• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

‘নকশিকাঁথার জমিন’-এ রাহেলারূপে জয়া

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ নভেম্বর ২০২০

করোনাকালীন এই অসময়েও অনেকে ঘরে বসে নেই। কাজ করে চলেছেন নিভৃতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনেই। তেমনি দু-দুটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন দুই বাংলার নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসান। নাম ঠিক না হওয়া একটি সিনেমার খবর জয়া দিয়েছিলেন গেল সেপ্টেম্বর মাসেই। এবার জানালেন ‘নকশিকাঁথার জমিন’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করেছেন তিনি।

এ ছবির পরিচালক আকরাম খান। এখানে মিষ্টি হাসির দুর্দান্ত অভিনেত্রী জয়া দেখা দেবেন বিধবা চরিত্রে। পর্দায় চরিত্রটিকে জীবন্ত করে তুলতে শুটিংয়ে টানা ছয় দিন বিধবার সাজপোশাকেই ছিলেন এই গুণী অভিনেত্রী। এ চরিত্রের নাম রাহেলা।

হবিগঞ্জ, সৈয়দপুর ও নারায়ণগঞ্জে ছবিটির শুটিং হয়েছে। জয়া নিশ্চিত করলেন, গত ২ থেকে ৮ নভেম্বর ছয় দিন একটানা ছবিটার শুটিং করেছেন।

ছবিটির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলছে, মুক্তিযুদ্ধের গতানুগতিক গল্প ও উপস্থাপনার বাইরে গিয়ে নতুন দৃষ্টি ও উপলব্ধির আমেজ ফুটে উঠবে ‘নকশিকাঁথার জমিন’ সিনেমায়। এটি কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের পাঠকনন্দিত উপন্যাস ‘বিধবাদের কথা’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে।

সবকিছু ঠিক থাকলে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরপূর্তিতে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে আসবে।

নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘কণ্ঠ’ সিনেমাতে জয়ার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। শুধু দর্শকই যে এতে তার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন এমনটি নয়, কলকাতার বড় বড় তারকাও ‘কণ্ঠ’তে জয়ার অভিনয়ের প্রশংসা করেছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশে একটি বহুজাতিক পণ্য প্রতিষ্ঠানের লিকুইয়ের বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছেন জয়া আহসান। গেল বছর জয়া আহসান প্রযোজিত সরকারি অনুদানের সিনেমা অনম বিশ্বাস পরিচালিত ‘দেবী’ দর্শকের মন জয় করেছে দেশ-বিদেশে। এভাবেই দুই বাংলায় সমানতালে কাজ করে যাচ্ছেন জয়া আহসান। জয়া আহসান জন্ম গোপালগঞ্জে। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তারা দুই বোন এক ভাই। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি ছবি আঁকাও শিখেছিলেন।

জয়া আহসানের ক্যারিয়ার শুরু হয় ছোট পর্দা দিয়ে। তিনি বহু নাটক, টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন। মডেল হয়েছেন অনেক বিজ্ঞাপনের। জয়ার অভিনীত ধারাবাহিক নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে­- ‘এনেছি সূর্যের হাসি’, ‘শঙ্খবাস’, ‘আমাদের ছোট নদী’, ‘কফি হাউজ’, ‘দরজার ওপাশে’, ‘লাবণ্য প্রভা’, ‘মানুষ বদল’ ও ‘সম্পর্কের গল্প’ ইত্যাদি। এছাড়া তিনি ‘হাটকুঁড়া’, ‘জাল’, ‘জননীর কান্না’, ‘কুহক’, ‘পাঞ্জাবীওয়ালা’, ‘হ্যালোউইন’, ‘নো ম্যানস ল্যান্ড’, ‘অফ বিট’, ‘আমাদের গল্প’ এবং ‘তারপরেও আঙুরলতা নন্দকে ভালোবাসে’ ইত্যাদি একক নাটকে অভিনয় করেছেন জয়া।

শোবিজে জয়া আহসানের নানামুখী সাফল্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল সিনেমার ক্যারিয়ার। সেই ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু তার। দিনে দিনে ক্যারিয়ারে যোগ করেছেন অনেক সফল ও প্রশংসিত সিনেমা।

তিনি প্রথম বাংলাদেশি ‘ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া অভিনেত্রী। দেশের হয়েও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন জয়া আহসান। প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ২০১১ সালে নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। এরপর ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রি’ ও ‘দেবী’র জন্যও বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন জয়া।

বাংলাদেশের সিনেমা ছাড়াও কলকাতার বাংলা সিনেমায় জয়া বেশ জনপ্রিয়। ভারতীয় সিনেমার মধ্যে ‘আবর্ত’, ‘বিসর্জন’, ‘রাজকাহিনী’, ‘ঈগলের চোখ’, ‘ক্রিসক্রস’ ও ‘কণ্ঠ’ তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads