• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

চলে গেলেন কেনি রজার্স

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২২ মার্চ ২০২০

মারা গেলেন কান্ট্রি মিউজিকের কিংবদন্তি সংগীত তারকা কেনি রজার্স। গতকাল শনিবার তার মৃত্যু হয়। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তার পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘বাড়িতে স্বাভাবিকভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর সময় পরিবারের নিকটাত্মীয় ও প্রিয়জনেরা তাকে ঘিরে ছিলেন।’ খবর বিবিসির।

তিনটি গ্র্যামি বিজয়ী এই সংগীতশিল্পী ১৯৭০ ও ১৯৮০-এর দশকে বিশ্বসংগীতের সবচেয়ে জনপ্রিয় নামগুলোর একটি। তার কিঞ্চিৎ কর্কশগলাই (হাস্কি) তুলকালাম ঘটিয়ে দিয়েছিল সংগীতাঙ্গনে। দ্য গ্যাম্বলার, কাওয়ারর্ড অব দ্য কান্ট্রি, লুসিলি (১৯৭৭) গানগুলোর আবেদন যেন চিরন্তন। দশকের পর দশক গানগুলো শুনেছে বিশ্বের মানুষ। আজো ইউটিউবে প্রতিটি গানের নিচে কোটি কোটি ‘ভিউ’ জানিয়ে দেয়, গানগুলো আছে, থাকবে। পরিবারের পক্ষ থেকে তাই কেনি রজার্সের মৃত্যুর আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সংগীতে কেনির অবদান অবিশ্বাস্য।

কেনি রজার্স একাধারে সংগীতশিল্পী, গীতিকার, অভিনয়শিল্পী, রেকর্ডের প্রযোজক ও উদ্যোক্তা। জীবদ্দশায় তিনি পাঁচবার বিয়ে করেছেন। তিনি পাঁচ সন্তান রেখে গেছেন।

কেনি রজার্সের জন্ম ১৯৩৮ সালে, যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে। ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। শুরু করেছিলেন ব্যান্ড দলের সঙ্গে। তবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠেছেন নিজের একক গান দিয়ে। লিওনেল রিচির লেখা ‘লেডি’ গেয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন কেনি। তরুণ বয়সে কেনি রজার্সের সেই অসাধারণ ভরাট গলার ‘লেডি’ গানটি শুনে মুগ্ধ হয়ে সে সুরে কণ্ঠ মেলাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

যৌবনে গানের সুরের মোহন মায়ায় ঘর ছেড়েছিলেন বলেই হয়তো পরিণত বয়সে এসে পেছনে রেখে আসা সংসারের মায়া তাকে গভীরভাবে ডেকেছিল। ৭৭ বছর বয়সে গান নিয়ে শেষ সফরের পর তিনি ফিরেছিলেন পরিবারের কাছে পাকাপাকিভাবে। ২০১৫ সালে বলেছিলেন, ‘এবার সত্যিই আমি আমার স্ত্রী-সন্তানদের কাছে ফিরতে চাইছি। তারা যে আমার কাছে কত গুরুত্বপূর্ণ, সেটি জানতে অনেক দেরি হয়ে গেল আমার। অথচ কখনোই তাদের সেভাবে কাছে থেকে দেখা হয়নি। এবার অবসর নিয়ে সেই অসম্পূর্ণ কাজ সম্পূর্ণ করতে চাই।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads