• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯
প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির সময় নবীজি যে দোয়া পড়েছেন

সংগৃহীত ছবি

ধর্ম

প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টির সময় নবীজি যে দোয়া পড়েছেন

  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২১

আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত-রাসসুুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অবস্থা এরূপ ছিল যে, যখন কোনো সময় দমকা হাওয়া ও মেঘের ঘনঘটা দেখা দিত, তার চেহারায় একটা আতঙ্কের ভাব ফুটে উঠত এবং তিনি আগে পিছনে উদ্বিগ্ন হয়ে চলাফেরা করতেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-১৯৬৯)

যখন বাতাস প্রবল আকার ধারণ করত, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এভাবে  দোয়া করতেন, ‘আল্লহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খয়রাহা-ওয়া খয়রা মাকীহা-ওয়া খয়রা মা-ফীহা ওয়া খয়রা মা-উরসিলাত বিহী, ওয়া আউয়ুবিকা মিন শাররিহা-ওয়া শাররি মা- ফীহা- ওয়া শাররি মা-উরসিলাত বিহী’। (অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে মেঘের কল্যাণ কামনা করছি ও এর মধ্যে যে কল্যাণ নিহিত আছে এবং যে কল্যাণের সাথে প্রেরিত হয়েছে তাও এবং তোমার কাছে এর অকল্যাণ ও এর মধ্যে যে অকল্যাণ নিহিত আছে এবং যে অকল্যাণ নিয়ে এসেছে তা থেকে আশ্রয় চাই।)। আয়েশা (রা.) বলেন, যখন আসমানে মেঘ বিদ্যুৎ ছেয়ে যেত তার চেহারা বিবর্ণ হয়ে যেত এবং তিনি ভেতরে বাইরে আগে পেছনে ইতস্তত চলাফেরা শুরু করে দিতেন। এরপর যখন বৃষ্টি হতো তার এ অবস্থা দূর হয়ে যেত। আয়েশা (রা.) বলেন, এ অবস্থা বুঝতে পেরে আমি তাকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলতেন, হে ‘আয়েশা! আমার আশঙ্কা এরূপ হয় নাকি যেরূপ ‘আদ সমপ্রদায় বলেছিল। যেমন কোরআনে উদ্ধৃত হয়েছে, ‘যখন তারা এটাকে তাদের প্রান্তর অভিমুখে মেঘের আকারে এগিয়ে আসতে দেখল, তারা বলল, এ মেঘ আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষাবে (পক্ষান্তরে তা ছিল আসমানি গজব)।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং-১৯৭০)

শিক্ষা : বৃষ্টি সাধারণত বান্দার জন্য আল্লাহর রহমত। কিন্তু যদি তা প্রবল হয় এবং প্রচণ্ড ঝড় শুরু হয় তখন তা আজাবও হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads