• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

ঝলক দেখাচ্ছেন সাবিলা নূর

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ অক্টোবর ২০১৯

ভিন্নধারার অভিনয় আর ভিন্নধারার চরিত্র- এ দুটি বিষয়ে কখনো ছাড় দেন না বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তারকা সাবিলা নূর। তাই তো তার নাটকে অন্যান্য নাটকের মতো একঘেমি নেই। শুরু থেকেই নানামুখী চরিত্রে দর্শকের মননে আলাদা জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। এবারের কোরবানি ঈদেও পাওয়া গেছে তার রেশ। ব্যতিক্রম সব নাটকে দেখা গেছে তাকে।

সাম্প্রতিক সময়ে নিজেকে এমন বদলে ফেলার বিষয়ে সাবিলা বলেন, ‘আমি খুবই চুজি হয়ে গেছি। ব্যক্তিগত পরিচয়ের কারণে নাটক হাতে নেওয়া বাদ দিয়েছি। সোজা কথা, আমার অনেক টাকা লাগবে না। কাজ করব বেছে-বেছে। মাসে একটি নাটকের শুটিং করলেও কোনো সমস্যা নেই। সেই কাজটা যেন দর্শকের মনে দাগ কাটে, সেটাই আমার লক্ষ্য।’

গেল একটি বছর সাবিলাকে অতিরিক্ত নাটকে দেখা যায়নি। কাজ করেছেন গুনে-বেছে। ফলে এসব নাটকের শ্রম তার বিফলে যায়নি। সে কথাও বললেন নিজের মুখে। ‘আগে এতটা প্রশংসা পাইনি। এখন তো অনেকের মুখে বলতে শুনি, সাবিলা বেশ পরিপক্ব হয়েছে। সত্যি বলতে এসব শুনতে বেশ ভালোই লাগে।’

‘অতিরিক্ত কাজে আমি বিশ্বাসী নই। অল্প কাজ করব, তবে মানসম্মত। ইদানীং আমি ভালো গল্প খুঁজি। চেষ্টা করি, একটি নাটকের গল্পের সঙ্গে আরেকটি নাটকের গল্প যাতে মিলে না যায়। একটা বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করছি, যোগ করলেন হাল সময়ের ছোটপর্দার সবচেয়ে আলোচিত এ অভিনেত্রী। কথার পেছনে যুক্তিও আছে। সাবিলা অভিনীত সাম্প্রতিক সময়ের নাটকগুলো দেখলেই তার কথার সত্যতা আন্দাজ করা যায়। উদাহরণ দিয়ে বলা যেতে পারে বেটার হাফ, ছ্যাঁকা খেয়ে ব্যাঁকা, জোকার জসিম ও টোটাল রিলোডেড নাটকগুলো। এ ছাড়া কাজল আরেফিন অমির ‘দ্য টেইলর’ নাটকটি সাবিলার ক্যারিয়ারে অন্যতম চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ ছিল বলে নিজেও স্বীকার করেছেন।

শহুরে দস্যি মেয়ে কিংবা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ের চরিত্রে সাবিলাকে সবাই চেনে। তাই বলে ভূতের চরিত্রে! এও সম্ভব। হ্যাঁ, এটাও সম্ভব হয়েছে কেবল সাবিলার অভিনয়শৈলীর বলে। চরিত্রের প্রয়োজনে হয়েছেন ভূত। না! এটা কোনো বোকাভূত নয়। সত্যি সত্যি ভৌতিক গল্পে কাজ করেছেন তিনি। এ নিয়ে সাবিলা বলেন, ‘আমি ভূত অনেক ভয় পাই। তাও চরিত্রের জন্য ভূত হয়েছি। আর চরিত্রটিকে একদম ন্যাচারাল রাখার জন্য এখানে কোনো গ্রাফিকস ব্যবহার করা হয়নি। সবটা অভিনয় দিয়েই ফুটিয়ে তুলতে হয়েছে। পুরো ইউনিট মিলে গাজীপুরের একটি পুরনো বাড়িতে আমরা এই ভূতের দৃশ্যায়ন করেছি। সত্যি, অভিজ্ঞতাটা চমৎকার।’

পরিণত চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপনা করা সাবিলার একটা অভ্যাস হয়ে গেছে। একথায় নতুন গল্প যেখানে, সাবিলা সেখানে। এত গেল ছোটপর্দার গল্পসল্প। কিন্তু বড়পর্দা! সেখানেও একই দশা। এখনো মনের মতো গল্প খুঁজে পাননি সাবিলা, তাই বড়পর্দার কোনো প্রজেক্টে দেখা যাচ্ছে না তাকে। এ নিয়ে সাবিলা বলেন, ‘সিনেমা একটি বড় মাধ্যম। এখানেও কাজ করার ইচ্ছে আছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads