• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

দুজন দুই প্রান্তে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২০

গেল বছর ২০ মার্চ লন্ডন প্রবাসী ইসলাম নূরুলের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও ঔপন্যাসিক সাজিয়া সুলতানা পুতুল। অবশ্য ২০ মার্চ ছিল বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। তার আগে ১৮ মার্চ নূরুলের সঙ্গে পুতুলের আকদ সম্পন্ন হয়। বিবাহ পরবর্তী সময়ে দুজন সিকিমে হানিমুনও করেন। এরপর দেশের বাইরে চলে যান নূরুল। দেশের বাইরেও পুতুল তার স্বামীর সঙ্গে বেশকিছুটা সময় একান্তে কাটিয়েও আসেন। দেখতে দেখতে চলেও আসে সেই ১৮ মার্চ। কিন্তু তখন দুজন পৃথিবীর দুই প্রান্তে। চাইলেও আর দেশে আসতে পারেননি নূরুল। প্রথম বিবাহ বার্ষিকীতে ইচ্ছে ছিল দুজন দুজনের পাশে থাকবেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস সেই স্বপ্ন পূরণ করতে দিল না। দুজনকে পৃথিবীর দুই প্রান্তে রাখতে বাধ্য করল করোনা ভাইরাস। তাই দূর থেকে একে অন্যের জন্য দোয়া করা ছাড়া যেন আর কিছুই করার ছিল না।

কিছুটা মন খাারাপ হয়েছে পুতুলের। কিন্তু তারপরও পৃথিবীর সব মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে নিজের প্রথম বিবাহ বার্ষিকীর কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। তারপরও যখন মনে এসেছে পুতুল দিনটি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে স্বামীকে উদ্দেশ করে একটি পোস্টও দিয়েছেন।

পুতুলের ভাষ্যমতে যার মূলকথা ছিল এমন , ‘আমাদের নব-দাম্পত্য নিয়ে কোনো আদিখ্যেতা ছিল না, এখনো নেই। ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশটাও লোকের সামনে খুব পরিমিত আমাদের। হঠাৎ একক জীবনে একজন সঙ্গী যুক্ত হবার পর প্রথম প্রথম আবেগের টালমাটাল অবস্থাটা আমাদের ক্ষেত্রে খুব নিয়ন্ত্রিত ছিল। ‘তুমি আমার, আমি তোমার’ বলে বলে সামাজিক মাধ্যমে ডগমগিয়ে ওঠা বা ‘জীবন সুন্দর’ বলে বলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় প্রেমময় ছবির হিড়িক ফেলে দেওয়াকে অপরিণত মানসিকতা মনে করি আমরা। শুরু থেকেই আমরা জানি, দাম্পত্য-জীবন নিয়ে আজকের আহ্লাদটা কখনোই বাস্তবতা নয়। আজকের সৌন্দর্যটা নিয়ে বুঁদ হয়ে থাকাটা দাম্পত্য জীবনের স্থায়ী উপলব্ধি নয়। বরং দুজন মিলে অনাগত জটিলতা আর মতবিরোধ সামলে নেওয়ার জন্য নিজেদের একটু একটু তৈরি করে নেওয়ার নাম দাম্পত্য। দাম্পত্য জীবনের যে বৃত্তের ভেতর ঢুকে গেছি একটা বছর আগে, সেই বৃত্তে মাত্র একবার পরিভ্রমণ করা হলো। ঘুরে আসতে হবে আরো অসংখ্যবার। আর এই ঘূর্ণনটাই জীবনের সাথে বাজি ধরার মতো কঠিন কাজ। সেই দুরূহ কাজটি করার প্রতিজ্ঞা করেছিলাম এক বছর আগে। আমি বিবাহিত, এটা আমাকে অনুভব করতে না দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রিয়তম। তোমার জানা অজানা অসংখ্য কারণের মধ্যে এটা অন্যতম প্রধান কারণ তোমাকে ভালোবাসার। দিনটাকে একেবারেই বর্ণহীন করে দিল এ মুহূর্তের বৈশ্বিক পরিস্থিতি। দেখা হলো না তোমার আমার। দুজন পৃথিবীর দুই প্রান্তে। বাতিল করতে হলো সমস্ত উদযাপন-পরিকল্পনা। তাতে কী! ভালোবাসার উদযাপন চলতে থাকবে জীবনভর।’

উল্লেখ্য, গেল বইমেলায় পুতুলের লেখা ‘ভিতর থেকে উৎসারিত আলোবৃত্তান্ত’ বইটি পাঠক মহলে বেশ সাড়া ফেলেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads