• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

বিদেশ

সামরিক ব্যয়ে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সৌদি আরব

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৩ মে ২০১৮

স্নায়ু যুদ্ধের পর বিশ্বজুড়ে সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়েছে ২০১৭ সালে। ব্যয়ের এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও সৌদি আরব। সুইডেনের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট’ বা এসআইপিআরআই সামরিক খাতে সর্বোচ্চ ব্যয় করা দশটি দেশের এই তালিকা তৈরি করেছে। প্রতিষ্ঠানটির বরাত দিয়ে আল জাজিরা এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

এসআইপিআরআই গতকাল বুধবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছর বিশ্বজুড়ে প্রতিরক্ষা ব্যয় হয় ১ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালের চেয়ে যা ১ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। সামরিক খরচের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি ব্যয় করেছে ৬১০ বিলিয়ন ডলার। অবশ্য কয়েক বছর ধরেই দেশটির ব্যয়ের এই হিসেব অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। বিশ্বের মোট সামরিক ব্যয়ের ৩৫ শতাংশই করে যুক্তরাষ্ট্র। এরপরই চীনের অবস্থান; গত বছর প্রতিরক্ষা খাতে দেশটি খরচ করে ২২৮ বিলিয়ন ডলার। এসআইপিআরআই এর মতে, ২০১৬ সালের চেয়ে এই খরচ ১২ বিলিয়ন ডলার বেশি। মাত্র এক বছরের মধ্যে সামরিক খাতে এত ব্যয় বৃদ্ধিতে অবশ্য প্রথম স্থানে চীন। ২০০৮ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত, এই দশ বছরে চীন তার প্রতিরক্ষা ব্যয় দ্বিগুণ করেছে বলে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন।

গত বছর সামরিক খাতে ৬৯ দশমিক চার বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সৌদি আরব। এর আগে এই স্থানটি ছিল রাশিয়ার দখলে। এসআইপিআরআই জানায়, চতুর্থ অবস্থানে থাকা মস্কোর (রাশিয়া) গত বছর সামরিক ব্যয় ছিল ৬৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালের তুলনায় এ ব্যয় ২০ শতাংশ কম। ব্যাপক আর্থিক সঙ্কটের কারণে ১৯৯৮ সালের পর এবার সামরিক ব্যয় হ্রাস করল দেশটি। ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধ আরোপের কারণে সামরিক খাতে এই কাটছাঁট করতে হয় রাশিয়াকে। ২০১৪ সাল থেকে দেশটি এই সঙ্কট মোকাবেলা করছে।

ভারত ও ফ্রান্স যৌথভাবে তালিকায় পঞ্চম স্থানটি দখল করে আছে। গত বছর দেশ দুটি প্রতিরক্ষা খাতে যথাক্রমে ব্যয় করে প্রায় ৬৪ বিলিয়ন ও ৫৭ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। পরবর্তী অবস্থানে থাকা যুক্তরাজ্যের ৪৭ দশমিক ২ বিলিয়ন, জাপানের ৪৫ বিলিয়ন, জার্মানির ৪৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ও দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যয় ৩৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads