• মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪২৯

মতামত

‘গ্রাফিতি’ ও বাংলাদেশ

  • প্রকাশিত ০৮ মে ২০১৮

গ্রাফিতি কী? সোজা বাংলায় বলি— দেয়ালের ছবি। কিন্তু আঙ্গিকটি একেবারে আলাদা। ভিন্ন। আর ছবি তো নিছক পটে আঁকা কিছু নয়। ‘গ্রাফিতি’ আমাদের চলতি পরিস্থিতিকে মনে করিয়ে দেয়। তা সাহসকে রক্ষা করে। অনুভূতিকে গভীরে নিয়ে যায়। প্রতিকূলতাকে স্পর্শ করে। ভৌতিক-ভোজবাজি অপছন্দ করে। এটি এক ধরনের আর্ট। ছন্দোময় আর্ট। যা মানুষের বোধ ও বুদ্ধির দাপটকে শাণিত করে, ঘটায় তার প্রাঞ্জল স্ফুরণ। গ্রাফিতি পৃথিবীর বড় বড় আন্দোলনকে প্রত্যক্ষ করেছে। এবং সে প্রত্যক্ষণের পরিচর্যাও করে, আপ্রাণ শক্তিতে, চরম তীব্রতায়। সময়ের নিরিখে, বিষয়টা আরো বুঝিয়ে বলা যাক।

ছবির সৌন্দর্য নিয়ে এন্তার কথা আছে। শিল্প সমালোচকরা ছবির ব্যাখ্যাও করেন নানারকম। দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকে জয়নুল আবেদিন খ্যাতি পেয়েছিলেন। জয়নুল ছবিকে রুচি ও ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তুলনা করেছেন এবং নান্দনিকতা যে সমাজের উপযোগ ছাড়া হয় না, সমাজের উপযোগ ও নন্দনশিল্প যে একে অপরের পরিপূরক— সেটি তিনি সমর্থন করেছেন। সময় ও সমাজটা সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। এখন তো সমাজটা বেশ জটিল। ‘দ্য এন্ড অব হিস্ট্রি’র লেখক ফুকুয়ামা বলেছেন, সমাজ-পরিবর্তনে লিবারেল ডেমোক্র্যাসি এখন শেষ কথা। এই পুঁজি অধ্যুষিত সমাজে মানুষের প্রতি মানুষের যে প্রতিক্রিয়া তা সহজ নয়। একটা কঠিন মনস্তাত্ত্বিক ত্রাসে ব্যক্তি বিপর্যস্ত। এই ত্রাসে লাল-সবুজ বাংলাদেশ খুব চিন্তিত। এবং সে নানাভাবে নিজেকে অরক্ষিত মনে করছে। বাংলাদেশের রাজনীতিটা নিয়ে এখন অনেকের মনে প্রশ্ন, প্রধানমন্ত্রীও বিরোধী দলের রাজনৈতিক দেউলিয়াপনার কথা (হোক তা ব্যঙ্গার্থে, কিন্তু অসত্য তো নয়!) বলেছেন। আর ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যুক্ত আছে ‘ক্ষমতা’। এই ক্ষমতার দাঁত-নখ বেশ আগ্রাসী, হতবিহ্বলও— তার প্রমাণ প্রতিদিন কাগজে আসছে, অন্তর্কোন্দল, নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব, পদ নিয়ে অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা, যোগ্য-অযোগ্য বিবেচনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে— তৃণমূলে অরাজনৈতিক ব্যক্তিরা রাজনীতির নামে গলাবাজি করছে, আঙুল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে। সমাজে সাম্যটা রক্ষা হচ্ছে না। সর্বস্তরের মানুষের অধিকারের সম্মানটা রক্ষা পাচ্ছে না। ন্যায় পরাস্ত হচ্ছে, অন্যায় অনেক ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন অনেকটা বশংবদ, অসহায়ও পার্টিবাজদের হাতে। তবে উল্টোদিকে বড় পরিবর্তন এসেছে সমাজের সর্বস্তরে। প্রচুর মানুষ কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বৈধ-অবৈধ যেমনই হোক, মধ্যবিত্ত এখন ফুলে ফেঁপে উঠেছে, তাদের লিভিং স্ট্যান্ডার্ড বেড়েছে। আয়ের সঙ্গে ব্যয়, ব্যয় এবং আয় নানারকম হারে বেড়েছে। টাকা আছে হাতে, ফলে সুবিধাটা চায়। ব্যবসায়ীরা ক্রেতা খুঁজছেন, পাচ্ছেনও— ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বিলাসী খদ্দের চান, তাতে হতাশ হচ্ছেন না তারা; রিয়েল স্টেট কোম্পানি কিংবা ব্যাংক লোন— লগ্নিকারক চান, তা পাচ্ছেন; গাড়ি-বাড়ির জন্য অর্থ বরাদ্দ দিচ্ছেন, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী বাড়াচ্ছেন ইত্যাদি আমাদের সমাজের একটা স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করছে। সক্রিয়ও আছে তারা সমাজে। ভোগবাদী প্রবণতাও বাড়ছে। তাহলে আর সমস্যা কোথায়! গ্রাফিতিরই বা প্রয়োজন পড়ছে কেন? আসলে এটা বাইরের জৌলুস। ঝাঁ-চকচক সমাজের প্রতিচিত্র। আমরা যদি পরিবহন খাতের দিকে তাকাই, সেখানে একটা বড় অংশের নিয়োগ দেখা যায়। যা দেশের অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছে, রাজনীতিকেও। পরিবহন শ্রমিকদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় রাষ্ট্রশক্তিও জিম্মি। সেটা স্পষ্ট করে বলার কিছু নেই, বাস্তবত, সেটা সবাই বোঝে। মধ্যবিত্ত যখন যুদ্ধ-সংগ্রাম করে আয় করছে, নানাভাবে ব্যয় করছে— তখন তার ভেতরে দীর্ঘশ্বাস যে নেই তাও বলা যাবে না। সৎ-কর্মঠ-নৈতিক-ন্যায়শীল মানুষ এখনো সমাজে আছেন। তারা কিন্তু মধ্যবিত্তের মধ্যে তৈরি হওয়া বিভিন্ন স্তরের সঙ্গে ঠিক টিকতে সক্ষম হচ্ছেন না। যে মধ্যবিত্ত গত বিশ বছরে উঠে এসেছে, এরা স্বল্পশিক্ষিত, হজে যায়, ব্যবসা বা রাজনীতি করে, তারা প্রতিপত্তির মালিকও হয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে তাদের দাপট, বাহুবল কম নয়। পেছনে একটা শক্তি আছে, যা তাদের প্রণোদনা দেয়। যাদের এ শক্তি নেই তারা ওই বিশেষ শক্তির কাছে অসহায়। এই অসহায়ত্বের শিকার সাধারণত, রাজনীতি-বিচ্যুত ন্যায়ধর্ম পালন করা সাধারণ মানুষ। এদের কার্যত তেমন দল নেই। দলের সক্রিয় সমর্থক নন কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বিশ্বাস করেন বা হয়তো অন্য দল করেন। এরকম অসহায় মানুষের সংখ্যাও এদেশে কম নয়। তারা অনেকটা চাপের মুখে থাকেন। আবার অন্যদিকে চাকরিতে নিরেপক্ষ থাকায় পদোন্নতি, কিংবা সিন্ডিকেটের বাইরে ব্যবসায় থাকায়— তাদের মধ্যে হতাশা আছে। সে হতাশা শিক্ষাঙ্গনে, আমলাপাড়ায়, প্রতিরক্ষায়ও যে নেই তা বলা যাবে না। তবে সরকারের উেযাগের পরিকল্পনার ধারায় প্রতিরক্ষা বিভাগে তুলনামূলক হতাশা কম, শিক্ষাঙ্গনেও কম, আমলাদের মধ্যে থাকলেও তা নিয়ন্ত্রণে— বলা যায়। এভাবে মধ্যবিত্তের জীবনযাপন চলছে। উচ্চবিত্তদের কার্যত কোনো সঙ্কট নেই। যা আছে তা অভ্যন্তরীণ বা রিপু-জনিত। আর দরিদ্রদের সঙ্কট ও যুদ্ধটা এখন চরমে। এটার পরিমাণই অনেক এবং অধিকাংশ বলা যায়। এর সঙ্গে যুক্ত আছে আমাদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, বৈধ-অবৈধ বিবিধ রিলেশন, সংস্কৃতি ও সমাজের সংস্কার ভাঙার যুদ্ধ ইত্যাদির প্রভাবও কিন্তু আমাদের বক্ষ্যমাণ সমাজের ছায়া পড়েছে নানা স্তরে। সে মনস্তত্ত্ব ও মনোপলি এখন জটিল এবং সক্রিয়। ফলে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে, অর্থাধীন বিশ্বে— সেখানে একনায়ক, স্বেচ্ছাচারতন্ত্র, ব্যক্তিতন্ত্র-পরিবারতন্ত্র, প্রভুতন্ত্র ব্যাপকভাবে সক্রিয়তা দেখাচ্ছে। লক্ষণীয়, শুধু বাংলাদেশ নয়, পার্শ্ববর্তী বৃহৎ দেশ ভারত, চীন, জাপান, ইউরোপ, আমেরিকা— এক অর্থে সাম্রাজ্যবাদেরই অন্য রূপ ও সম্প্রসারণ এখন চলছে এবং তেমন প্রবণতারই প্রভাব সর্বস্তরে দেখা যাচ্ছে। রাশিয়া নিশ্চুপ, ক্যাস্ট্রোর মৃত্যুর পর কিউবা এখন নীরব, যা এখন প্রতিরোধাত্মক তা পরিশোধিত ও দায়শীল, রুচিশীল, সাহসী মুষ্টিমেয় মধ্যবিত্তের মধ্যে। যারা গ্রাফিতি করছে। যেমন, ওয়ালস্ট্রিটের আন্দোলন, ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন, নিগ্রহের নানারকম আন্দোলন ইত্যাদি। সমাজে এই প্রবহমানতার সূত্রটি বিচার করলে এ সত্যটি ধরা পড়ে, চলতি বিশ্বে আমরা এখন নিয়ত একাকী এবং একক। বিশেষ করে বিবেকবানরা। এই একক হওয়ার যুদ্ধে কার্যত আমরা সবাই পরাস্ত। ব্যক্তিমালিকানাধীন হয়ে পড়ছে সবকিছু। দিল্লির কুতুব মিনার কিংবা তাজমহল, রেডফোর্ডের মতো স্থাপনাও সরকার আর হয়তো নিজের হাতে রাখতে পারছে না। টাটা-বিড়লা-ডালমিয়াদের কাছে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে দিয়ে রাজকোষাগারের ব্যয় কমিয়ে নিচ্ছে। এটা যত নস্যি সিদ্ধান্তের উদাহরণই হোক, একটা করপোরেট প্রবণতা যে ধেয়ে আসছে, মানুষের দিকে— সেটা নিশ্চিত। মনুষ্যত্ব, মূল্যবোধ, মননশীলতা, বিবেক সবকিছু পাল্টে যাচ্ছে। মানুষ আর মানুষ থাকছে না। পণ্যে পরিণত। প্রবণতাটাই হচ্ছে সবটা বিনিময়মূল্য দিয়ে কিনে ফেলা। সেটা ক্রয়ও হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশেও একসময়, সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যদি কোনো বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়— তাতে কার কী করার থাকবে! এসব নিজের হাতে নিয়ে তারা আরো নিজের মতো দায়িত্বশীল ও অধীন প্রজন্ম তৈরি করবে। সেখানে স্বাধীন রাজনীতি বলে কিছু থাকবে না। হবে সবকিছু অধীনস্থ। স্বাধীনতা তো থাকার প্রশ্নই নেই। সরকার তাতে হয়তো এক ধরনের নির্বিঘ্ন মনে করবে নিজেকে, গতানুগতিকভাবে তাতে তার ব্যয় সঙ্কোচন নীতিও সম্প্রসারিত হবে। বাংলাদেশে তো এখন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা শতাধিক। সেখানে তো মৌলিক জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র বেশ সঙ্কুচিত। এ নিয়ে তেমন মাথাব্যথাও নেই কারো। সেমিস্টারে পড়তেই ব্যস্ত। সার্টিফিকেট পাওয়াটাও সহজ। পড়াশোনাও সহজ। সরকারেরও সুবিধা। ফলে চিকিৎসা, শিক্ষা, প্রযুক্তি প্রভৃতি পর্যায়ে বিশ্বব্যাপী যা চলছে, তাতে পুঁজির প্রকোপ ব্যক্তিতে পর্যবসিত, সেটাই সত্যে পরিণত, শোধটাও সেভাবেই সমাজের ওপর গড়াচ্ছে। এই বাস্তবতায় যারা শিল্পী তারা কী করবেন! দেশজ ঐতিহ্যকে তারা কীভাবে রক্ষা করবেন। কী তাদের তুলিতে উঠে আসবে! কোন পথে গিয়ে তারা অহিংসা বা ঐক্যের কথা তুলে ধরবেন বা সুর ও ছন্দ মিলিয়ে আসুরিক শক্তিকে তাড়াবেন! বৃহত্তর মানবের কল্যাণে কীভাবে তারা কথা বলবেন। মানুষে মানুষে সহানুভূতি ও সাহচর্যের কথা কী করে বলবেন। নিষ্ক্রিয় থেকে তা তো সম্ভব নয়, পুঁজির চালাকি থেকে মানুষকেই বা কীভাবে উদ্ধার করবেন, মুক্তির পথ দেখাবেন, বৃহত্তর সংস্রবে মানুষের কল্যাণ কামনা করবেন ইত্যাদি এবং সেখানেই গ্রাফিতির মতো কাজের উপযোগিতা বাড়বে। অতীতেও তা দেখা গেছে। দুঃসময়ে ওই গ্রিসে, রোমেও তা-ই হয়েছে। এজন্য লেখক, শিল্পী, কলাকুশলী পুঁজি-পণ্যের বিপরীতে দাঁড়াবেন, বিবেকের পক্ষে লড়বেন; সশস্ত্র হয়ে নয়, আক্রমণাত্মক হয়ে নয়, সত্যকে পুঁজি করে, নির্বিষ ভেবে কিংবা অসুরকে দমনের পথটায় নিজেদের প্রকাশ ঘটাবেন। এর উপায় অনেক কিছুর মতো ‘গ্রাফিতি’। দেয়ালের চিত্র। এক ঐক্য, সংগ্রাম ও সাম্য প্রতিষ্ঠার কথা বলবে, প্রচেষ্টা চালাবে, বৈষম্য দূরীকরণে সচেষ্ট হবে— এমন শিল্পের ভাষাই হলো গ্রাফিতি। গ্রাফিতির ইতিহাসও সে রকম। ব্যঙ্গচিত্র পরিবেশন করা। সামষ্টিক মানুষের ভেতরের ক্ষোভ তুলে ধরা। নিজের মাতৃভূমিকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে মর্যাদাবান করা। এমনটা অবশ্য নতুন কিছু নয়। প্রাচীন মিসর, গ্রিস, রোমক সাম্রাজ্যেও এর দৃষ্টান্ত ছিল। তখনো এ শক্তির ক্রিয়াশীলতা ছিল লক্ষণীয়। ব্যঙ্গ-বিদ্রূপের ভেতর দিয়ে তুলে ধরত নানা অসঙ্গতি, সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যঙ্গচিত্র। যুদ্ধবিরোধী, যুদ্ধাপরাধীদের কথাও তারা বলত, প্রচলিত নীতি বা সিদ্ধান্তেরও যৌক্তিক প্রতিবাদ করত। এই প্রতিবাদের শৈল্পিক রূপ গ্রাফিতি। ফলে রাষ্ট্র কর্তৃক অনেক সময় গ্রাফিতি নিষিদ্ধও হতে পারে, তা ছিলও। আমাদের এদেশে গ্রাফিতির চর্চা তেমন নেই। তবে বনানীর কাকলীতে যে গ্রাফিতিটি সম্প্রতি চোখে পড়ে তা বেশ আকর্ষণীয়। এই গ্রাফিতি অঙ্কনকারীরা অপ্রকাশ্য থাকেন। রহস্যময় বিচরণ করেন। এবং এসব অঙ্কনশৈলীও কিন্তু সর্বদা একরকম নয়। আর দেশে দেশে তার পার্থক্যও থাকে।

যা হোক, ঢাকার বনানীর কাকলীতে (পদচারী সেতুর ঠিক পূর্ব পাশে) একটি গ্রাফিতি দেখে মনের মধ্যে এমন অনেক কথাই উদয় হয়েছে। সত্যিই এখন বুঝি গ্রাফিতির সময়! যেখানে দেখানো হয়েছে— একটি বিক্ষিপ্ত কিশোর বাংলাদেশের মানচিত্রকে চরম মমতায় আগলে রেখেছে, বাংলাদেশকে সে আশার প্রতীক হিসেবেই দেখছে। বাংলাদেশকে আমরা দেখি বা চোখটাকে যেভাবে তাতে আটকাই— তাতে মনে হয় সেটি কী এমনই বাংলাদেশ, আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ! আমাদের সবারই মুখ্য প্রশ্ন মুক্তিযুদ্ধের মর্যাদায় আমরা দেশকে বাঁচাতে চাই। সবার করতে চাই। সবাইকে সুখে রাখতে চাই। সেটা রক্ষা করতে হবে। এবং তা হতে হবে কোনোদিন! গ্রাফিতিতে সে প্রশ্নটি কিন্তু অপ্রকাশ্য নয়!

 

শহীদ ইকবাল

অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads