• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

ধর্ম

ইসলামে ভ্রমণের ঐতিহ্য

  • প্রকাশিত ০৪ জুলাই ২০২১

মুফতি আহমদ আবদুল্লাহ

 

পৃথিবীর নেতৃত্ব কর্তৃত্ব ন্যস্ত করা হয়েছে মানুষের ওপর। মানুষকেই আল্লাহ তার প্রতিনিধি করেছেন এবং বলেছেন, ‘আমি পৃথিবীতে আমার প্রতিনিধি সৃষ্টি করতে চাই।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-৩০) তিনি কেবল মানুষই সৃষ্টি করলেন না, সঙ্গে সঙ্গে হজরত আদম (আ.) কে সেজদা করার নির্দেশ দিলেন ফেরেশতাদের, তাই করা হলো। এখানেই শেষ নয়, তিনি মানুষ থেকে বিশেষ লোকদের বাছাই বা মনোনীত করে তাদের ওপর খোদায়ী বিধান অবতীর্ণ করলেন। এই বিধানের সব কিছুই অবতীর্ণ মানুষকে ঘিরে। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে  মানুষ ঘুরে বেড়াবে। রিজিকের অন্বেষণে, পৃথিবীর নেতৃত্ব গ্রহণে, রহস্য খুঁজে বের করতে, জ্ঞান আহরণেও মানুষ পৃথিবী আবাদ ও মুখরিত করবে। কেননা আল্লাহতায়ালা সে শক্তি তাদেরকে দিয়েছেন। মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘আল্লাহতায়ালা পৃথিবীর যাবতীয় বস্তু, ভাষা ও সৃষ্টির নাম শিক্ষা দিয়েছেন।’ (সুরা বাকারা, আয়াত-৩১) এর কারণ মানুষকে দিয়েই তো আল্লাহর সব পরিকল্পনা। সে জন্য এর বাস্তবায়নের প্রথম পদক্ষেপ আল্লাহতায়ালা মানবজাতির আদি পিতাকে সেরকম জ্ঞানে সমৃদ্ধ করেছিলেন। যার মোকাবিলা ফেরেশতারাও করতে পারেনি। সমগ্র পৃথিবী মানুষের বিচরণ ক্ষেত্র। এ কথা  কোরআনে আয়াত দ্বারাও প্রমাণিত হয়। মহান রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘হে আমার ঈমানদার বান্দারা! তোমরা শুনো, আমার এই পৃথিবী অনেক প্রশস্ত। সুতরাং তোমরা কেবলই আমার দাসত্ব করবে।’ এতদ্বারা এটাই বুঝানো হয়েছে যে, কোথাও সাময়িকভাবে কোনো সমস্যায় পড়লে কিংবা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে আল্লাহর দাসত্ব ছেড়ে দেওয়া যাবে না; বরং এই বিশাল পৃথিবীর মাঝে বিচরণ কিংবা হিজরত করে অন্যত্র চলে যাও, যেথায় নিরাপদ ও সুযোগ হবে এবং সেখানে গিয়ে আমার দাসত্ব করো।

মহান রাব্বুল আলামিন আশরাফুল মাখলুকাতের জন্য সমগ্র পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের বিচরণেরও সুযোগ করে দিয়েছেন। সর্বপ্রথম এর প্রতিফলন ঘটেছে আদি পিতা ও আদি মাতার জীবনে। তারা তিনশত বছর পৃথিবীর সর্বস্থানে একে অপরকে খুঁজে বেড়িয়েছেন। অবশেষে তাদের পরস্পর সাক্ষাত ঘটেছে আরাফার ময়দানে। আল্লাহতায়ালা দুজনের পরিচয় বা মিলন ঘটালেন বহুদিনের ভ্রমণ বা সফরের পর। এতে বুঝা গেলো যে, মানুষকে পারস্পরিক পরিচিতি ও প্রয়োজন মেটাতে এভাবে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমনাগমন করতে হবে। আদি মাতা-পিতার মিলনস্থলের নামকরণই করা হলো ‘আরাফা’ বা পরিচিতি স্থান হিসেবে। সে থেকে আরম্ভ করে পৃথিবী ধ্বংসের পূর্ব পর্যন্ত এ ময়দানে ঘটতে থাকবে লক্ষ কোটি মানুষের মিলন। মানুষ ছুটে আসবে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চল থেকে।

 

মানুষ কেনো সফরে যায় : এ প্রশ্নের জবাব খুবই সহজ। মানুষের হাজারও কাজ। হাজারও সমস্যার সমাধানে তারা ছুটে যায় এক দেশ থেকে অন্য দেশে, এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। প্রধানত মানুষ রিজিকের অন্বেষণে ঘুরে বেড়ায়। দ্বিতীয়ত রাষ্ট্রীয় তথা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানে এবং ধর্মীয় ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে মানুষ এক স্থান থেকে অন্য স্থানে গমনাগমন করে থাকে। মহান আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানবমণ্ডলী! তোমরা পৃথিবীর হালাল খাদ্যদ্রব্য থেকে ভক্ষণ করো, আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা, আয়াত- ১৬৮) আল্লাহতায়ালা বৈধ, সিদ্ধ বা হালাল খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে ‘ফিল আরদি’ শব্দ ব্যবহার করে বুঝিয়েছেন যে, সমগ্র পৃথিবী তোমাদের রোজগার বা খাবারের স্থান। এখান থেকে তোমাকে শ্রম দিয়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে। তবে সঙ্গে সঙ্গে শয়তান থেকে সতর্ক থাকতেও সাবধান করে দিয়েছেন। পৃথিবীর সকল সুবিধা মহান রাব্বুল আলামিন মানুষের জন্য অবারিত করে দিয়েছেন। এজন্য প্রথম মানব-মানবীকে দিয়েই পৃথিবীর আবাদ ও সফরের অভিজ্ঞতা জগতবাসীর সম্মুখে উদ্ভাসিত করে দিয়েছেন। হজরত সুলাইমান (আ.)কে আল্লাহতায়ালা সমগ্র পৃথিবী ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি দ্রুতগামী বাহনের সাহায্যে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে ভ্রমণ করতেন। হজরত নুহ (আ.)-এর জীবনে কিস্তির সাহায্যে পৃথিবীর জলভাগে সফরের শিক্ষা রয়েছে। এভাবে  পূর্ববর্তী নবী-রাসুলের জীবনে ভ্রমণ, সফর ও হিজরতের অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষা আমাদের সম্মুখে।

 

আমাদের প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেমনিভাবে এক  দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করেছেন, তেমনি পৃথিবী ছেড়ে গিয়ে ঊর্ধ্বাকাশে মহাপরিভ্রমণ করে মহান রাব্বুল আলামিনের দিদার বা মোলাকাত লাভে ধন্য হয়ে আবার পৃথিবীতে ফিরে আসেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এরূপ সফরের দ্বিতীয় কোনো নজির নেই। কারণ তিনি তো মহাবিশ্বের মহান নেতা, সর্বশ্রেষ্ঠ। তাই তার সঙ্গে কারো কোনো তুলনা নেই এখানে। হালাল রিজিক অন্বেষণ করা ফরজ। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘হালাল রোজগার করা অন্যান্য ফরজের মতোই একটি ফরজ। নবী-রাসুলগণ নিজ নিজ হস্তে রোজগার করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। হাদিসে এ ব্যাপারে বিস্তৃত আলোচনা এসেছে। মহানবী (সা.) বলেন, ‘হজরত আদম (আ.) ছিলেন কৃষিজীবী, হজরত দাউদ (আ.) ছিলেন কর্মকার, হজরত শোইয়াব (আ.) গৃহে কর্মরত ছিলেন, হজরত ইদরিস (আ.) সেলাই কাজ করতেন। এমনিভাবে সকল নবী-রাসুল নিজ নিজ হস্তে কাজ করতেন। আমাদের প্রিয়নবী (সা.)-এর ব্যবসা-বাণিজ্য দেখাশুনা করতেন।

 

নিরাপদ সফর বা ভ্রমণের শিক্ষা : সমগ্র পৃথিবীকে আল্লাহতায়ালা মানুষের জন্য আবাদযোগ্য করে সৃষ্টি করেছেন। মহান আল্লাহতায়ালার বাণীর প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে দেখি তিনি বলেছেন, ‘সমগ্র পৃথিবীর বক্ষে বিচরণের সুবিধার্থে তিনি পৃথিবীকে তোমাদের জন্য সুগম করে দিয়েছেন। অতএব তোমরা বিচরণ করো ও তার দেয়া রিজিক আহার করো।’ (সুরা মুলক, আয়াত-১৫) এখানে দুইটি বিষয় লক্ষণীয়, প্রথমত পৃথিবীকে ভ্রমণোপযোগী করে দেওয়া। দ্বিতীয়ত সমগ্র পৃথিবীতে বিচরণ করে আল্লাহর দেওয়া নেয়ামত তথা রিজিক অন্বেষণ করা। ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের বিচিত্র দ্রব্যাদির উৎপাদন হয়। স্থলে, জলে ও মাটির গর্ভে এবং পাহাড়ে বহু মূল্যবান বস্তু রয়েছে, সেগুলো আহরণ করে আমদানি রপ্তানির মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী বাজারজাত করার ইঙ্গিত আয়াতে রয়েছে। যেমন, সুরা জুমআর ১০ নং আয়াতে আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘যখন তোমরা সালাত শেষ কর, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়ো এবং নিজ কর্মস্থলে উপস্থিত হয়ে আল্লাহর দেওয়া রিজিক অন্বেষণ করো।’ এখানে হিজরতের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। পৃথিবীর পুরোটাই মুসলমানদের কর্মস্থল। সুতরাং কোথাও অসুবিধে দেখা দিকে অন্যত্র গিয়ে তারা আল্লাহর দাসত্ব করবে অর্থাৎ আল্লাহর বিধান মতে চলবে ও চলার ব্যবস্থা করবে।

মহান রাব্বুল আলামিন জ্ঞান অর্জনের জন্য পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে সফরের প্রতি গুরুত্বারোপ করে ইরশাদ করেছেন, ‘তারা এই উদ্দেশ্যে কেনো দেশ ভ্রমণ করেনি যে, তারা জ্ঞানসমৃদ্ধ হূদয় ও শ্রবণশক্তি সম্পন্ন কর্ণের অধিকারী হতে পারে।’ (সুরা হজ, আয়াত-৪৬) অর্থাৎ জ্ঞানসমৃদ্ধ হূদয় ও শ্রবণশক্তির অধিকারী হওয়ার জন্য বিশ্বভ্রমণ করার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। উপরিউল্লিখিত শিক্ষাসমূহ রাসুল (সা.)-এর ওপর ওহী নাজিলের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা জগতবাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। রাসুল (সা.) আল্লাহর দীনের প্রচার ও প্রসারের জন্য সর্বপ্রথম মক্কাবাসীদের আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু এক যুগ সময় অতিক্রম হয়ে যাওয়ার পরও খুব কম সংখ্যক লোক (মাত্র ৪০ জন) সত্যের সাক্ষ্য দিয়ে ইসলামে দীক্ষিত হয়। বিপরীত মেরুতে অবস্থান করে চরম শুত্রুভাবাপ্নন সংখ্যাগরিষ্ঠ মক্কাবাসী, যারা প্রিয় নবীজির অস্তিত্বকেই মেনে নিতে পারেনি। তারা তাকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে ফেললে আল্লাহতায়ালার নির্দেশে তিমি অলৌকিকভাবে মদিনায় হিজরত করেন। মহানবী (সা.)-এর মদিনায় হিজরত পৃথিবীর মানুষের কাছে এক ঐতিহাসিক শিক্ষারূপে কেয়ামত পর্যন্ত জাগ্রত হয়ে থাকবে। কোরআনের বাণীর সত্যতা রাসুল (সা.)-এর হিজরতের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়েছে। মাহান রাব্বুল আলামিন একই কথা বলেছেন, ‘কোনো স্থানে যদি আল্লাহর দাসত্ব করা সম্ভব না হয়, তাহলে আমার পৃথিবী অনেক বিস্তৃত, প্রয়োজনে সেখানে গিয়ে আল্লাহর দাসত্ব কায়েম করো। মদিনার জীবনে রাসুল (সা.) লক্ষাধিক একনিষ্ঠ অনুসারী তৈরি করেছিলেন। যাদের তুলনা পৃথিবীতে আর কারো সঙ্গে হয় না। তাদেরকে তিনি সমগ্র পৃথিবীতে দীনের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব দিলেন এবং বললেন, ‘তোমরা আমার পক্ষ থেকে একটি কথা জানলেও তা অন্যের কাছে পৌঁছে দাও।’ সাহাবায়ে কেরাম এ দায়িত্ব অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন। তারা পৃথিবীর সকল প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। দীন প্রচারের জন্য তাদের সফর, ভ্রমণ বা হিজরত অব্যাহত ছিল।

সফরে গমনাগমনের ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)- এর উপদেশ : রাসুল (সা.) সাধারণত বৃহস্পতিবার দিন ছাড়া অন্য দিনে সফরে যেতেন না। এছাড়া তিনি দিনের প্রথমাংশে সফরে যাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ দিতেন। তিনি উম্মতকে দিনের প্রথমাংশে বরকত দান করার জন্য দোয়া করতেন। ছোট কিংবা বড় কোনো সেনাদল কোথাও পাঠালে তিনি দিনের প্রথমভাগে পাঠাতেন। প্রিয়নবী (সা.) সফরের ক্ষেত্রে উত্তম সঙ্গী নির্বাচনের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি সফরে সঙ্গী-সাথীর সংখ্যা সম্পর্কে বলেছেন যে, একজন কিংবা দুজন সঙ্গীর চেয়ে তিনজন সঙ্গী অধিক উত্তম। তিনজনের সফরকে কাফেলা বলা হয়। এক কিংবা দুজনের ওপর শয়তান প্রভাব বিস্তার করতে পারে, কিন্তু তিনজনের ওপর সম্ভব হয় না। রাসুল (সা.) তিনজনের সফরে একজনকে দলনেতা নির্বাচন করতে বলেছেন। মহানবী (সা.) সফরের সময় সওয়ারি উট বা পশুর ওপর নির্যাতন করতে নিষেধ করেছেন। সফরে রাত্রিযাপনের সময় ঐক্যবদ্ধভাবে থাকার কথা বলেছেন।

সফরে সঙ্গী-সাথীদের সাহায্য করা : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দাকে সাহায্য করেন যতক্ষণ সে তার ভাইকে সাহায্য করে।’ (মুসলিম শরিফ)। তিনি অন্যত্র বলেন, ‘প্রতিটি সৎকাজ একটি সদকা।’ (বুখারি) প্রিয়নবী (সা.) আরো বলেন, ‘যে ব্যক্তির সঙ্গে অতিরিক্ত জন্তুযান আছে তার সে যানটি এমন ব্যক্তিকে দিয়ে দেয়া উচিৎ, যার একটিও সওয়ারি নেই। আর যে ব্যক্তির কাছে অতিরিক্ত খাবার আছে,  তা এমন ব্যক্তিকে দেওয়া, যার কোনো খাবার নেই। এরপর তিনি বিভিন্ন ধরনের সম্পদের কথা বলতে লাগলেন।’ এর প্রকৃত নজির আমরা দেখতে পাই। হিজরতের পর আনসার ও মুহাজিরদের পরস্পরের মাঝে যে সৌভ্রাতৃত্বের দৃষ্টান্ত যা মানব ইতিহাসে এক মহান শিক্ষা হয়ে আছে। এমনিভাবে রাসুল (সা.)-এর সফর বা হিজরতে অধ্যায় থেকে আমরা শিক্ষা পেয়ে থাকি তা হলো, নারী শিশু এবং দুর্বলদের কোনো ক্ষতি না করা, এমনকি গাছপালা বা কোনো সৃষ্টজীবেরও সামান্যতম কষ্ট না দেওয়ার শিক্ষা।

হালাল রোজগারের জন্য জমিনে ছড়িয়ে পড়তে মহান রাব্বুল আলামিন নির্দেশ দিয়েছেন। সফর করার মাধ্যমে হালাল উপার্জন, জ্ঞান অর্জনসহ সর্বপ্রকার কল্যাণের কথা কোরআন ও হাদিসে ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়েছে। কোরআন ও সুন্নাহর নির্দেশিত পন্থায় আমরা দেশ-বিদেশে নিরাপদ সফর করে যেনো কল্যাণ অর্জন করতে পারি, মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের সেই তাওফিক দিন। আমিন!

 

লেখক : কলামিস্ট ও প্রাবন্ধিক

ahmadabdullah7860@gmail.com

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads