• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯

বিদেশ

স্বেচ্ছামৃত্যু চান বিজ্ঞানী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০১৮

বেঁচে থাকা নিয়ে বিরক্ত-দুঃখিত এক বিজ্ঞানী স্বেচ্ছামৃত্যু চান। এ উদ্দেশ্যে ১০৪ বছর বয়সী বিজ্ঞানী ডেভিড গুডল গত বুধবার অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে পাড়ি জমান সুইজারল্যান্ড। খবর বিবিসি ও সিএনএন।

ওই বিজ্ঞানীর জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণার কারণ গ্রিক পুরাণের টিথোনাসের মতোই। গ্রিক পুরাণের প্রভাতের দেবী আরোরার পতি অমর টিথোনাস স্বেচ্ছামৃত্যু চাইতেন। বয়সের ভারে ন্যুব্জ হয়ে জীবনের প্রতি বিরক্ত এ বিজ্ঞানী। অনেক দিন ধরেই মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করছেন তিনি। তবে দেখা না পেয়ে হতাশ বিশ্বের জ্ঞানী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম বিজ্ঞানীরা। তাদের এমন মৃত্যু প্রত্যাশা করাটা আশ্চর্যের।

ডেভিড গুডলের মতো প্রখ্যাত বাস্তুবিদ ও উদ্ভিদবিদের এমন চাওয়া নিয়ে হতবাক মানুষ? জটিল কোনো শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন না তিনি। তারপরও মৃত্যু চান। গত মাসে নিজের ১০৪তম জন্মদিন পালনকালে অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনকে তিনি বলেন, এতটা বয়সে পৌঁছানো আমার কাছে বিরাট অনুশোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেঁচে থাকর কোনো ইচ্ছে আমার নেই। আমি মরতে চাই। মৃত্যু আমার জন্য কোনো দুঃখের বিষয় নয়। বরং যেটা দুঃখের হলো সেটা, কেউ যদি মৃত্যু চেয়ে না পায়।

তবে এ বিজ্ঞানী আত্মহত্যা করতে চান না। তিনি চান অ্যাসিস্টেড ডেথ বা কারো সহায়তায় মৃত্যু। অস্ট্রেলিয়ার একটি রাজ্যে গত মাসে বহু বিতর্কের পর অ্যাসিস্টেড ডেথকে অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে সেটিও শর্ত সাপেক্ষে।  এটি দেশটির অন্যান্য রাজ্যে অবৈধ। দেশ ছাড়ার আগে গুডল জানান, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণের জন্য তিনি সুইজারল্যান্ডের একটি ক্লিনিকে যাচ্ছেন। আগামী ১০মে সেখানে স্বেচ্ছামৃত্যু বরণ করবেন তিনি। এটি করতে তাকে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হচ্ছে, এজন্য তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

স্বেচ্ছামৃত্যুকে সমর্থন করে এমন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নিয়েছেন তিনি। বিমানে বিজনেস ক্লাসের টিকেটের অর্থ দিয়েছেন তার শুভানুধ্যায়ীরা। ১৯১৪ সালের ৪ এপ্রিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস আগে লন্ডনে জন্ম হয় তার। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন তিনি।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads