• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ধর্ম

জুমার দিনের কিছু বিশেষ আমল

  • প্রকাশিত ০৬ নভেম্বর ২০২০

মিনহাজ উদ্দিন

 

 

জুমার দিন মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। এ দিনে মুসলমানদের জন্য রয়েছে বিশেষ বিশেষ আমল। হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমা এবং রমজানের মধ্যবর্তী সময়ে যেসব গোনাহ হয়ে থাকে তা পরবর্তী নামাজ, জুমা এবং রমজান (পালনে) সেসব মধ্যবর্তী গোনাহসমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। যদি কবিরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকে।’ -মুসলিম, তিরিমজি

উল্লিখিত হাদিসের আলোকে বুঝা যায় যে, কোনো ব্যক্তি যদি ফজরের নামাজ পড়ার পর পরদিন ফজরের নামাজ আদায় করে তবে এ সময়ে মধ্যে করা সব (কবিরা গোনাহ ব্যতীত) গোনাহ আল্লাহতায়ালা ক্ষমা করে দেবেন। অনুরূপভাবে এক জুমা থেকে অপর জুমা এবং এক রমজানের রোজা আদায়ের পর থেকে পরবর্তী রমজানের রোজা আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির দ্বারা সংঘটিত পূর্ণ এক বছরের সব (কবিরা গোনাহ ব্যতীত) গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলোর মধ্যে তিনটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এক. জুমার দিনে ‘সুরা কাহফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কোরআনুল কারিমের ১৫তম পারার ১৮নং সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারে তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে। যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পাঠ করবে তার জন্য এক জুমা থেকে অপর (পরবর্তী) জুমা পর্যন্ত নূর হবে। সে আটদিন পর্যন্ত সবপ্রকার ফেতনা থেকে মুক্ত থাকবে। যদি দাজ্জাল বের হয় তবে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকেও মুক্ত থাকবে। দুই. জুমার দিনে বেশি বেশি দরূদ পাঠ করা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ। যদি কোনো ব্যক্তি একবার দরুদ পড়ে তবে তার প্রতি ১০টি রহমত নাজিল হয়। তিন. যে ব্যক্তি জুমার দিন আসরের নামাজের পর ৮০ বার এ দরুদ পড়বে, তার ৮০ বছরের গোনাহ্ মাফ হবে এবং ৮০ বছর ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।

জুমার দিনের সীমাহীন ফজিলত ও সওয়াব রয়েছে। নবী কারিম (সা.) বিভিন্ন হাদিসে এসব ফজিলতের কথা তুলে ধরেছেন। বুখারি শরিফের হাদিসে রয়েছে রাসুল (সা.) বলেছেন, কোনো পুরুষ যখন জুমার দিন গোসল করে, সাধ্যমতো পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে বা ঘরে যে সুগন্ধি আছে তা ব্যবহার করে, তারপর (জুমার জন্য) বের হয় এবং (বসার জন্য) দুই জনকে আলাদা করে না, এরপর সাধ্যমতো নামাজ পড়ে এবং ইমাম যখন কথা বলে তখন চুপ থাকে, তাহলে অন্য জুমা পর্যন্ত তার (গুনাহ) মাফ করা হয়। হাদিসের ভিত্তিতে ফেকাহবিদরা এসব আমলকে নির্দিষ্ট করেছেন। যেমন-

১. জুমার দিন গোসল করা। যাদের ওপর জুমা ফরজ তাদের জন্য এ দিনে গোসল করাকে রাসুল (সা.) ওয়াজিব করেছেন।

২. পরিচ্ছন্নতার অংশ হিসেবে সেদিন নখ ও চুলকাটা একটি ভালো কাজ।

৩. জুমার নামাজের জন্য সুগন্ধি ব্যবহার করা। -বুখারি

৪. মিস্ওয়াক করা। -ইবনে মাজাহ

৫. গায়ে তেল ব্যবহার করা। -বুখারি

৬. উত্তম পোশাক পরিধান করে জুমা আদায় করা। -ইবনে মাজাহ

৭. মুসল্লীদের ইমামের দিকে মুখ করে বসা। -তিরমিজি

৮. পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়া। -আবু দাউদ

৯. জুমার দিন ও রাতে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পাঠ। -আবু দাউদ : ১০৪৭

১০. এ দিন বেশি বেশি দোয়া করা। -বুখারি

১১. মুসল্লিদের ফাঁক করে মসজিদে সামনের দিকে এগিয়ে না যাওয়া। -বুখারি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads