• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯

ধর্ম

ইলমে দীন : অতীত, বর্তমান এবং আমদের করণীয়

  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

লাবীব আব্দুল্লাহ

 

ইসলাম পরিপূর্ণ নেজামে হায়াত ও জীবনদর্শন। জীবনবিধান। ইসলামকে জানতে হলে শিখতে হবে ইলম। ইলম আল্লাহর গুণ। আল্লাহ হলেন আলীম। তাঁর ইলম শাশ্বত। চিরন্তন। আমাদের নবীজির উপর অবতীর্ণ  কোরআনুল কারীম হলো আল্লাহর ইলমের প্রকাশ। নবীজির উপর প্রথম ওহী নাজিল হয়েছে ইকরা। পড়। জাহলি যুগে নানা সমস্যা ছিল। অজ্ঞতার অমানিশা ছাি মক্কায়। অন্ধকারময় ছিল বিশ্বময়। এই অমানিশা দূর করতে আল্লাহতায়ালা নবীর উপর নাজিল করেন ইকরা। এই ইকরার তাৎপর্য অপরিসীম। কোরআনুল মাজীদের ব্যাখ্যা হলো হাদিসে নববী। হাদিস হলো মানবজাতির পথ নির্দেশনা। নবীজি মানব জাতির শিক্ষক। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘আমি শিক্ষক হিসেবে প্রেরিত হয়েছি।’ (ইবনে মাজাহ) অন্যত্র বলেন, ‘উত্তম চরিত্রের পূর্ণতার জন্য আমি প্রেরিত হয়েছি।’ (মুসনাদ আল বাযযার) নবীজির চরিত্র হলো  কোরআন। হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘কানা খুলুকুহ আল-কোরআন’। অর্থ নবীজির চরিত্র ছিল কোরআন।’ এই কোরআন সংরক্ষিত। সংরক্ষিত কোরআনের অর্থ ও ব্যাখ্যা। সংরক্ষিত এই কোরআনের ভাষা। আল্লাহতায়ালা কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘আমি স্বয়ং এ উপদেশগ্রন্থ (কোরআন) অবতরণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।’ (সুরা নিসা)

কোরআন সংকলনে সাহাবায়ে কেরামের এক কাফেলা শ্রম ব্যয় করে কোরআনের চূড়ান্ত কপি উপহার দিয়েছেন উম্মাহকে। এটি হয়েছে নবীজির নির্দেশিত পথ অনুসরণ করেই। হাদিস সংকলনে আরেক দল সাহাবি ও তাবেই ও তাবেতাবেইন এবং বিজ্ঞ মুহাদ্দিসগণ বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। প্রায় পঞ্চাশ হাজার রাবী তথা হাদিসের বর্নণাকারীর জীবনীও রচিত হয়েছে। হাদিসশাস্ত্রের এই অধ্যায় পৃথিবীর বিস্ময়কর এক বিষয়। আসমাউর রিজাল বা রাবীদের জীবনীবিষয়ক এই শাস্ত্র ইতিহাসের বিস্ময়কর দিক। কোরআন ও সুন্নাহ গবেষণা করে মুসলিম উম্মাহর প্রখর মেধাবীদের আরেক কাফেলা মুজতাহিদ ইমামগণ ইলমে ফিকহ সংকলন করেছেন। গবেষণালব্ধ আইন-কানুন একজন মুসলমানের জীবনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জীবন পরিচালনার পাথেয়। এই ফিকহশাস্ত্র আকীদা, ইবাদাত, মুআমালা, মুআশারা, সিয়াসাত, আখলাকিয়াতের পূর্ণ বিবরণ যা কোরআন ও সুন্নাহর থেকে উৎসারিত। ইজমা ও কিয়াসের আলোকে রচিত। মূলত ইলমে দীন বলতে মৌলিকভাবে কোরআন, সুন্নাহ ও ফিকহের ইলম বোঝায়। ইলমে শরয়ী বলতে কোরআন ও সুন্নাহর ইলমকে বোঝায়। এই ইলম অর্জন করা প্রত্যেকের উপর ফরজ। হাদিসে ইরশাদ হচ্ছে, ‘ইলমে দীন অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের উপর ফরজ।’

কোরআনুল কারীমে ও হাদিসে ইলমে দীন অর্জনের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন , বলুন যারা জানে এবং যারা জানেনা তারা কি সমান হতে পারে? (সুরা জুমার) আল্লাহতায়ালা আরো বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে যারা ঈমানদ্বার এবং যাদের ইলম দেওয়া হয়েছে তাদের মর্যাদা উঁচু করে দেবেন।’ আল্লাহ যার কল্যাণ চান তাকে ‘ফিক্বহ ফিদ্দীন’ দীনের (সমঝ/বোঝ) দান করেন’ (বুখারি) কোরআনুল কারীম শিক্ষা বিষয়ে হাদিসে আরো বর্ণিত হয়েছে, ‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ওই ব্যক্তি যে কোরআন শিক্ষা অর্জন করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়।’ (বুখারি) নবীজি (সা.) আরো ইরশাদ করেন-‘তোমরা কোরআন পড়ো। নিশ্চয় কিয়ামত দিবসে পাঠকের জন্য কিরআন সুপারিশকারী হবে।’

কোরআন ও সুন্নাহ শিক্ষা দেওয়া হয় মাদরাসায়। মূলত সব মুসলিমের উপর দায়িত্ব ছিল এ শিক্ষা অর্জন করা। কিন্তু আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থায় কোরআন ও সুন্নাহর শিক্ষার যথাযথ আয়োজন নেই। এটি মুসলিম উম্মাহর অধঃপতনের  অন্যতম কারণ। মুসলমানদের প্রকৃত উন্নতি কোরআন ও হাদিসের শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমেই সম্ভব। মুসলমান এই শিক্ষাকে যত অবহেলা করবে বিশ্বদরবারে অন্যান্য জাতির কাছে তারা তত অবহেলিত হতে থাকবে। আজকের বিশ্ব তার বাস্তব প্রমাণ। এই নানা সীমাবধ্যতা সীমিত আয়োজনের ভেতর দিয়েও বাংলাদেশের কওমী মাদরাসাগুলো কোরআন ও সুন্নাহর শিক্ষাবিস্তার ও প্রসারে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এই কওমী মাদরাসা ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য, ঈমান আমল-আদব-আখলাক শিক্ষা দিচ্ছে আমাদের সমাজে। এই কওমী মাদরাসা সমাজে আলেম ওলামা ও হাফেজে কোরআন উপহার দিচ্ছে। আমরা জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তাদের দ্বারা উপকৃত হয়। আমাদের লাখ লাখ মাসজিদ আবাদ হয় কওমী মাদরাসার ইমাম মুয়াজ্জিন দ্বারা। আমাদের ঈদের মাঠ মক্তব মাদরাসাগুলো প্রাণবন্ত থাকে কওমী মাদরাসার আলেম উলামার পদচারণায়। এই কওমী মাদরাসা আমাদের দেশের জন্য আমাদের সমাজের জন্য বিশাল নিয়ামত।

মাদকমুক্ত সন্ত্রাসমুক্ত আলোকিত এক ক্যাম্পাসের নাম কওমী মাদরাসা। বহুমুখী তথ্যসন্ত্রাসের মোকাবিলা করে অগ্রসর হচ্ছে কওমী মাদরাসা। আমাদের দেশের ঈমানদ্বারগণ তাদের হূদয়ের গহীনে স্থান দিয়েছে দীনি শিক্ষার এই আয়োজনকে। এই মাদরাসাগুলো দীন সংরক্ষণ, প্রচার-প্রসারে দুর্গরূপে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলমানদের ঐতিহ্যের মিনার হলো আমাদের কওমী মাদরাসা। ইলমে ওহীর ঝরনাধারা প্রবাহিত হয় এই মাদরাসাগুলো থেকে। দেশপ্রেমিক সুনাগরিক তৈরি হয় কওমী মাদরাসাগুলো থেকে। শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষার সমন্বিত শিক্ষা ব্যবস্থা হলো কওমী মাদরাসা। পার্থিব অপার্থিব জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র হলো মাদরাসা। নবীজির যুগ থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত চলছে ইলমের এ কাফেলা। চলবে কিয়ামত পর্যন্ত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার উম্মতের একদল সত্যের ওপর অবিচল অটল থাকবে সবযুগে।’

হকের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই দল ‘আহলুল ইলম’ তথা নববী ইলমের ধারক-বাহক ওলামায়ে কেরাম। উলামায়ে কেরামের এই কাফেলা সমাজের ভারসাম্য রক্ষা করে। আজকের অশান্ত পৃথিবীতে শান্তির ছোঁয়া এবং প্রশান্তির ঠিকানা হলো দীনি মাদরাসাগুলো। যেখানে গভীর রাতে তেলাওয়াত করা হয় কোরআনুল কারীম। যেখানে হাদিসে নববীর ঝরনাধারা প্রবাহিত হয় প্রতিনিয়ত। মুসলিম জাতি ইকরা বা পড়ার জাতি। কোনো মুসলিমের মূর্খ থাকার সুযোগ নেই। প্রয়োজনীয় ইলম অর্জন সবার উপর ফরজ। ইসলাম ছাড়া অন্য কোনো ধর্ম ইলম অর্জন বা পড়ার প্রতি ইসলামের মতো গুরুত্ব দেয় না। ইসলামের এক বিস্ময়কর দিক হলো কোরআন-সুন্নাহ নিয়ে এতবেশি কিতাবপত্র গবেষণা করা হয়েছে যা অন্যকোনো ধর্মে কল্পনাও করা যায় না। ইসলামের দৃষ্টিতে জ্ঞানচর্চাও একটি ইবাদত। কিন্তু দুখের বিষয় আজকের মুসলিম উম্মাহ সেই গৌরবময় অতীতের কথা ভুলে যাচ্ছে। ভুলে যাচ্ছে মক্কার দারুল আরকাম মদীনা সুফ্ফার বাগদাদের নৈমাযিয়া বায়তুল হিকমাহ ও স্পেনের ইলম চর্চার সোনালী অধ্যায়ের কথা। যে ইসলাম বিশ্ববাসীকে ইলম ও জ্ঞানচর্চার পথ দেখিয়েছে। অন্ধকার ইউরোপকে আলোর সন্ধান দিয়েছে সেই মুসলিম জাতির শিক্ষার হার নিম্নগতিতে। বিস্ময়কর তথ্য হলো পৃথিবীর নির্ভুল সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব আল-কোরআন বিশুদ্ধভাবে পড়তে অক্ষম অনেকেই।

মর্ডানদের আগ্রাসন ইউরোপীয় অন্ধ অনুকরণের প্রবণতা পশ্চিমা বিশ্বের বস্তুবাদী... আগ্রাসনে বিপর্যস্ত মুসলিম জাতি। মুসলিম উম্মাহর সেই ঐতিহ্যবাহী মাদরাসাগুলো বিলুপ্তপ্রায়। গৌরবের মক্তবগুলো অবহেলিত। কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষাকে পশ্চাৎপদতা মনে করে গোটা মুসলমানরাই। যার ফলে মুসলিম দেশগুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছে না। পদদলিত হচ্ছে মুসলমানদের সম্মান। মুসলিম উম্মাহর প্রকৃত সম্মান কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষা বিস্তারে। আজকের অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে হলে পৃথিবীবাসীকে ফিরে আসতেই হবে কোরআন ও সুন্নাহর ছায়াতলে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানবজাতির সঠিক ও যথাযথ সমাধান রয়েছে কোরআন ও সুন্নাহতে। যে জাতি এই সত্য দ্রুত উপলব্ধি করে তাদের জীবনে সুখ-শান্তি ও প্রশান্তির ঝরনাধারা প্রবাহিত হবে। অবগাহন করবে শান্তির সাগরে। কোরআন ও সুন্নাহর মণি মুক্তায় সমৃদ্ধ হবে সেই জাতি মূলত কোরআন ও সুন্নাহর ইলম ছাড়া পৃথিবীতে প্রকৃত সুখ আসবে না। আসা সম্ভবও না।

ইলমে দীন শিক্ষার মাধ্যমে একজন মানুষ তার স্রষ্টার পরিচয় লাভ করে। আল্লাহর মারেফত লাভ করতে পারে। ইলমের মাধ্যমে একজন মানুষ অপর মানুষের হক ও অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে পারে। ইলমের মাধ্যমে একজন মানুষ আল্লাহর হক সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। ইলমের মাধ্যমে একজন মানুষ নবী ও তার রিসালাত সম্পর্কে জানতে পারে। ইলমের মাধ্যমে একজন মানুষ তা পরবর্তী আরেক জীবন সম্পর্কে জানতে পারে। ইলমের মাধ্যমে একজন মানুষ পৃথিবীর অন্যান্য সৃষ্টজীবের সঙ্গে কী সম্পর্ক হবে তা জানতে পারে। ইলমের মাধ্যমে জান্নাত ও জাহান্নাম সম্পর্কে জানতে পারে একজন মানুষ। তাই ইলমের কোনো বিকল্প নেই। ইলমে ওহী ছাড়া একজন মানুষ অন্ধের মতো। ইলমে ওহী ছাড়া একজন মানুষ জীবনে কোনো উন্নতি করতে পারেনা। বাহ্যিকভাবে আমরা যা উন্নতি ভাবছি ও উন্নতির ধাপ মনে করছি, অর্থকড়ি বৃদ্ধি বা আকাশ ছোঁয়া ভবন নির্মাণ করা তথ্যপ্রযুক্তিতে অগ্রসর হওয়া এসব প্রকৃত উন্নতি নয়। প্রকৃত উন্নতি হলো মানুষ যখন তার স্রষ্টাকে চিনতে পারে। নিজের আখেরাতের জীবনের জন্য পাথেয় সংগ্রহ করতে পারে। প্রকৃত উন্নতি হলো হূদয় জগত যদি কোরআন ও সুন্নাহর আলোয় আলোকিত করতে পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে সহীহ ইলম ছাড়া আমল শুদ্ধভাবে করা সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে ইলম শিখতেই হবে।

 

আমাদের করণীয়

 

(১) আমরা অবশ্যই বিশুদ্ধভাবে আমাদের সন্তানদেরকে কোরআন শিক্ষা দেব। দৈনন্দিন জীবনের শরীয়ার বিধান শিক্ষা দেব । (২) যে সকল শিক্ষকগণ অল্প অজিফা বেতনে মাদরাসাগুলোতে দিনরাত মেহনত করছেন, আমাদের সন্তানদের খেদমত করছেন, আমাদের দেশের সন্তানদেরকে কোরআন ও সুন্নাহ শিক্ষা দিচ্ছেন তাদেরকে হাদিয়া দেব। (৩) যে সকল গরীি দরিদ্র অসহায় তালেবে ইলম মাদরাসায় পড়া লেখা করে তাদের পড়া লেখাট আমরা সহযোগিতা করবো। তাদের খাদ্যের ব্যবস্থা করবো। তাদের পোশাকের ব্যবস্থা করব। তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণে আমাদের সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিব। (৪) মাদরাসায় কোরআাান রেহাল তেপায়া কার্পেট দান করব। প্রয়োজনীয় কিতাবপত্র দান করব। সমৃদ্ধ কিতাবখানা বা লাইব্রেরি ছাড়া একটি মাদরাসা শুধু ভবন উন্নতি হলে প্রকৃত উন্নতি হবে না। তাই আমরা মাদরাসায় কিতাবপত্র দান করব। এটি সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। (৫) মাদরাসার ভবন না থাকলে আমরা ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করতে পারি। এই ভবনে ইলমের চর্চা হবে তালেবে ইলমের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ করে দিতে পারি। এটি হবে আমার জন্য আখেরাতের সম্ভল তালেবে ইলমের খেদমত করতে পারাও সৌভাগ্যের বিষয়। এভবন নির্মাণেও সদকায়ে জারিয়ার অন্তর্ভুক্ত। (৬) মাদরাসা, মাদরাসার তালিবে ইলম মাদরাসার শিক্ষকদের নিয়ে নানা মন্তব্য করা হয়। মিডিয়াগুলো না জেনে মাদরাসার বিরুদ্ধে মিথ্যা রিপোর্ট করে। অনেক সময় তথ্য সন্ত্রাস করে। আমাদের দায়িত্ব হলো এগুলোর অপনোদন করা। সন্দেহ দূর করা। মিডিয়া কর্মীদেরকে দাওয়াত দিয়ে মাদরাসা পরিদর্শন করিয়ে তাদের সঠিক তথ্য দেওয়া। (৭) সাবাহী মকতব বা প্রভাতী মক্তবগুলোর প্রতি লক্ষ রাখা। উস্তাযদের বেতন যথাযথভাবে সম্মানজনক পন্থায়  আদায় করা আমাদের সবার দায়িত্ব। মকতব যদি বিলুপ্ত হয় অবহেলিত হয় তাহলে কোরআনবিমুখ প্রজন্ম জন্ম হবে। যা আমাদের নানা অকল্যাণের কারণ হবে।

আমাদের হূদয়ের শুদ্ধি, আত্মশুদ্ধি এবং হূদয় জগতের শান্তির জন্যই আমাদের বিচরণ করতে হবে ইলমে নববীর বাগানে। আহরণ করতে হবে ইলমের ফুল। সময় কাটাতে হবে ইলমের সুরভিত বাগানে। ইলম দীন বসন্তের ফুলের মতো। ইলমে দীনের সাথে আমালে সালেহা ও ভালো কাজ সমন্বিত হলে হূদয়ে বিরাজ করবে প্রশান্তি, ইতমিনান।

 

লেখক : আলেম, গবেষক, শিক্ষাবিদ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads