছে নির্যাতনের শিকার হন। 

এভাবেই অকার্যকর হয়ে আছে দেশের অনেকগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ আইন। এ ব্যাপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক মিজানুর রহমানের বলেন, অনেক আইন প্রণয়ন করা হয়েছে শুধুমাত্র দেখানোর জন্য। পরবর্তী সরকারগুলো সেগুলো কার্যকর করতে আগ্রহী হয় না।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, আমরা কখনই লক্ষ করিনি যে সরকার সাধারণ মানুষের সমস্যা নিয়ে আইন প্রয়োগে সক্রিয় হয়। আমি পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি যে, মানুষ এখন অনেক আইন ভুলে গেছে। কারণ সরকার খুব কমই আইনগুলো ব্যবহার করার জন্য রাখে। এছাড়া এ আইনগুলো অগ্রাধিকারমূলক আইন হিসাবে বিবেচিত হয় না। তবে, সরকার আইন পাস করেছে, সেগুলো সময়ের প্রয়োজন মেটানোর জন্য বিকশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান একটি উদাহরণ উদ্ধৃত করে বলেন- দেওয়াল লিখন ও পোস্টার লাগানো (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১২-এর কোনো প্রয়োগ নেই। ফলে শহর ও পৌরসভা পোস্টার ও অন্যান্য প্রচারসামগ্রীতে ভরে গেছে। এ আইন প্রয়োগ না হওয়ার জন্য সিটি ও পৌর করপোরেশন এবং পুলিশ যৌথভাবে দায়ী। শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে সুন্দর করার জন্য বড় বড় প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু  কোনো সংস্থাই মনে করেন না যে, একটি শহরের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তাদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ জরুরি। যদিও কিছু আইন আছে যেগুলো যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে না বা যাচ্ছে না। তবে একটি আইন প্রণয়ণের উদ্দেশ্য এমন হওয়া উচিত নয় যে, রাষ্ট্র বা সমাজে ওই আইনের প্রয়োগ করা যায় না।  

সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেছেন, একটা আইন প্রয়োগ হচ্ছে না বলে ওই আইন অকার্যকর হয়ে আছে তা নয়। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নিলেই একটি আইন কার্যকর হবে। এছাড়া সক্ষমতা ও জনবলের স্বল্পতার কারণে অনেক আইন প্রয়োগযোগ্য নয়। তবে সমাজে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সব আইন সমানভাবে প্রয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads