• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
বিচিন্ত্য

ইউরোপীয়রা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব কথা শোনে না

আর্ট : রাকিব

মতামত

বিচিন্ত্য

  • আবদুল মতিন খান
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০১৮

গভীর রাতে ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে এবং প্রত্যুষে জেগে উঠে যে চিন্তাটা পেয়ে বসে সেটা হলো দিনের বেলার বিশেষ বিবেচ্য কাজ। কাজ তো অনেক থাকে। সব কাজের মধ্যে একটি থাকে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত। কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হয়ে সেটার পেছনে বা তার সমাধানে লাগতে হয়। যতক্ষণ পর্যন্ত সুরাহা না হয় ততক্ষণ মন থাকে অস্থির। এটা নিত্যদিনের ঘটনা হওয়ায় কেউ খেয়াল করে না। খেয়াল না করার কারণ হলো প্রাত্যহিকতা। প্রতিদিন যা ঘটে মানুষ তাকে রুটিন বলে ধরে। বৈশিষ্ট্যযুক্ত বা বিশিষ্ট হতে গেলে তাকে অবশ্যই রুটিনের বাইরে হতে হবে।

রুটিনের বাইরের ঘটনা সচরাচর না ঘটায় হঠাৎ ঘটে গেলে হইচই পড়ে যায়। ঐতিহাসিক ঘটনার দিকে তাকালে দেখা যায় সেগুলো ঘটেছে আচমকা, আকস্মিকভাবে। যেমন পলাশীতে (১৭৫৭) নবাব সিরাজের পরাজয়। সিরাজের সৈন্যদল ক্লাইভের সৈন্যদলের চেয়ে ছিল বিপুল অধিক। যুদ্ধ ঠিকমতো পরিচালিত হলে ক্লাইভের পরাজিত এবং বন্দি অথবা নিহত হওয়া ছিল অবধারিত। অথচ হয়েছিল উল্টোটা। ১৯৭২ সালে ঠিক একইভাবে উল্টো ঘটনাটি ঘটল। পাক দস্যুবাহিনীর প্রধান জেনারেল নিয়াজীর ছিল ৯২০০০ সৈন্য। বিশাল এই দস্যুদল ’৭১-এর ২৬ মার্চ থেকে নভেম্বর পর্যন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর যে নৃশংস তাণ্ডব চালায় তার দৃষ্টান্ত কেবল হালাকু-চেঙ্গিস। কিন্তু এই দস্যু ঘাতকদল দ্রুত গঠিত মুক্তিবাহিনীর গেরিলা আক্রমণে প্রতিদিন একটু একটু করে এতই হীনবল হয়ে পড়ে যে বছরের শেষের দিকে তারা তাদের ডেরা বা বাঙ্কার থেকে আর বের হতো না। ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনী মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় এগিয়ে এলে তারা সহজে পরাজিত হয় এবং আত্মসমর্পণ করে (১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১)। অনুষ্ঠানটি হয় রমনা রেসকোর্স ময়দানে, হালে যার নামকরণ হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। মুক্তিবাহিনী ও বাঙালির এ বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সেখানে স্থাপন করা হয়েছে শিখা চিরন্তন নামের দীপ শিখা এবং একই উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ভ। এই উদ্যানের পাশে অবস্থিত বাংলা একাডেমি, যা ভাষাসৈনিক বা প্রাথমিক স্বাধীনতা সৈনিকদের রক্ত ঢেলে আত্মদানের মূর্ত প্রতীকরূপে বিদ্যমান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আরো একটি বিশেষ কারণে বাঙালি জাতিসত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। অন্য কোনো মাঠে সঙ্কুলান হবে না আন্দাজ করে ঘোড়দৌড়ের এই মাঠটিকে নির্বাচন করা হয় বঙ্গবন্ধুর ইতিহাসের গতিপথ নির্ধারক ভাষণদানের স্থান হিসেবে। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ মাঠটি মানুষ দিয়ে কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল। তা নয় উপচেও পড়েছিল। দুপুর সামান্য গড়িয়ে বঙ্গবন্ধু সরাসরি মঞ্চে এসে উপস্থিত হলেন। মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছিল একটি পানসি নৌকার আদলে। তিনি উপস্থিত হয়েই চলে গেলেন মাইকস্ট্যান্ডের সম্মুখে এবং শুরু করলেন ভাষণ। মাত্র ১৮ মিনিটের বক্তৃতা অসাধারণ সব ছন্দবদ্ধ বাক্যে ছিল ঠাসা। জনতা পীনপতন নিস্তব্ধতায় শুনল- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’ বলে ভাষণ শেষ হওয়ামাত্র উত্তর দিক থেকে তখনকার এয়ারপোর্ট রোড দিয়ে একটি মিলিটারি জিপ প্রচণ্ড গতিতে এসে বাংলা একাডেমি ছাড়িয়ে ঢাকা গেটের দিকে চলে গেল। বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা চলার আগে থেকে উদ্যানের আকাশে মিলিটারি হেলিকপ্টার চক্কর দিচ্ছিল। দ্রুতবেগে জিপ চলে এলে জনতার মধ্যে চঞ্চলতা দেখা দিল।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বাংলাদেশে ঢের লেখা হলেও বিদেশের গবেষক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে যা পাওয়া যাবে তার মূল্য হবে বেশি। ৭ মার্চের ভাষণ ইতোমধ্যে ‘বিশ্বঐতিহ্যের অংশ’ বলে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে। বিশ্বনন্দিত কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান বাম নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘আমি হিমালয় দেখিনি কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি।’ বঙ্গবন্ধু সম্বন্ধে তার এ মূল্যায়ন নিশ্চয় তার ৭ মার্চের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের টিভি পর্দায় জনসমুদ্র দর্শন। এত বড় জনসমাগম ইতিহাসে কখনো হয়নি। ভবিষ্যতে হবে এমন সম্ভাবনা বিরল। যাঁর মুখের কথা শুনতে এত মানুষ আসে তিনি হিমালয় নন তো কী? কে?

হিমালয় হলো বিশ্বের দীর্ঘতম পর্বতশ্রেণি। কাশ্মির থেকে হিমাচল প্রদেশ পর্যন্ত এর বিস্তার। শুধু তাই নয়, এর শৃঙ্গগুলোও উচ্চতম। তার মধ্যে এভারেস্ট হলো বিশ্বের সর্বোচ্চ। এর চূড়ায় পৌঁছা বিরাট সাফল্য ও সম্মানের ব্যাপার। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সম্ভবত সাড়ে তিন হাজার ফুট। বাঙালির এভারেস্ট জয় নিঃসন্দেহে গৌরবের। বাংলাদেশের একজন ছেলে ও একজন মেয়ে এভারেস্ট চূড়ায় দেশের পতাকা ওড়াতে পেরেছেন। শুধু তা-ই নয়, এরা উভয়েই, পৃথকভাবে, বিশ্বের অন্যান্য মহাদেশের সর্বোচ্চ শৃঙ্গগুলো জয় করেছে। এরা একত্রে একবার এভারেস্টেও পা রেখেছে। এরপর এদেশের আরো অনেকে এভারেস্ট জয় করেছেন। এভারেস্টের উচ্চতা মেপে দিয়েছিলেন একজন বাঙালি, রাধানাথ শিকদার।

বাংলাদেশ তো হিমালয় থেকে সুন্দরবন। বিদেশি শাসন-শোষণে বহু শতাব্দী সে ম্রিয়মাণ হয়ে থাকে। তবে মাথা নোয়ায়নি কখনো। খাদ্যাভাব দুর্ভিক্ষ মহামারী ছিল তার নিত্যসঙ্গী। এসবের কিছু আর এখন তেমনভাবে নেই। নেই যে তার প্রমাণ বাঙালির গড় আয়ু গত শতকের এ সময়ের ২২ বছর থেকে বেড়ে আজ (২০১৮) হয়েছে ৭২ বছর। অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকলে ২০৫০ সালের মধ্যে বাঙালির গড় আয়ু হবে ১০০ বছর। স্বাস্থ্যসেবা গরিবের দোরগোড়ায় (কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে) পৌঁছে যাওয়ায় বাংলাদেশের লোকসংখ্যা বেড়ে আজ ১৬ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। নারী-পুরুষ, পুরুষের চেয়ে নারী, জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণ করায় জনসংখ্যা ২৬ কোটি পর্যন্ত বেড়ে কমতে থাকবে। এ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়ে ১০ কোটিতে নেমে এসে স্থিতিশীল হবে। আরো কমও হতে পারে।

বর্তমানে জনসংখ্যা বেড়ে চলায় কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। কৃষির উৎপাদনশীলতা আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগে বৃদ্ধি পাওয়ায় খাদ্য উৎপাদন বাড়ছে। বাড়ছে মাছ, মাংস ও সবজির উৎপাদন। ফলে খাদ্যাভাব নেই। ঘাটতি ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করে পূরণ করা হচ্ছে। দেশে এগুলোর উৎপাদন বাড়ায় এগুলো বিদেশে রফতানিও হচ্ছে। বর্ধমান জনসংখ্যার স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান দেশের সর্বত্র তৈরি হয়ে চলায় আবাসন সমস্যা তেমন নেই। গ্রামাঞ্চলে, বিশেষত ইউনিয়ন ও উপজেলায় বহুতল ফ্ল্যাট তৈরি বেগবান হলে আবাসন, শিক্ষা ও সেই সঙ্গে পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্যসেবা ওসবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হলে জনসংখ্যা আদর্শ মাত্রায় হবে স্থিতিশীল। জনসংখ্যা স্থির থাকবে ১০ কোটিতে। ১০ কোটি বা একটা নির্দিষ্ট সংখ্যা বললেও ঠিক হবে না। যন্ত্রপাতি পুনরুৎপাদন ও ভোগ্যপণ্যের প্রয়োজন অনুপাতে উৎপাদনের জন্য যত সংখ্যক মানুষ দরকার জনসংখ্যা থাকবে ততটা।

এখন কেবল দেশ নয়, ভাবনা হয়ে পড়েছে বৈশ্বিক। নিজেকে নিয়ে কেউ তত বিব্রত নয়। থাইল্যান্ডের চিয়াংরাই প্রদেশের গুহায় আটকে পড়া ১০ বছর বয়সের বালক ও তাদের কিশোর গাইডের কথা ধরা যাক। সতের দিন তারা গুহায় বন্দি ছিল বৃষ্টিতে তাদের বের হওয়ার পথ ডুবে যাওয়ায়। তাদের উদ্ধারে অংশ নেয় বহু দেশের ডুবুরি ও সাঁতারু। থাই নৌবাহিনীর বাছাইকৃত সাঁতারুরা তো ছিলেনই, ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। বৈশ্বিক এই উদ্ধার অভিযানকালে সারা পৃথিবীর মানুষ গভীর উৎকণ্ঠায় দিন কাটায়। আটকে পড়া বালকরা হয়ে দাঁড়ায় পৃথিবীর সকল পিতা-মাতার সন্তান, ভাই-বোনের ভাই, দাদা-দাদি, নানা-নানির নাতি। তাদের চারজনের প্রথম দল বেরিয়ে এলে সারা বিশ্বে স্বস্তি নেমে আসে। তিন দিনের চেষ্টায় সবাই বেরিয়ে (এবং বেড়িয়ে!) এলে নেমে আসে প্রশান্তি। বাজার অর্থনীতি বা পুঁজিবাদের যুদ্ধ এবং বিকল্পে বাণিজ্যযুদ্ধ সারা বিশ্বে যে অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে এবং পুঁজিবাদের মোড়লের নিত্যকার কথাবার্তা ও অন্যায্য সিদ্ধান্ত চাপানো বিশ্বকে এক মহাসঙ্কটের দিকে নিয়ে চলায় যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে বাঁচতে হলে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। পুঁজিবাদকে বাজার অর্থনীতি বলে ধোঁকা দিয়ে মানুষের দুর্গতি-দুর্ভোগ বাড়ানোর সুযোগ নেই। ইউরোপীয়রা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সব কথা শোনে না। ভোগ্যপণ্যের জায়গায় মারণাস্ত্র বাড়াতে ট্রাম্পের অযাচিত হিতোপদেশও তারা (ইইউ) মানবে বলে মনে হয় না।

বহু বন্ধুর পথ বন্ধু তৈরি করে ও সংগ্রহ করে, মানুষ একবিংশ শতকে এসে পৌঁছেছে। আরো বহু পথ সে পাড়ি দেবে। আজ যে জন্ম নেবে, হাজার বছর তো অনেক দূরের ব্যাপার, আগামী বছর যে জন্ম নেবে সে হবে এদের চেয়ে উন্নততর সত্তা। কারণ একটাই। পরের জন্মগ্রহণকারীরা আগের জন্মগ্রহণকারীদের সব অর্জনের অংশীদার স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে পর্বত গুহার সুড়ঙ্গ থেকে বালকদের উদ্ধারে থাই নেভির ডুবুরি সামান গুনানের আত্মদানের উল্লেখ করা যায়। তিনি আটকে পড়া বালকদের খাবার ও অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দিয়ে ফেরার পথে নিজে অক্সিজেনের অভাবে মারা যান। তার এই ত্যাগ মানবজাতির পরের সকল প্রজন্মের কাছে হয়ে থাকবে জ্বলজ্বলে দৃষ্টান্ত। এ রকম অথবা এর চেয়েও বিপদসঙ্কুল অভিযানে অংশ নিতে ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ডজন ডজন সামান গুনান।

চিন্তা করার কত কিছুই তো আছে এবং থাকে। নিষ্কর্মা যে তার মগজ শয়তানের কারখানা। দুষ্ট নানা বুদ্ধি সেখানে করে খেলা। কাজের মধ্যে যিনি থাকেন শয়তান তার মগজের দখল নিতে পারে না। পৃথিবীতে মানুষ তো আছে শয়তানকে ভেড়া বানাতে। যখন সে শয়তান সফল হবে তখন সে বেহেশতে ফিরে যাবে। শয়তান পারবে না। ঝুঁকি নিতে পুরুষের চেয়ে নারী এগিয়ে। ঝুঁকি নেওয়ার কারণে সে শয়তান দ্বারা প্রলুব্ধ হয়ে নিষিদ্ধ ফল ভক্ষণ করেছিল এবং প্রায়শ্চিত্তের জন্য বেহেশত থেকে পৃথিবীতে নেমে এসেছিল। মহিলাদের নতুনকে পরখ করার এই ‘গুণ’ সম্পর্কে পুরুষকে সতর্ক থাকতে হবে। না যাচাই করে মহিলাদের পরামর্শ কার্যকর করা যে বিপজ্জনক তার খবর প্রতিদিন কাগজের পাতায় পাওয়া যায়। তবে মহিলারা রিস্ক নেন এবং পুরুষকে নিতে বাধ্য করেন বলে গেইন হয়। রিস্ক না নিলে গেইন কখনো হবে না। নো রিস্ক নো গেইন। রিস্ক নেওয়াতেই স্বর্গের একঘেয়ে জীবন ফেলে মর্ত্যের চিত্তাকর্ষক বহুমাত্রিক জীবন উপভোগ নরনারীর জন্য আজ সম্ভব হচ্ছে।

মহাবিশ্বের মহাকাশে অন্য কোনো সৌরমণ্ডলে পৃথিবীর মতো প্রাণ ও প্রাণীসমৃদ্ধ গ্রহ আছে কি না মানুষ আজো জানতে পারেনি। এখন পর্যন্ত আমাদের পৃথিবীটাই একমাত্র প্র্রাণসমৃদ্ধ গ্রহ। পৃথিবীর নিয়ম অনুযায়ী এই প্রাণ ও প্রাণীর একাংশ অপরাংশ খেয়ে বাঁচে এবং বংশবৃদ্ধি করে। মানুষ ও অন্যান্য জীবজন্তু শ্বাস নিয়ে বাঁচে, বাঁচে আশা নিয়ে। যতক্ষণ শ্বাস ততক্ষণ আশ। শ্বাস ফেললে অক্সিজেন পুড়ে হয় কার্বন ডাইঅক্সাইড। কয়লা, তেল, গ্যাস পুড়ে যে গ্যাস বেরয় তাকে বলে কার্বন ডাইঅক্সাইড, যা জীবজন্তু ও মানুষের তৎক্ষণাৎ মৃত্যু ঘটাতে পারে। মানুষ ও প্রাণীর বংশবৃদ্ধি এবং কলকারখানার প্রসারে বাতাসে কার্বন বেড়ে পৃথিবীতে জীবের টিকে থাকা অসম্ভব করে তুলত। কিন্তু হচ্ছে না কার্বন গাছপালা তৃণলতার খাদ্য বলে। তারা বাতাসের কার্বন খেয়ে অক্সিজেন ছাড়ে। খাওয়া-খাদ্যের এই চক্রের ক্রিয়াশীলতা প্রাণের প্রবাহ রাখে সচল। তাই গাছ কাটার চেয়ে লাগানো সর্বদা হতে হবে বেশি। একটা কাটলে কমপক্ষে ছ’টা লাগান।

লেখক : প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads