• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
ঢাকা-চট্টগ্রামে ৩১ মার্চের মধ্যে সেট টপ বক্স বাধ্যতামূলক

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

ঢাকা-চট্টগ্রামে ৩১ মার্চের মধ্যে সেট টপ বক্স বাধ্যতামূলক

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২

দেশের প্রধান দুটি শহর ঢাকা ও চট্টগ্রামের সব ক্যাবল টিভি গ্রাহককে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে বাধ্যতামূলকভাবে সেট টপ বক্স বসাতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্যাবল টিভি অপারেটর, টেলিভিশন মালিক, ডিটিএইচ সেবাদানকারী প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি টাইম ফ্রেম নির্ধারনের জন্য আলোচনায় বসেছি। যে আলোচনাটা হয়েছে সেটি হচ্ছে- আমরা গ্রাহককে দু’মাস সময় দিয়ে, অর্থাৎ আজ হলো ১ ফেব্রুয়ারি, ঢাকা এবং চট্টগ্রামে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে সব গ্রাহককে ডিজিটাল সেট টপ বক্স লাগানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।

আগামী ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে যাতে আমরা সেট টপ বক্স সবাইকে দিতে পারি সে লক্ষ্য ঠিক করে সবাই কাজ করবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী ১ এপ্রিল থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামের কোনো গ্রাহক যদি সেট টপ বক্স না বসান তাহলে তারা অনেকগুলো চ্যানেল দেখা থেকে বঞ্চিত হবেন। ’

তিনি বলেন, ঢাকা চট্টগ্রামের পর আগামী ৩০ মের মধ্যে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। এ ছাড়া আগামী ১ জুন থেকে সব বিভাগীয় ও মেট্রোপলিটন শহরগুলোতে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হবে।

তিনি বলেন, দেশে কয়েক লাখ সেট টপ বক্স ইতোমধ্যে আনা হয়েছে, যেগুলো মজুদ আছে। দেশেই যেন সেট টপ বক্স তৈরি হয় সে বিষয়ে আমি মেশিন টুলস ফ্যাক্টরির সঙ্গে কথা বলেছি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেট টপ বক্স গ্রাহকদের নিজেদের পয়সা দিয়ে কিনতে হবে ‘এটা সারা পৃথিবীতে গ্রাহককেই কিনতে হয়। সুলভ মূল্যে ও কিস্তিতে যাতে কেনা যায় আমরা আগেও এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে একটা নীতিমালা তৈরি করা হবে। পুরো কেবল অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি নীতিমালা তৈরির বিষয়টি আজকের আলোচনায় এসেছে। আইনের আলোকে একটি নীতিমালা ও পরামর্শক কমিটি করার কথা বলা আছে। আমরা এ বিষয়ে ঐক্যমতে পৌঁছেছি। এটি করা হবে। ’

মন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাইজড করতে না পারার কারণে এই মাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত তারা যেমন বঞ্চিত হচ্ছেন, একই সঙ্গে দেশও বঞ্চিত হচ্ছে। সরকার যে ভ্যাট-ট্যাক্স এ খাত থেকে পায়, সেটি সঠিকভাবে আদায় হয় না। এটি বছরে প্রায় দেড় থেকে হাজার কোটি টাকার কম নয়। এই সেবার দেওয়ার পেছনে যারা আছে তারাও যাতে তাদের ন্যায্য হিস্যাটা পায় এবং রাষ্ট্র যাতে বঞ্চিত না হয় এ জন্যই এটিকে আমরা ডিজিটাইজড করতে চাই। ’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads