• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘চক্ষুদান সর্বশ্রেষ্ঠ দান’

আজমেরি হক বাঁধন

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

‘চক্ষুদান সর্বশ্রেষ্ঠ দান’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ নভেম্বর ২০১৮

মরণোত্তর চক্ষুদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। ২৫ নভেম্বর সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির ৩৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিনি এ সিদ্ধান্ত নেন। দেশ থেকে অন্ধত্ব দূর করতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান বাঁধন।

এ প্রসঙ্গে বাঁধন বলেন, আমি স্টুডেন্ট লাইফে নিয়মিত রক্তদান করতাম। সন্ধানীতে রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। যখন থেকে বুঝতে শিখেছি, মানুষের বিপদে সবসময় চেষ্টা করি পাশে দাঁড়াতে।

বাঁধন ডেন্টাল কলেজ থেকে পড়েছেন। ওই কলেজের শিক্ষক ডা. জয়নাল আবেদিন সন্ধানী চক্ষুদান সমিতির সঙ্গে যুক্ত। বাঁধন নিজেও বর্তমানে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচিত সদস্য।

এ বিষয়ে বাঁধন বললেন, স্যারের মাধ্যমে চক্ষুদান সমিতি সম্পর্কে জেনেছি। তবে চক্ষুদান করব এটা কখনো ভাবিনি। শিক্ষকের অনুপ্রেরণায় চোখ দানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনে হয়েছে, আমি ঠিক করেছি। মানুষের জন্য কিছু একটা করতে পারছি।

বাঁধন আরো বলেন, আমার কাজ-কথা কিংবা শরীরের কোনো অঙ্গ মৃত্যুর পর যদি কারো মাঝে বেঁচে থাকে, সে অনেক বড় প্রাপ্তি। আমি এখন অ্যাডাল্ট। নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি। আমার পারিবারিক শিক্ষা ছিল সবসময় যেন মানুষের উপকার করি। চোখদান মানুষের জন্য অনেক অবদান। সর্বশ্রেষ্ঠ দানের মধ্যে একটি চক্ষুদান। মারা যাওয়ার পর আমার চোখ দানের সিদ্ধান্ত বাবা-মা খুব ভালোভাবে নিয়েছে। যখন আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।

উল্লেখ্য, একই দিন মরণোত্তর চক্ষুদানের ঘোষণা দেন বরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হাসান ইমাম ও লায়লা হাসান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads