• বুধবার, ৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

নতুন অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু হচ্ছে দুরন্ত’র মৌসুম

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ জানুয়ারি ২০২০

বেশ কিছু শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান নিয়ে শুরু হচ্ছে দুরন্ত টেলিভিশনের ১০ম মৌসুম। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার টিভি চ্যানেলের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে নতুন অনুষ্ঠানের সঙ্গে উপস্থিতদের পরিচয় করানো হয়।

১০ম মৌসুমের অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু হবে আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে। সংবাদ সম্মেলনে দুরন্ত টেলিভিশনের অনুষ্ঠান নিয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন টেলিভিশনের অনুষ্ঠান প্রধান মোহাম্মদ আলী হায়দার। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন- নতুন ধারাবাহিক নাটক স্বপ্নঘুড়ি-এর পরিচালক মনিরুল হোসেন শিপন, সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রোগ্রাম পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার, সিনিয়র ম্যানেজার শারারাত ইসলাম, ‘সিসিমপুর’-এর নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ শাহ আলম, নির্বাহী প্রযোজক মনোয়ার শাহাদাত দর্পন, গল্প শেষে ঘুমের দেশে-এর পরিচালক ফাহিমা আহমেদ চৈতি, বিদেশি অনুষ্ঠানগুলোর প্রযোজক শাহাদাৎ হোসেনসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানগুলোর অনুষ্ঠানের শিল্পী, শিশুশিল্পী, পরিচালক, প্রযোজক, কলাকুশলী এবং দুরন্ত টেলিভিশনের কর্মকর্তা ও কলাকুশলীরা।  

মোহাম্মদ আলী হায়দার শুরুতেই দুরন্ত’র নতুন অনুষ্ঠানগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, নবম মৌসুম শেষে আমরা দশম মৌসুম শুরু করতে যাচ্ছি আগামী ১২ জানুয়ারি থেকে। এবার দেশি-বিদেশি নতুন নতুন অনেক অনুষ্ঠান যুক্ত হয়েছে প্রতিবারের মতো। বাংলাদেশের সব মা-বাবা ও শিশুদের জন্য আমরা নতুন ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তৈরি করছি সব সময়।

সেভ দ্য চিলড্রেন-এর প্রোগ্রাম পরিচালক রিফাত বিন সাত্তার বলেন, সেভ দ্য চিলড্রেন শিশুদের নিয়েই কাজ করে আসছে। দুরন্ত’র সঙ্গে আমাদের এই কাজটি একদম ব্যতিক্রম। ছোটবেলা থেকে স্কুলে বা পরিবারে আমরা অনেক কঠিন শাসন পেয়ে থাকি। আমরা চেয়েছি এটা যাতে পরিবর্তন হয়। স্বপ্নঘুড়ি নাটকটিতে এ বিষয়টি খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে স্কুলে বা পরিবারের কঠিন শাসন শিশুদের মনে খুব খারাপ প্রভাব ফেলে।

সেভ দ্য চিলড্রেন-এর সিনিয়র ম্যানেজার শারারাত ইসলাম বলেন, মা-বাবার ইতিবাচক ভূমিকাই মূল বিষয়। আশা করছি, ‘স্বপ্নঘুড়ি’ নাটকের মধ্য দিয়ে আমরা এ বার্তাটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে পারব।

দুরন্ত টিভির পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, আমরা যারা বাবা-মা, তাদের মধ্যে একটা বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে এ নাটকটি। এ ছাড়া এবার সিসিমপুরের নতুন পর্ব প্রচারিত হবে। সব মিলিয়ে আমরা আনন্দিত। আমরা চাই, দুরন্ত এক ভিন্ন জেনারেশন তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।

‘গল্প শেষে ঘুমের দেশে’-এর পরিচালক ফাহিমা আহমেদ চৈতি বলেন, এবারের অনুষ্ঠানটি ভিন্ন কনসেপ্ট নিয়ে এসেছে। আমরা এখন বেশিরভাগই একক পরিবার দেখে অভ্যস্ত। কিন্তু যৌথ পরিবারের বেড়ে ওঠা একজন শিশু যে পুরো পরিবারের সঙ্গে সব ভাবনা শেয়ার করার মাধ্যমে শৈশব কাটিয়ে অন্য মানুষ হয়ে গড়ে ওঠে। এবারের গল্প বলার এই অনুষ্ঠানটি ঠিক এরই প্রতিচ্ছবি।

বিদেশি কার্টুনের প্রযোজক শাহাদাৎ হোসেন বলেন, আমরা সবসময় এমন কার্টুন নির্বাচনের চেষ্টা করি যা শিশুদের সঙ্গে যায়। আমরা তো যেকোনো কার্টুনই প্রচার করতে পারি না। তারপর সে কার্টুনগুলোর ভাষা শিশুদের উপযোগী করে অনুবাদ করা হয়। শিশুদের খুবই ভালো লাগবে এবারের কার্টুনগুলো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads