• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯

শোবিজ

গান গেয়ে মুগ্ধ করলেন তারা

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৯

রাজধানীর গুলশানের একটি অভিজাত রেঁস্তোরায় টিটনের গ্রন্থনায় ‘স্বর্ণযুগের রুপালি পর্দার সেরা জুটির সেরা গান’ অনুষ্ঠানে টানা ১৯টি গান গেয়ে শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করলেন এই প্রজন্মের নন্দিত জার কণ্ঠশিল্পী রাশেদ, সাব্বির জামান, জিনিয়া জাফরিন লুইপা ও সানজিদা মাহমুদ নন্দিতা। একটি প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সাধারণ সভায় তারা চারজন এই গান গেয়ে আমন্ত্রিত শ্রোতা দর্শককে মুগ্ধ করেন তারা। গত শুক্রবার রাত প্রায় ৮টায় মঞ্চে ওঠেন শিল্পীরা। শুরুতেই ময়নামতি’ সিনেমার বশির আহমেদের গাওয়া ‘অনেক সাধের ময়না আমার’ গানটি পরিবেশন করেন রাশেদ। ১৯৬৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই সিনেমার গান দিয়ে শুরু করেই প্রথমেই শ্রোতা-দর্শককে মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে ফেলেন।

এর পরপরই লুইপা ‘নীল আকাশের নিচে’ সিনেমার ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া ‘গান হয়ে এলে’ গানটি পরিবেশন করেন। তার সুরেলা পরিবেশনা বরাবরের মতোই মুগ্ধ করে সবাইকে। সাব্বির পরিবেশন করেন ‘ইন্দ্রানী’ সিনেমার সূর্য ডোবার পালা আসে যদি। ভরাট কণ্ঠে সাব্বিরের গান সব সময়ই মুগ্ধতা ছড়ায়। এরপর নন্দিতা পরিবেশন করেন সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া ‘গানে মোর ইন্দ্রধনু’। নন্দিতার অসাধারণ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে চারজনের গায়কীতে যেন ভালো লাগার এক অন্যরকম পরিপূর্ণতায় মগ্ন হলেন শ্রোতা-দর্শক। এরপর তারা একে একে পরিবেশন করেন তুমি যে আমার কবিতা, নীড় ছোট ক্ষতি নেই, মন যদি ভেঙ্গে যায়, পেয়ার ভারে দো শারমিলে, আকেলে না জানা, দুনিয়া কিসিসে প্যায়ার হ্যায়, কাহাহো তুমকো, আজ ফির জিনি কি তামান্না হ্যায়, খোঁয়্যা খোঁয়্যা চাঁদ, ম্যায় জিন্দিগিমে হারদাম জো, পেয়ার কিয়াতো ডারনা কিয়া, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’সহ আরো বেশ কিছু বাংলা, হিন্দি, উর্দু গান।

এমন একটি অনুষ্ঠানে গান গাওয়া প্রসঙ্গে সাব্বির জামান বলেন, ‘সত্যি বলতে এই ধরনের অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার পূর্বে আমাদের নিজেদের প্রস্তুতিটাও অনেক বেশি করতে হয়। আর এমন কিছু গানও গাইতে হয় যা আগে কখনো শোনাও হয়তো হয়নি, যে কারণে ভালোভাবে গানটি তুলে গাইতে হয়। আমাদের চারজনকেই সেসব গান রপ্ত করে মঞ্চে উঠে গাইতে হয়েছে। বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হলেও আমরা উপভোগ করেছি।’ রাশেদ বলেন, ‘যদি গানগুলো চর্চা করার আরো সময় পাওয়া যেত তাহলে পরিবেশনা হয়তো আরো ভালো হতো। তারপরও শ্রোতা দর্শকের ভালো লেগেছে সেটাই বড় তৃপ্তি।’

লুইপা বলেন, ‘আমরা যে পরিবেশে গান গেয়েছি এমন পরিবেশ বছরে এক দুবারই পাওয়া যায়। মূলকথা এ ধরনের শ্রোতা পাওয়াও ভাগ্যের ব্যাপার যারা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে শুধু গানই শোনেন। কারণ শ্রোতাদের একান্ত মনোযোগের ওপরই শিল্পীদের পরিবেশনাও অনেকটা নির্ভরশীল।’ নন্দিতা বলেন, ‘আয়োজকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কারণ তাদের আগ্রহ এবং আন্তরিকতার কারণেই এমন চমৎকার আয়োজন সম্ভব হয়েছে। সেরা জুটির সেরা গান অনুষ্ঠানের পরিবেশটাই আসলে গান গাইতে পারার মধ্যে নিজের ভেতরও ভীষণ ভালো লাগার সৃষ্টি করেছে।’ উল্লেখ্য এবারই প্রথম একসঙ্গে একই মঞ্চে গান গেয়েছেন রাশেদ, সাব্বির, লুইপা ও নন্দিতা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads